ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) ফরজ এবং সুন্নাত নামাজের সিজদায় কুরআন-হাদীস থেকে দুয়া করা যাবে কি?
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/185
(২)শেষ বৈঠকে নামাজে দরূদ শরীফ পড়ার পর একাধিক দুয়া মাসুরা পড়া যাবে।
(৩) রুকু থেকে দাঁড়ানোর সময় "সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদা রব্বানা লাকাল হামদ" বলতে হয়। এরপর পড়ার জন্য হাদীসে একটা ফজিলতপূর্ণ তাসবীহ আছে (হামদান কাসিরান ত্বয়্যিবান মুবারাকান ফীহ)। এই তাসবীহ পড়তে গেলে কিছুটা সময় লাগবে। সে জন্য প্রয়োজনে কিছুটা দাঁড়িয়ে পড়া যাবে। এতে কোনো সমস্যা হবে না।
(৪) অনিচ্ছাকৃতভাবে ওয়াজিব তরক করে পরে সাহু সিজদা দিতে ভুলে গেলে, নামাজকে আবার পড়তে হবে? নামাজের শেষ রাকাতে সিজদা, তাশাহহুদ, দরূদ, দুয়া মাসুরা পড়ে তারপর অতিরিক্ত আরো দুই সিজদা দিয়ে সালাম ফিরালে কি সাহু সিজদা আদায় হবে?
ফুকাহায়ে কেরামদের ইবারতের সারাংশ হল, যদি কেউ সাহু সিজদা দিতে ভুলে যায়, তাহলে ওয়াজিব সাহু সিজদা তরক করার কারণে সে গোনাহগার হবে। সাহু সিজদার অত্যাবশ্যকীয়তা তখনই থাকবে যখন ওয়াক্ত সাহু সিজদার উপযোগী থাকবে। এমনকি যদি কারো উপর ফজরের নামাযের সাহু সিজদা থাকে, এবং সে সাহু সিজদা না দেয়, এমতাবস্থায় সূর্যোদয় হয়, তাহলে তখন সাহু সিজদার ওজুব রহিত হয়ে যাবে। ঠিক তেমনিভাবে প্রত্যেক ঐ সমস্ত জিনিষ যা নামাযের প্রতিবন্ধক, যেমন কথা বলা,মসজিদ থেকে বের হয়ে যাওয়া,ওয়াক্ত চলে যাওয়া, ইত্যাদি দ্বারা সাহু সিজদা ওজুব রহিত হয়ে যাবে। (বাহরুর রায়েক-২/৯৯)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/897
৫. একজন কুফরি কথা বলে, কুফরি কাজ করে (জেনারেল লাইনে পড়ার কারণে তার এসব ব্যাপারে পর্যাপ্ত জ্ঞান নেই। কুফরের ভয়াবহতাও সে জানে না, জানলেও হঠকারিতা করে)। আবার নিজেকে সে মুসলিম বলে দাবী করে।
কোন কোন কথা ঈমান বিধ্বংসী সেটা কোনো আলেমের কাছে উল্লেখ করে জেনে নিতে হবে যে, আসলেই কি সেগুলো কুফরি। যদি কুফরি হয়ে থাকে, এবং সে তাওবাহ না করে, তাহলে এমন ব্যক্তির সাথে সংসার করা যাবে না।
(৬)মহিলাদের জন্য আজান দেওয়া সুন্নত নয়।