জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
নামাজের ভিতর সুরা ফাতেহা পড়া ওয়াজিব।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْحَكَمِ، عَنْ شُعَيْبٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنِ ابْنِ أَبِي هِلاَلٍ، عَنْ نُعَيْمٍ الْمُجْمِرِ، قَالَ صَلَّيْتُ وَرَاءَ أَبِي هُرَيْرَةَ فَقَرَأَ (بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ) الرَّحِيمِ ثُمَّ قَرَأَ بِأُمِّ الْقُرْآنِ حَتَّى إِذَا بَلَغَ (غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ) فَقَالَ آمِينَ . فَقَالَ النَّاسُ آمِينَ . وَيَقُولُ كُلَّمَا سَجَدَ اللَّهُ أَكْبَرُ وَإِذَا قَامَ مِنَ الْجُلُوسِ فِي الاِثْنَيْنِ قَالَ اللَّهُ أَكْبَرُ وَإِذَا سَلَّمَ قَالَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنِّي لأَشْبَهُكُمْ صَلاَةً بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
মুহাম্মদ ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু আব্দুল হাকাম (রহঃ) ... নুয়ায়ম মুজমির (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি আবূ হুরায়রা (রাঃ)-এর পেছনে সালাত আদায় করি। তিনি প্রথমে পড়লেন বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম। এরপর সূরা ফাতিহা পাঠ করলেন, যখন তিনি غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ এ পর্যন্ত পৌছলেন তখন 'আমীন, বললেন, তারপরে সকল লোক বলল,’আমীন’। যখনই তিনি সিজদা করতেন তখন বলতেন, ‘আল্লাহু আকবার’ আর যখন তিনি বসা থেকে দাড়াতেন তখনও আল্লাহু আকবার বলতেন। তিনি সালাম বললেন, যার হাতে আমার প্রাণ, তার শপথ! আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মত সালাত আদায় করে তোমাদের দেখালাম।
(নাসায়ী শরীফ ৯০৮)
,
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا السَّائِبِ، مَوْلَى هِشَامِ بْنِ زُهْرَةَ يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ صَلَّى صَلاَةً لَمْ يَقْرَأْ فِيهَا بِأُمِّ الْقُرْآنِ فَهِيَ خِدَاجٌ هِيَ خِدَاجٌ هِيَ خِدَاجٌ " . غَيْرُ تَمَامٍ . فَقُلْتُ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ إِنِّي أَحْيَانًا أَكُونُ وَرَاءَ الإِمَامِ . فَغَمَزَ ذِرَاعِي وَقَالَ اقْرَأْ بِهَا يَا فَارِسِيُّ فِي نَفْسِكَ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " يَقُولُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ قَسَمْتُ الصَّلاَةَ بَيْنِي وَبَيْنَ عَبْدِي نِصْفَيْنِ فَنِصْفُهَا لِي وَنِصْفُهَا لِعَبْدِي وَلِعَبْدِي مَا سَأَلَ " . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اقْرَءُوا يَقُولُ الْعَبْدُ ( الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ ) يَقُولُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ حَمِدَنِي عَبْدِي . يَقُولُ الْعَبْدُ (الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ) يَقُولُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ أَثْنَى عَلَىَّ عَبْدِي . يَقُولُ الْعَبْدُ (مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ) يَقُولُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ مَجَّدَنِي عَبْدِي . يَقُولُ الْعَبْدُ (إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ) فَهَذِهِ الآيَةُ بَيْنِي وَبَيْنَ عَبْدِي وَلِعَبْدِي مَا سَأَلَ . يَقُولُ الْعَبْدُ (اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ * صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ) فَهَؤُلاَءِ لِعَبْدِي وَلِعَبْدِي مَا سَأَلَ " .
কুতায়বা (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন সালাত আদায় করে আর তাতে সূরা ফাতিহা না পড়ে তা অসস্পূর্ণ, তা অসস্পূর্ণ, তা অসস্পূর্ণ, পূর্ণ হয় না। তখন আমি বললাম, হে আবূ হুরায়রা! আমি অনেক সময় ইমামের পেছনে সালাত আদায় করে থাকি, তিনি আমার বাহু টান দিয়ে বললেন, হে পারসিক (ইরানী); তুমি তা মনে মনে পড়বে। কেননা আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, আল্লাহ তা’আলা বলেন, আমি আমার ও আমার বান্দার মধ্যে সালাত আধা আধি ভাগ করেছি। অতএব, এর অর্ধেক আমার জন্য আর অর্ধেক বান্দার জন্য। আর আমার বান্দার জন্য রয়েছে যা সে চায়।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা পড়। বান্দা যখন বলে, "আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন" তখন আল্লাহ তাআলা বলেন, আমার বান্দা আমার প্রশংসা করল। আর যখন বান্দা বলে, "আর রহমানির রাহীম" তখন আল্লাহ তা'আলা বলেন, আমার বান্দা আমার স্তুতি বর্ণনা করল। আর বান্দা যখন বলে "মালিকি ইয়াওমিদ্দীন" তখন আল্লাহ তা’আলা বলেন, আমার বান্দা আমার মর্যাদা বর্ণনা করল। আর বান্দা যখন বলে, "ইয়্যাকা না'বুদু ওয়া ইয়্যাকা নাস্তায়ীন" তখন আল্লাহ তা’আলা বলেন, এই আয়াতটি আমার ও আমার বান্দার মধ্যে। আর আমার বান্দার জন্য তা-ই রয়েছে, যা-সে চায়। বান্দা বলে, "ইহ্দিনাস সিরাতাল মুস্তাকীম, সিরাতাল লাযীনা আন আমতা আলাইহিম, গাইরিল মাগদুবি আলাইহিম ওয়ালাদ দ্বা-ল্লীন" (তখন আল্লাহ তায়ালা বলেন) এসবই আমার বান্দার জন্য। আর আমার বান্দার জন্য রয়েছে যা সে চায়।
সহিহ, ইবনু মাজাহ হাঃ ৮৩৮, মুসলিম (ইসলামিক সেন্টার) হাঃ ৭৭৪-৪৪৫ নাসায়ী ৯১২)
,
★সুতরাং নামাজের ভিতর সুরা ফাতেহা পড়া ওয়াজিব।
আর ওয়াজিবকে একাধিকবার আদায় করলে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হয়।
চাই সুরা ফাতেহা পুরাটাই আবার আদায় করা হোক,বা তার এক আয়াত হয়নি সন্দেহ করে পরবর্তীতে পুনরায় যদি উক্ত আয়াত পড়া হয়।
আরো জানুনঃ
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নামাজে যদি আয়াত শেষ না করে আবার রিপিট করেন,তাহলে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবেনা,হ্যাঁ যদি আয়াত শেষ করে হয়নি মনে কতে আবার তা শুরু করেন,তাহলে সুরা ফাতেহা হলে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।
অন্য সুরা হলে কোনো সমস্যা নেই।