আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
86 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (25 points)
১. আল্লাহ কি সবজায়গায় বিরাজমান? আমার এই প্রশ্ন করার কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?         
২. ফরজ নামাজের পর সম্মিলিত মুনাজাত কি বিদআত?

৩.কেউ যদি স্ত্রীকে আদর করে বেবি বলে তাহলে কি জিহার করা হবে?    
@#৳%&&*-(())?/;ঃঃ"!!@#৳%*-()(/;ঃ''!!$^_[]][>\&copy;&reg;$&deg;[][=&divide;$`|&divide;{=}`|♪&pi;&times;}]=&deg;^℅&pound;&pound;!'ঃ//?)(+-*&৳@১২৪৫৭৯০০))+*&%#@&reg;&trade;\<>[]=&deg;^&pound;&pound;`|&radic;&pi;{}}]=_^℅&pound; |&radic;&pi;{}][&deg;℅$&pound;&pound;&reg;&copy;&copy;&trade;\<>>>>>>]]]&deg;^$&pound;`|&pi;{}

1 Answer

0 votes
by (676,960 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)

https://www.ifatwa.info/3161 নং ফাতাওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
যেভাবে কোনো পৃথিবীর কোনো বস্তুকে বিদ্যমান ধরে নেওয়া হয়,তথা শরীরের উপস্থিতির সাথে কোনো কিছুর উপস্থিতিকে গণ্য করা হয়ে থাকে,সে হিসেবে আল্লাহ তা'আলাকে সর্বত্র বিরাজমান মানা ও বিশ্বাস রাখা কখনো কখনো উচিৎ হবে না, জায়েয হবে না। তবে যদি 'আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান' এ কথা অর্থ হয় যে,আল্লাহ বেষ্টনকারী, তথা আল্লাহ ইলম ও কদরত হিসেবে সর্বত্র বিরাজমান তাহলে এমন আকিদা বিশ্বাস রাখা নিন্দনীয় হবে না।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেন,
هُوَ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ يَعْلَمُ مَا يَلِجُ فِي الْأَرْضِ وَمَا يَخْرُجُ مِنْهَا وَمَا يَنزِلُ مِنَ السَّمَاء وَمَا يَعْرُجُ فِيهَا وَهُوَ مَعَكُمْ أَيْنَ مَا كُنتُمْ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ


তিনি নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডল সৃষ্টি করেছেন ছয়দিনে, অতঃপর আরশের উপর সমাসীন হয়েছেন। তিনি জানেন যা ভূমিতে প্রবেশ করে ও যা ভূমি থেকে নির্গত হয় এবং যা আকাশ থেকে বর্ষিত হয় ও যা আকাশে উত্থিত হয়। তিনি তোমাদের সাথে আছেন তোমরা যেখানেই থাক। তোমরা যা কর, আল্লাহ তা দেখেন।(সূরা হাদীদ-৪) 

বিস্তারিত জানুন-

https://www.ifatwa.info/2719

তবে যারা বলে আল্লাহ স্বশরীরে সর্বত্র বিরাজমান,তাদের এই আকিদা কুফরি আকিদা।

★জানার জন্য উল্লেখিত প্রশ্ন করার দরুন আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।

(০২)
ফরজ নামাজের পর হাত তুলে মুনাজাত করা জায়েজ আছে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
আবূ মুহাম্মাদ ইবনু আবি ইয়াহইয়া (রঃ) বলেন,

رایت عبد اللہ بن الزبیر و رئیٰ رجلا رافعا یدیہ قبل ان یفرغ من صلاتہ، فلما فرغ منھا قال: ان رسول اللہ صلی اللہ علیہ و سلم لم یکن یرفع یدیہ حتی یفرغ من صلاتہ۔

আব্দুল্লাহ ইবনু যুবাইর (রা.)একজন নামাযীকে দেখলেন, সে নামায শেষ করার আগেই হাত তুলে মুনাজাত করছে। তিনি তাকে বললেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) নামায সমাপ্ত হওয়ার আগে হাত তুলে মুনাজাত করতেন না। (মাজমাউয যাওয়াইদ, ১০/১৬৯)

এ হাদীস থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) নামাযের পর হাত তুলে মুনাজাত করতেন।

হযরত আবূ উমামাহ (রা.) হতে বর্ণিত,

قیل لرسول اللہ صلی اللہ علیہ و سلم، ای الدعاء اسمع؟ قال: جوف اللیل الآخر، و دبر الصلوات المکتوبات

সাহাবীগণ রাযিয়াল্লাহু তা`আলা আনহুম রাসূলুল্লাহ (সা.) কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন মুনাজাত বেশি কবূল হয়? রাসূলুল্লাহ (সা.)বললেন, শেষ রাতের মুনাজাত ও ফরয নামাযের শেষের মুনাজাত। (জামি’ তিরমিযী, ২/১৮৮)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ফরজ নামাযের পর সম্মিলিত মুনাজাত সম্পর্কে ফুকাহায়ে কিরামের ভিন্ন রকম পরস্পর বিরোধী মতামত পাওয়া যায়।

অনেক উলামায়ে কিরাম প্রচলিত পদ্ধতির মুনাজাতকে বিদ'আত আখ্যায়িত করেছেন।

অন্যদিকে আরো কিছুসংখ্যক উলামায়ে কিরাম এটাকে মুস্তাহাব বলেছেন।(ইমদাদুল ফাতাওয়া-১/৬৪৫ - ৬৬৬)
,
সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য কথা হল,
যদি আক্বিদা বিশুদ্ধ থাকে তথা এমন থাকে যে,নামাযের পর প্রচলিত মুনাজাত পদ্ধতি জরুরী কোনো বিষয় নয়,বরং ইচ্ছাধীন,তাহলে মুনাজাত বৈধ বা জায়েয।বিদ'আত ও নয় আবার মুস্তাহাব ও নয় বরং জায়েয তথা মুবাহ,করাও যেতে পারে আবার নাও করা যেতে পারে।
এই মুনাজাতের উপর পুরুস্কার-তিরস্কার কিছুই আসবে না।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৩)
এতে জিহার হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...