আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
142 views
in সালাত(Prayer) by (54 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমার স্ত্রী প্রেগন্যান্ট। কিন্তু তার দুই দিন থেকে দিনে একবার বা দুইবার করে হালকা করে রক্ত যাচ্ছে। এইজন্য আজকে ডাক্তারের কাছে গেসিলাম ডাক্তার বলছে যে বাচ্চা জরায়ুর একেবারে কাছাকাছি আসছে।এইজন্য  মিসক্যারেজ   হয়ে যেতে পারে। তো এখন আমার প্রশ্ন হল-
১.এই রক্ত আসার কারনে তা কি হায়েজ বলে গন্য হবে?
২.এই অবস্থায় সে কি নামাজ পরবে?

1 Answer

0 votes
by (573,960 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ جَاءَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي امْرَأَةٌ أُسْتَحَاضُ فَلاَ أَطْهُرُ أَفَأَدَعُ الصَّلاَةَ قَالَ " لاَ إِنَّمَا ذَلِكِ عِرْقٌ وَلَيْسَتْ بِالْحَيْضَةِ فَإِذَا أَقْبَلَتِ الْحَيْضَةُ فَدَعِي الصَّلاَةَ وَإِذَا أَدْبَرَتْ فَاغْسِلِي عَنْكِ الدَّمَ وَصَلِّي " . قَالَ أَبُو مُعَاوِيَةَ فِي حَدِيثِهِ وَقَالَ " تَوَضَّئِي لِكُلِّ صَلاَةٍ حَتَّى يَجِيءَ ذَلِكَ الْوَقْتُ "

আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণনা করেন যে, ফাতিমা বিনত আবী হুবায়শ নামক জনৈক মহিলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সমীপে এসে বললেন যে, আল্লাহর রাসূল, আমি তো ইস্তিহাযায় আক্রান্ত একজন মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি সালাত ছেড়ে দিব কি? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয় বরং শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়যের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে ক‘দিন নামায ছেড়ে দিবে আর হায়যের দিনগুলো চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নিবে এবং সালাত আদায় করবে। রাবী আবূ মুআবিয়া তার রিওয়ায়াতে আরো উল্লেখ করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ মহিলাকে বলেছিলেনঃ আরেক সালাতের ওয়াক্ত না আসা পর্যন্ত প্রতি ওয়াক্ত সালাতের জন্য উযূ (ওজু/অজু/অযু) করে নিবে। - ইবনু মাজাহ ৬২১, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১২৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]

(والناقص) 
عن أقلہ (والزائد) علی أکثرہ أو أکثرالنفاس أوعلی العادة وجاوز أکثرہما. (وما تراہ) صغیرة دون تسع علی المعتمد وآیسة علی ظاہر المذہب (حامل) ولو قبل خروج أکثر الولد (استحاضة.)(الدر المختار وحاشیة ابن عابدین (رد المحتار) 1/ ط:زکریا، دیوبند)
সারমর্মঃ-
হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হতে কম,হায়েজের সর্বোচ্চ দিন থেকে বেশি হলে অথবা অভ্যাসগত দিন থেকে বেশি হলে, নয় বছরের চেয়ে কম বয়সী নারীর রক্ত আসলে,গর্ভবতী নারীর রক্ত আসলে যদিও অধিকাংশ সন্তান বের হওয়ার পূর্বে রক্ত আসে,উল্লেখিত সবই ইস্তেহাজা।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
এই রক্ত আসার কারনে তা হায়েজ বলে গন্য হবেনা।
এটি ইস্তেহাজা।

(০২)
এই অবস্থায় সে নামাজ পরবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...