জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ جَاءَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي امْرَأَةٌ أُسْتَحَاضُ فَلاَ أَطْهُرُ أَفَأَدَعُ الصَّلاَةَ قَالَ " لاَ إِنَّمَا ذَلِكِ عِرْقٌ وَلَيْسَتْ بِالْحَيْضَةِ فَإِذَا أَقْبَلَتِ الْحَيْضَةُ فَدَعِي الصَّلاَةَ وَإِذَا أَدْبَرَتْ فَاغْسِلِي عَنْكِ الدَّمَ وَصَلِّي " . قَالَ أَبُو مُعَاوِيَةَ فِي حَدِيثِهِ وَقَالَ " تَوَضَّئِي لِكُلِّ صَلاَةٍ حَتَّى يَجِيءَ ذَلِكَ الْوَقْتُ "
আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণনা করেন যে, ফাতিমা বিনত আবী হুবায়শ নামক জনৈক মহিলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সমীপে এসে বললেন যে, আল্লাহর রাসূল, আমি তো ইস্তিহাযায় আক্রান্ত একজন মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি সালাত ছেড়ে দিব কি? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয় বরং শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়যের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে ক‘দিন নামায ছেড়ে দিবে আর হায়যের দিনগুলো চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নিবে এবং সালাত আদায় করবে। রাবী আবূ মুআবিয়া তার রিওয়ায়াতে আরো উল্লেখ করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ মহিলাকে বলেছিলেনঃ আরেক সালাতের ওয়াক্ত না আসা পর্যন্ত প্রতি ওয়াক্ত সালাতের জন্য উযূ (ওজু/অজু/অযু) করে নিবে। - ইবনু মাজাহ ৬২১, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১২৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]
(والناقص)
عن أقلہ (والزائد) علی أکثرہ أو أکثرالنفاس أوعلی العادة وجاوز أکثرہما. (وما تراہ) صغیرة دون تسع علی المعتمد وآیسة علی ظاہر المذہب (حامل) ولو قبل خروج أکثر الولد (استحاضة.)(الدر المختار وحاشیة ابن عابدین (رد المحتار) 1/ ط:زکریا، دیوبند)
সারমর্মঃ-
হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হতে কম,হায়েজের সর্বোচ্চ দিন থেকে বেশি হলে অথবা অভ্যাসগত দিন থেকে বেশি হলে, নয় বছরের চেয়ে কম বয়সী নারীর রক্ত আসলে,গর্ভবতী নারীর রক্ত আসলে যদিও অধিকাংশ সন্তান বের হওয়ার পূর্বে রক্ত আসে,উল্লেখিত সবই ইস্তেহাজা।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
এই রক্ত আসার কারনে তা হায়েজ বলে গন্য হবেনা।
এটি ইস্তেহাজা।
(০২)
এই অবস্থায় সে নামাজ পরবে।