আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
191 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (15 points)
(৬) শায়েখ কোন মেয়ের কোন ছেলেকে নিয়ে ওয়াসওয়াসা ওয়াসা ছিল যা ইজাব কবুল এর মাসআলা পড়ে হইছিল। পড়ে ঐ ছেলের সাথে যোগাযোগ হয় সে বলে এমন কিছু হয় নাই। তারপর মেয়েটাও শিওর হয় যে এমন কিছু হয় নাই ২০০% এগুলো ওয়াসওয়াসা। পড়ে কিছু দিন আগে আগে আবার ঐ ছেলের সাথে যোগাযোগ হয় ঐ ছেলে কে জিজ্ঞেস করে আগের প্রশ্নে উত্তরে কি বলছিলি সে বলে কিছু হয় নাই  বলছিলাম । আগের সব তর করা প্রশ্ন গুলো আমার মনে আছে আমি বলছিলাম কিছু হয় নাই। কিন্তু ছেলেটা বলছে যে তুই যখন আমাকে ঐ প্রশ্ন গুলো করছিলি তখন তুই কেন বলছিলি যে তর কিছু সদকা করা লাগবে? ওটা শুনে আমার খুব রাগ হইছিল। আমার মনে হয় আমি এই কথা বলছিলাম কোন ছবি থাকলে ডিলিট করে দে তুই ছবি ডিলিট না করলে আমার সদকা করা লাগবে কিছু। এটাই আমার মনে হচ্ছে।  আবার মনে হচ্ছে এমন কথা কি আমি বলছিলাম যে তর সাথে কোন ইজাব কবুল হইছে কি না বল? তাহলে আমার সদকা করা লাগবে কিছু। ( আমার শিওর মনে হয় এটা বলি নাই তারপর ও উত্তর দিবেন )। ইজাব কবুল তো হয় নাই এটা শিওর। এই সদকা করার  কথায় কি আমার বর্তমান বৈবাহিক জীবনে কোন রকম কোন সমস্যা হবে কি? যেখানে ইজাব কবুল হয় নাই সেখানে এমন কথা দ্বারা কিছু হবে কিি?

৭. ইজাব কবুল হয় নাই।  মেয়েটা ছেলেটাকে বলে নাই তার মাকে বাবাকে আম্মু আব্বু  বলে ডাকতে। ছেলেটা  বিয়ে করলাম নিয়তে বা শ্বশুর শাশুড়ী বানানোর নিয়তে মেয়েটার বাবা মাকে আম্মু আব্বু বলে ডাকে লোকজন থাকলে শুনলে ও তো এখানে বিয়ে হতো না। এভাবে তো কিছু হয় নাই। তাই না শায়েখ?? মেয়েটা কখনো ছেলেটার বাবা মাকে আম্মু আব্বু বলে ডাকে নাই। মেয়েটা ডাকতে বলে নাই এমনকি মেয়েটা তার মাকে বাবাকে আব্বু আম্মু ডাকতে মানা করতো

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আপনাকে বলবো দয়াকরে আপনি এই তালাকের ওয়াসওয়াসাকে পরিহার করুন। কিভাবে পরিহার করবেন,সেটা হল, যখনই মনে এরকম ওয়াসওয়াসা আসবে, সাথে সাথেই মনকে বলবেন, আমি যেহেতু ওয়াসওয়াসার রোগী, তাই আমার ব্যাপারে শরীয়তের হুকুমে শীতিলতা রয়েছে।আমি অন্য দশজনের মত নই। কেননা ওয়াসওয়াসা রোগি কাউকে হত্যা করলেও শরীয়তের দৃষ্টিতে কেসাস আসেনা।ওয়াসওয়াসার রোগী সারাদিন কুফরি বাক্য উচ্ছারণ করলেও সে কাফির হয়না।বরং তার ঈমান বহাল থাকে।

যদি ওয়াসওয়াসা থেকে আপনি বের না হন,তাহলে আপনার ভবিষ্যত আপনি নিজেই নষ্ট করবেন।ওয়াসওয়াসা থেকে বের হওয়ার একমাত্র মাধ্যম হল, এই চিন্তাকে পরিহার করে ভিন্ন চিন্তা গ্রহণ করা,লোকদের সাথে হাশিখুশিতে থাকা।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) ইজাব কবুলও হয় নাই, এবং সদকাহ করাও ওয়াজিব হবে না।

(২)
এমতাবস্থায়ও কোনো সমস্যা হবে না।আপনার বর্তমান সংসারে কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...