আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
135 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ
আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন । প্রিয় শায়েখ আমি বর্তমান ইফতা বিভাগে পড়াশোনা করছি । আমি এবছর দুই তিন মাস আগে বিবাহ করেছি। আমার আগে থেকেই সূচিবায়ু রোগ ছিল । কখনো আল্লাহ সম্বন্ধে কখনো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম সম্বন্ধে কখনো দ্বীনি বিষয় সম্বন্ধে বিভিন্ন ভাবে ধোকা দিত। এখন এই বিবাহের পরে আমাকে তালাক সম্পর্কে ধোকা দেয়া শুরু করেছে। গতকাল একটি প্রশ্ন দিয়ে বিরক্ত করেছি এটি আমার সর্বশেষ প্রশ্ন এটি থেকে মুক্তি হতে পারলে আমি একেবারে চিন্তাবিহীন হতে পারি । ইতিপূর্বে অনেক ধোঁকা দিয়েছে আমার ওস্তাদ গনের নিকট গিয়েছি তারা বলছে কিছু হয়নি এছাড়াও আপনার সাইডে এসে ধোঁকা সংক্রান্ত অনেক মাসয়ালা দেখেছি কিছুই হয়নি । কিতাব তো পড়ছিই। কিন্তু নিজে সিদ্ধান্ত নিতে ভয় লাগে। এখন নিজস্ব উস্তাদের কাছে যেতে খুব লজ্জা হয়। তাই আপনার কাছে ইস্তিফতা।

শায়েখ ইদানিং একটা বিষয় নিয়ে খুব বেশি টেনশন হচ্ছে যে তালাক হয়ে গেল নাকি সন্দেহ। তা হলো আমার স্ত্রী মহিলা মাদ্রাসায় পড়া লেখা করে । আমি তাকে আমার কাছে বলে যাওয়ার জন্য বলছিলাম। কিন্তু একদিন আমাকে না জানিয়ে সে মাদ্রাসায় চলে যায়। এরপর অনেক কিছু বললে সে রাগ হয়ে বলে আমার ইচ্ছে করছে তাই গিয়েছি। তখন আমি বলেছি যেখানে মন চায় সেখানে যাও আর তার কথার পরিপ্রেক্ষিতে রাগের মাথায় এই কথাটাই এসেছিল। যেখানে খুশি যাও বলার সময় আমার মনে হচ্ছিল এবার তো কিনায়া শব্দ না বলে পারছিনা । আবার শয়তানে ধোকা দেয় নাকি সাথে সাথেই আমার  স্মৃতি পটে বাড়ির সামনের রাস্তাঘাট নিয়ে আসলাম যে আমি রাস্তায় যাওয়ার কথা বলছি ।

নিচে আমার জানার বিষয়গুলো পয়েন্ট আকারে তুলে ধরছি

১। আগের উত্তরে যে বললেন ,আমি যেহেতু ওয়াসওয়াসার রোগী, তাই আমার ব্যাপারে শরীয়তের হুকুমে শীতিলতা রয়েছে।আমি অন্য দশজনের মত নই। কেননা ওয়াসওয়াসা রোগি কাউকে হত্যা করলেও শরীয়তের দৃষ্টিতে কেসাস আসেনা।ওয়াসওয়াসার রোগী সারাদিন কুফরি বাক্য উচ্ছারণ করলেও সে কাফির হয়না।বরং তার ঈমান বহাল থাকে । তাহলে কিভাবে বুঝব আমি সেই পর্যায়ে পৌঁছে গেছি ওয়াসওয়াসার ক্ষেত্রে।

২। আপনি ইতিপূর্বে একটি প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন কিনায়া তালাকের  নিয়তের ক্ষেত্রে যে , যদি শুরুতে নিয়ত না করেন মাঝে যদি এসে যায় তাহলে এর দ্বারা তালাক হবে না শুরুতে নিয়ত থাকতে হবে । নিয়ত ছিল কি না ভাবতে গেলে মাথা ব্যথা করে একবার মনে হয় নিশ্চিত নিয়ত ছিল একবার মনে হয় ছিল না । যদি নিয়ত থেকে থাকে তাহলে কি তালাক হবে। কারন বলার মধ্যে আমি রাস্তাঘাটের দিকে মন নিয়েছি কিন্তু একেবারে শুরুতেই নিতে পারিনি।

৩ । আমার স্ত্রী খুব পরহেজগার আমার কখনো তালাক দিতে মন চায় না কিন্তু শয়তানে শুধু বলতে থাকে তালাক দে  তালাক দে রাগ হলেই বলতে থাকে। এখন যদি আমি রাগ হয়ে তালাক বলে ফেলি তাহলে কি তালাক হবে। আমি কি ওয়াসওয়াসার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছি।

৪। আমি তালাকের সন্দেহে নতুন বিবাহ করতে চাই বিবাহ করলে কিছু হবে নাকি। আমি বিবাহ করলে কয় তালাকের মালিক থাকব।
আবার এও ভয় হয় যে বিবাহের পর তো শয়তান শুধু বলতে থাকবে আর একটি সুযোগ আছে এর পরেই তালাক হলে শেষ। হিলা ছাড়া উপায় নেই।

৫। পূর্বে একবার ধোকা দেয়ার সময় মনে মনে ভাবছিলাম যে যদি বলি তোমাকে তালাক, এবং যেখানে খুশি সেখানে যাও। তাহলে দুই তালাক হবে। তোমাকে তালাক বলার দ্বারা এক তালাক ।যেখানে খুশি যাও আরেক তালাক। কেনায়া তালাক যেহেতু নিয়ত করলে হয়ে যায় তাই এগুলো ভাবছিলাম।  যে এরকম যখন  বলবো তালাক হবে। তো যখন বলি যেখানে খুশি সেখানে যাও আর  মনে হয়েছিল এখন তো আর কেনায় না বলে পারছিনা তখন ওই যে মনে মনে ভাবছিলাম যে যেখানে খুশি সেখানে যাও বললে আরেক তালাক হয়ে যাবে । সেটা কি এখন কার্যকর হবে।
শায়খ কিছু মনে করবেন না আপনাকে বিরক্ত করলাম আমার অন্তরে যা ছিল সব বলে দিলাম দয়া করে উত্তরটা দিবেন।

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
আপনি যেহেতু আহলে ইলম। আপনার নিকট ইলমে ওহীর জ্ঞান থাকার পরও যেহেতু ওয়াসওয়াসার জ্বালায় অতিষ্ট, কাজেই বুঝা গেল যে, আপনি সেই পর্যায়ে পৌছে গেছেন।

(২)
শুরুতেই তালাকের নিয়ত থাকা অপরিহার্য।

(৩)
তালাক হবে না।কেননা আপনি দিতে চাচ্ছেন না।তারপরও জোর করে আপনার মুখ দ্বারা তালাক বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে, এটাই ওয়াসা।

(৪)

নতুন করে বিয়ের কোনো প্রয়োজন নাই।

(৫)
তালাক হবে না।

وَعَنْ أَبِي اللَّيْثِ لَا يَجُوزُ طَلَاقُ الْمُوَسْوِسِ  يَعْنِي الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ عَنْ الْحَاكِمِ هُوَ الْمُصَابُ فِي عَقْلِهِ إذَا تَكَلَّمَ تَكَلَّمَ بِغَيْرِ نِظَامٍ
ওয়াসওয়াসা গ্রস্থ ব্যক্তি -যার বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে বসেছে,এবং ঐ ব্যক্তি বিবেকবুদ্ধিতে সমস্যা চলে এসেছে, তাদের তালাক গ্রহণযোগ্য নয়।যখন সে কথা বলে তখন ধারাবাহিকতা রক্ষা হয়না (রদ্দুল মিহতার-৪/২২৪, বাহরুর রায়েক্ব-৫/৯১)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি ওয়াসওয়াসা গ্রস্থ। সুতরাং আপনার কোনো তালাকই গ্রহণযোগ্য হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (715,680 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে। 
by (2 points)
جزاك الله احسن الجزا

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...