জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
আপনার এখনও যদি কোন লক্ষ্মণ দেখা না দেয়,তাহলে আপনি মসজিদে এসে জামাআতের নামাজ আদায় করবেন।
এতে কোনো গুনাহ নেই,বরং মসজিদে নামাজ পড়াই জরুরি।
,
ইসলামে জামাআতের সহিত নামাহ পড়ার অনেক অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন-
لَقَدْ رَأَيْتُنَا وَمَا يَتَخَلَّفُ عَنِ الصَّلَاةِ إِلَّا مُنَافِقٌ قَدْ عُلِمَ نِفَاقُهُ، أَوْ مَرِيضٌ، إِنْ كَانَ الْمَرِيضُ لَيَمْشِي بَيْنَ رَجُلَيْنِ حَتَّى يَأْتِيَ الصَّلَاةِ.
আমাদের অবস্থা এমন ছিল যে, নামায (-এর জামাত) থেকে পিছিয়ে থাকত কেবল এমন মুনাফিক, যার নিফাক স্পষ্ট ছিল অথবা অসুস্থ ব্যক্তি। তবে আমরা অসুস্থদেরকেও দেখতাম, দুই ব্যক্তির কাঁধে ভর করে তারা নামাযের জন্য চলে আসত। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৪৮৫
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
صَلاَةُ الجَمَاعَةِ تَفْضُلُ صَلاَةَ الفَذِّ بِسَبْعٍ وَعِشْرِينَ دَرَجَةً.
অর্থাৎ একাকী নামায পড়া অপেক্ষা জামাতে নামায আদায় করা সাতাশ গুণ বেশি ফযীলতপূর্ণ। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৪৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৪৭৫
আরো জানুনঃ
,
(০২)
যদিও এক্ষেত্রে শরীয়তের বিধান হলো তাশাহুদ পড়ার পরেই নামাজ শেষ করে দিয়ে জামাআতে শরিক হতে হবে।
তবে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি চাইলে দুরুদ আর দুয়ায় মাসুরা পড়ে তারপর নামাজ শেষ করতে পারবেন,এটিও জায়েজ আছে
,
(০৩)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، ح وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ وَرْقَاءَ، ح وَحَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، ح وَحَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُتَوَكِّلِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا زَكَرِيَّا بْنُ إِسْحَاقَ، كُلُّهُمْ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا أُقِيمَتِ الصَّلَاةُ فَلَا صَلَاةَ إِلَا الْمَكْتُوبَةُ". - صحيح
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সলাতের ইক্বামাত দেয়া হলে উক্ত ফারয সলাত ছাড়া অন্য কোন সলাত আদায় করা যাবে না।
মুসলিম (অধ্যায় : মুসাফিরের সলাত ও ক্বাসর করা, অনুঃ মুযাজ্জিন যখন ইক্বামাত বলেন তখন কোন নফল সলাতের নিয়্যাত করা মাকরূহ), তিরমিযী (অধ্যায় : সলাত, অনুঃ ইক্বামাত হয়ে গেলে ফারয সলাত ব্যাতীত কোন সলাত নেই, হাঃ ৪২১), নাসায়ী (অধ্যায় : ইমামাত, অনুঃ ইক্বামাতের পর ফারয সলাত ব্যতীত অন্য সলাত আদায় মাকরূহ, হাঃ ৮৬৪), দারিমী (হাঃ ১৪৪৮), ইবনু মাজাহ (অধ্যায় : সলাত ক্বায়িম, অনুঃ ইক্বামাত হয়ে গেলে ফারয সলাত ব্যাতীত কোন সলাত নেই, হাঃ ১১৫১),আবু দাউদ ১২৬৬, আহমাদ (২/৩৩১), ইবনু খুযাইমাহ (হাঃ ১১২৩)
,
সুতরাং আপনাকে নফল নামাজ সংক্ষিপ্ত করতে হবে,যদি চার রাকাত পড়ার নিয়ত করে থাকেন,আর এখন দুই রাকাতে অবস্থান করেন,তাহলে আর নামাজ বাড়াবেননা।
এই ২য় রাকাতেই সালাম ফিরিয়ে দিবেন।
যদি ৩য় রাকাতে বা শেষ রাকাতে হোন,তাহলে পুরো নামাজ আদায় করবেন।
বৈঠকে শুধুমাত্র তাশাহুদ পড়িবেন।
قال الحصکفی : (والشارع فی نفل لا یقطع مطلقا) ویتمہ رکعتین (وکذا سنة الظہر) ( الدر المختار مع رد المحتار : ۵۳/۲، باب ادراک الفریضة ، ط: دار الفکر، بیروت )
যার সারমর্ম হলো এমতাবস্থায় নফলরত ব্যাক্তি নামাজ ছেড়ে দিবেনা,বরংং কম আয কম দুই রাকাত পূর্ণ করিবে।
,
★যদি স্বাভাবিক ভাবে নামাজ আদায় করেন,আর জামাআত শেষ হয়ে যায়, তাহলে গুনাহ হবে।
,
(০৪)
ইমাম ব্যাতিত একজন হলেই জামাত হয়ে যাবে।
তবে মসজিদে জামাতের ছওয়াব অনেক বেশি।
,
(০৫)
শরীয়তের বিধান হলো যদি লাহনে জলি (অর্থ পরিবর্তন) হয়, এমন ভুল পড়ার দ্বারা নামাজ নষ্ট হয়ে যায়।
লাহনে জলি সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি নরমাল হা,আলিফ থেকে আলাদা করা যায়,আর সে ভালোভাবেই তা আদায়ের চেষ্টা করে,তাহলে নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।