জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
একটি মূলনীতি হলো আরবী ভাষাকে অন্য ভাষায় লেখা অনেকটায় কঠিন কাজ।
আবার এর ফলে অনেক সময় ভয়ানক অর্থ বিকৃতির শিকার হতে হয়।
অর্থ বিকৃত হলে নামাজ ফাসেদ হয়ে যাবে।
প্রত্যেক নর-নারীর ওপর কুরআন এতটুকু সহিহ শুদ্ধ করে পড়া ফরজে আইন, যার দ্বারা লাহনে জলি (অর্থ পরিবর্তন) হয় না।
লাহনে জলি (অর্থ পরিবর্তন) হয়, এমন ভুল পড়ার দ্বারা নামাজ নষ্ট হয়ে যায়। অতএব কমপক্ষে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য যে সুরাগুলোর প্রয়োজন, সেগুলো (সুরা ফাতেহা ব্যাতিত কমপক্ষে চারটি সুরা) শুদ্ধ করে নেওয়া আবশ্যক, অন্যথায় সে গুনাহগার হবে।
লাহনে জলি সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
বাংলা উচ্চারন দেখে কুরআন পড়লে অনেক ভুল হয়।
যেমনঃ পবিত্র কুরআনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুরা হলো সুরা ইখলাস। এ সুরার প্রথম আয়াতের অর্থ হলো, ‘হে নবি আপনি বলে দিন, আল্লাহ এক।’ এবং আরবি প্রথম শব্দটি হল ‘ক্বুল’ (বড় কাফ)।
কিন্তু সরাসরি এর প্রকৃত ধ্বনি নির্দেশক কোনো শব্দ বাংলা ভাষায় নেই এবং বাংলা প্রমিত উচ্চারণ নীতিমালার মাঝেও আরবি এই ধ্বনির মতো কোনো ধ্বনি নেই। তাই বাংলায় এর উচ্চারণ হবে ‘কুল’। অথচ আরবিতে এই ধ্বনিটির অর্থ সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং এর আরবি প্রতিরূপ হল ‘কুল’ (ছোট কাফ)। এর অর্থ হলো খাও। তাই সুরা ইখলাসের প্রথম আয়াতের অর্থ হবে, ‘হে নবি! আপনি খেয়ে নিন।
এমন ভয়ানক অর্থ বিপর্যয়ের মূলে রয়েছে ভিন্ন ভাষায় অর্থ্যাৎ, বাংলা ভাষায় আরবি ধ্বনি উচ্চারণের চেষ্টা। অনেক প্রকাশনী তাদের বাংলা উচ্চারণের কুরআনের শুরুতে কিছু চিহ্ন দিয়েছেন। তাদের দাবি, কুরআনের বিশুদ্ধ উচ্চারণের জন্য এই ধ্বনি নির্দেশনাই যথেষ্ট। কিন্তু সমস্যা হলো সাধারণ পাঠক তো আর সব উচ্চারণের মাঝে ব্যবধান করতে পারেন না।
তাই সৌদির সর্বোচ্চ ওলামা পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘তিলাওয়াতকারীকে আরবি ভাষায় তিলাওয়াতের প্রতিই উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এছাড়া অন্যকোনো প্রতিবর্ণায়নের চেষ্টা বাতিল বলে গণ্য হবে।’
সূত্র : কনফারেন্স বুক। কিং আবদুল আজিজ ইউনিভার্সিটি। পৃ : ১৫৬
,
সুতরাং কুরআন আরবি লেখা দেখে পড়াই কর্তব্য।
বাংলা উচ্চারণ দেখে কোরআন পড়া কখনোই সহিহ হয়না। এতে অক্ষরের উচ্চারণ ভুল হয়ে কোরআনের অর্থ বিকৃত হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ। এই জন্য আরবি শিখে কোরআন পড়া উচিৎ, নয়ত মুখস্থ করে সঠিক উচ্চারণে পড়া উচিৎ। বাংলা উচ্চারণ দেখে পড়লে সওয়াব হওয়ার চেয়ে গুনাহ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। অপারকদের জন্য আরবি শেখার আগ পর্যন্ত অন্য উচ্চারণ পড়া বড়জোর জায়েজ হতে পারে। সওয়াবের আশা খুবই কম। আরবির সমান হওয়ার তো প্রশ্নই ওঠেনা। মোবাইল দেখে কোরআন পড়তে কোন সমস্যা নেই। ছাপা কোরআনের মতোই সওয়াব হবে।
,
তাই আরবি শব্দ দেখেই কুরআন পড়তে হবে।
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ২য় নং পদ্ধতি (- ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ)
সঠিকতার নিকটতম হয়েছে।
,
আরবিতে আছে قل هو الله أحد এখানে আল্লাহ শব্দ পুর করে পড়া হয়নি,আল্লহু হবে।
أحد এখানে বড় হা হবে।
যেটা বাংলাতে কোনোভাবেই লেখা যায়না।