জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো ইমামের উভয় দিকে সালাম ফিরানোর পর মাসবুক ব্যাক্তি তার ছুটে যাওয়া নামাজ আদায় করার জন্য উঠে যাবে।
ক্বেরাতের ক্ষেত্রে প্রথম দিককার রাকাতের হুকুম আরোপিত হবে। অর্থাৎ যদি এক রাকাত না পায়, তাহলে দাঁড়িয়ে সানা পড়বে, তারপর ফাতিহা ও সূরা মিলাবে এভাবে বাকি নামায পূর্ণ করবে। আর যদি দুই রাকাত না পায়, তাহলে প্রথম রাকাতে, সানা, ফাতিহা, সূরা মিলিয়ে নিয়মমাফিক পূর্ণ করবে, তারপর দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়ার পর সূরা মিলাবে। আর যদি তিন রাকাত না পায়, তাহলে প্রথমে দুই রাকাত পূর্বের মত পড়বে। আর তৃতীয় রাকাতে শুধু ফাতিহা পড়বে কিন্তু সুরা মিলাবে না।
মোটকথা, রাকাত হিসেবে প্রথম রাকাত আদায়কারীর মত নামায আদায় করবে।
কিন্তু বৈঠক হিসেবে ধর্তব্য হবে শেষ। তথা এক রাকাত না পেলে, এক রাকাত পূর্ণ করেই শেষ বৈঠক আদায় করবে নিয়মমাফিক। আর দুই রাকাত না পেলে তা পূর্ণ করে শেষ বৈঠক আদায় করবে। এভাবে তিন রাকাত ও চার রাকাতের একই হুকুম।
মাসবুক ব্যাক্তির নামাজ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মাসবুক ব্যাক্তি দাড়ানোর পর সানা পড়ে, সুরা ফাতেহা পড়বে,এবং অন্য সুরা মিলাইবেন।
তারপর রুকু সেজদাহ করে বৈঠক করবেন,(কারন মোট হিসেবে এটি তার ২য় রাকাত,আর ২য় রাকাতে বৈঠক করা ওয়াজিব)
তারপর তাশাহুদ পড়ে তাকবির বলে আবার দাড়িয়ে যাবেন।
সুরা ফাতেহা এবং অন্য সুরা পড়ার পর সে রুকু সেজদাহ করবেন,(তবে বৈঠক করবেনা,কারন মোট হিসেবে এটি আপনার ৩য় রাকাত,আর ৩য় রাকাতে কোনো বৈঠক নেই।)
তারপর তার শেষ রাকাত আদায় করার জন্য দাড়িয়ে যাবেন।
শেষ রাকাতে শুধু সুরা ফাতেহা পড়বে,অন্য সুরা মিলাইবেননা।
তারপর রুকু সেজদাহ আখেরি বৈঠক করে সালাম ফিরিয়ে দিবেন।
,