আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
226 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (43 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

বিয়ে আল্লাহর দেওয়া চরিত্র রক্ষার হালাল একটি নিয়ামত।

স্বামী স্ত্রী একে অপরের মাধ্যমে যৌবনে চরিত্রের হেফাজত করেন।
যেহেতু এটি একটি হালাল, পবিত্র ও প্রেমময় সম্পর্ক। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় স্বামী বা স্ত্রী কেও একজন কিছুটা লাজুকতা বা ইমোশনাল এটাচমেনট এর গ্যাপ থাকে। এক্ষেত্রে পাশের মানুষ টা, স্বামী বা স্ত্রী অনেক বলে, কান্না করে, কখনো বেশি মানসিক কষ্টে, রাগ ও দেখায়। কিন্তু পরিবর্তন হয় না। চেষ্টা টুকুও পর্যন্ত ও করে বলে মনে হয় না, এক্ষেত্রে কি করা উচিত।

ভক্তভোগী সঙ্গী ( স্বামী বা স্ত্রী) মানসিক ভাবে অনেক বেশি ভেঙে পড়েছে, অনেক বেশি হতাশা ও কাজ করে। এই অস্থিরতা কাটানোর জন্য কি ইস্তিখারা করা যেতে পারে? এতে করে অন্তত মানসিক যন্ত্রণা কি কমবে?

প্রতিনিয়ত দুআ করা হচ্ছে।

জাজাকাল্লাহু খায়রান।

1 Answer

0 votes
by (708,000 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
একে অন্যকে ভালবাসুন।পরস্পর পরস্পরকে মনের কথা জানিয়ে দিন। পরস্পর পরস্পরকে অগ্রাধিকার দিন।তাহলে অবশ্যই সবকিছু ঠিক হবে।নামায পড়ে আল্লাহর কাছে দু'আ করুন। সালাতুল হাজত পড়ুন।

সালাতুল হাজত পড়ার মুহূর্তে নিম্নোক্ত পদ্ধতিকে স্বরণ রাখবেন।
আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রাহ তাজনিস কিতাবের উদ্ধৃতিতে লিখেন,
وأما في التجنيس وغيره، فذكر أنها أربع ركعات بعد العشاء وأن في الحديث المرفوع يقرأ في الأولى الفاتحة مرة وآية الكرسي ثلاثا، وفي كل من الثلاثة الباقية يقرأ الفاتحة والإخلاص والمعوذتين مرة مرة كن له مثلهن من ليلة القدر. قال مشايخنا: صلينا هذه الصلاة فقضيت حوائجنا مذكور في الملتقط والتجنيس وكثير من الفتاوى، كذا في خزانة الفتاوى. وأما في شرح المنية فذكر أنهاركعتان، والأحاديث فيها مذكورة في الترغيب والترهيب كما في البحر.
এ'শার নামাযের পর সালাতুল হাজতের চার রা'কাত পড়তে হবে।এই নামাযের নিয়ম একটি হাদীসে মারফু এর আলোকে এভাবে রয়েছে যে,প্রথম রা'কাতে সূরায়ে ফাতেহা একবার,এবং আয়াতুল কুরসি তিনবার।এবং পরবর্তী তিন রা'কাতে সূরায়ে ফাতেহার সাথে সূরায়ে ইখলাছ এবং সূরায়ে ফালাক্ব ও সূরায়ে নাস একবার করে করে পড়তে হবে।মাশায়েখগণ বলেন,আমরা এমন পদ্ধতিতে নামায পড়তাম,আমাদের হাজত পূর্ণ হতো।মুনয়াতুল মুসাল্লি নামক কিতাবে দু'রাকাত সালাতুল হাজতের কথা বর্ণিত রয়েছে।(রদ্দুল মুহতার-২/২৮)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1453


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (708,000 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...