জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
মহান আল্লাহ বলেছেন:
الَّذِي أَحْسَنَ كُلَّ شَيْءٍ خَلَقَهُ وَبَدَأَ خَلْقَ الْإِنْسَانِ مِنْ طِين ) ثُمَّ جَعَلَ نَسْلَهُ مِنْ سُلَالَةٍ مِنْ مَاءٍ مَهِين
“যিনি তাঁর প্রত্যেকটি সৃষ্টিকে সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন এবং মানব সৃষ্টির সূচনা করেন কাদামাটি থেকে।” (সুরা সিজদাহ আয়াত ০৭)
“অতঃপর তিনি তার বংশধর সৃষ্টি করেন নোংরা ও তুচ্ছ পানির নির্যাস থেকে।” (সুরা সিজদাহ আয়াত ০৮)
মহান আল্লাহ প্রথম মানব আদম (আ.)কে পানি ও মাটির মিশ্রণে সৃষ্টি করেছেন এবং এরপর তার বংশ বিস্তার করেছেন নারী-পুরুষের মিলনের ফলে মায়ের গর্ভে ভ্রূণ সৃষ্টির মাধ্যমে।
আদম আঃ এর সৃষ্টির পর তাঁর সন্তানদের জন্ম হয়েছে তাঁর ঔরস থেকে। সেটা হয়েছে, নারী ও পুরুষের বিশেষ ক্রিয়ার মাধ্যমে,বির্য থেকে।
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
خلق من ماء دافق
‘মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে সবেগে স্খলিত পানি (বীর্য) থেকে।’ (সুরা : তারিক, আয়াত : ৬)
ولقد خلقنا الإنسان من سلالة من طين
‘আমি তো মানুষ সৃষ্টি করেছি মাটির উপাদান (মাটি জাতীয় উপকরণ) থেকে।’ (সুরা : মুমিনুন, আয়াত : ১২)
কোরআন যেখানে বলেছে, ‘মানুষ মাটির তৈরি’ কথাটা নিজ স্থানে সত্য। আবার যেখানে বলা হয়েছে, ‘মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে বীর্য থেকে’—এ কথাও নিজ স্থানে সত্য। উভয়ের মধ্যে পার্থক্য ও বৈপরীত্য নেই।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ২য় নং আকীদা
(শুধুমাত্র আদম আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সরাসরি মাটি দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে। মানবজাতি যেহেতু আদম আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরই বংশধর তাই পরোক্ষভাবে বলা যায় মানুষ মাটি দিয়ে তৈরি।)
ছহীহ।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত ১নং আকীদা ভূল।