আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
76 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (23 points)

 আসসালামু  আলাইকুম

আমি আপনাদের একটি ফাতওয়াতে দেখেছি তিলাওয়াতের আকর্ষণ বৃদ্ধির জন‍্য মিউজিকবিহীন অটোটিউন ব‍্যাবহার করা জায়েজ!

কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো অটোটিউন জিনিসটাই সম্ভবত মিউজিক। এটা যদি মিউজিক হয় তাহলে এটা কিভাবে জায়েজ হয়?  একটি বিষয় হচ্ছে ভোকালের পেছনে ভোকাল লাগানো। কিন্তু তিলাওয়াতে তো আমার জানামতে ভোকাল লাগানো হয় না। এবং বর্তমানে  আলেম-নন আলেম সবাই গণহারে নাশীদে /তিলাওয়াতে অটোটিউন লাগাচ্ছেন। এটা কি জায়েজ?

আমি অটোটিউন সম্পর্কে এই লেখাটা পেয়েছি উইকিপিডিয়া তে https://en.m.wikipedia.org/wiki/Auto-Tune।

এইযে রেকর্ডের পিচ পরিবর্তন করে বা ব‍্যাকগ্রাউন্ডে ইফেক্ট এড করে এর অধিকাংশ ই এমন ইফেক্ট যা শুধু ভোকালের সাহায‍্যে তৈরি করা সম্ভব না। 

মোটকথা ফোনের সাহায্যে বা কম্পিউটারের সাহায‍্যে তারা যেই অটোটিউন লাগায় সেটা তো ইন্সট্রুমেন্ট ব‍্যাবহার করেই তৈরি করা। তাহলে এটা কি বাদ‍্যযন্ত্রের কাতারে পড়ছে না?

আসলে আমি অটোটিউনকে এতদিন জায়েজ না বলেই ধারণা করতাম। এবং নাশীদ শোনার ইচ্ছা হলে ভোকালগুলো শুনতাম। কিন্তু বর্তমানে ভোকাল  (শুধু গলার রেকর্ড ) পাওয়া দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। তাই ওয়েবসাইটে গিয়ে মিউজিক রিমুভ করে ভোকাল ডাউনলোড করে সেটা শুনি।

১)এখন আমি জানতে চাচ্ছি যে বর্তমানে যে অটোটিউন চলছে আসলেই কি জায়েজ নাকি নাজায়েজ? 

২)বর্তমানে জনপ্রিয় যেসব নাশীদ স্টুডিওর টিউনযুক্ত নাশীদ গুলো এভেইলেবল এগুলো কি নাজায়েজ নয়?  

আসলে বর্তমানে  আলেম ব‍্যাক্তিরাও বা মাদ্রাসাপড়ুয়ারাও নিজেদের কে সাউন্ড ডিজাইনার ক্লেইম করছেন সাউন্ড ডিজাইনিং কি মিউজিকের অন্তুর্ভূক্ত নয়?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


ইসলামের দৃষ্টিতে বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার হারাম। যদি কেউ বৈধ কিছুর  সঙ্গে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক হিসেবে বাদ্যযন্ত্রের বিভিন্ন সুর বসিয়ে দেয়, সেটাও গুনাহ হবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
বিখ্যাত তাবেয়ী হযরত নাফে’ রাহ. থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার চলার পথে আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. বাঁশির আওয়াজ শুনলেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি দুই কানে আঙ্গুল দিলেন। কিছু দূর গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, হে নাফে’! এখনো কি আওয়াজ শুনছ? আমি বললাম হ্যাঁ। অতঃপর আমি যখন বললাম, এখন আর আওয়াজ শোনা যাচ্ছে না তখন তিনি কান থেকে আঙ্গুল সরালেন এবং বললেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চলার পথে বাঁশির আওয়াজ শুনে এমনই করেছিলেন। -মুসনাদে আহমদ হাদীস : ৪৫৩৫; সুনানে আবু দাউদ হাদীস : ৪৯২৪ বিখ্যাত তাবেয়ী মুজাহিদ রাহ. থেকেও এমন একটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে।-ইবনে মাজাহ হাদীস : ১৯০১
,
নাসাঈ ও সুনানে আবু দাউদে বর্ণিত আছে, একদিন হযরত আয়েশা রা.-এর নিকট বাজনাদার নুপুর পরে কোনো বালিকা আসলে আয়েশা রা. বললেন, খবরদার, তা কেটে না ফেলা পর্যন্ত আমার ঘরে প্রবেশ করবে না। অতঃপর তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
যে ঘরে ঘণ্টি থাকে সেই ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না।-সুনানে আবু দাউদ হাদীস : ৪২৩১; সুনানে নাসাঈ হাদীস : ৫২৩৭ 

সহীহ মুসলিমে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ঘণ্টি, বাজা, ঘুঙুর হল শয়তানের বাদ্যযন্ত্র।-সহীহ মুসলিম হাদীস : ২১১৪

মৃদু আওয়াজের ঘণ্টি-ঘুঙুরের যদি এই অবস্থা হয় তাহলে আধুনিক সুরেলা বাদ্যযন্ত্র,মিউজিকের বিধান কী হবে তা খুব সহজেই বুঝা যায়। 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
বর্তমানে যে অটোটিউন চলছে এই সাউন্ডে মিউজিক আছে কিনা,বাদ্য-বাজনার ব্যবহার আছে কিনা,সেই বিষয়টি সাউন্ড এনালিস্ট নির্ধারন করবে।    

যদি আসলেই এখানে মিউজিক,বাদ্য-বাজনার ব্যবহার থাকে,তাহলে এটি শোনা জায়েজ নেই।

হ্যাঁ যদি এখানে মিউজিক,বাদ্য-বাজনার ব্যবহার না থাকে,তাহলে এটি শোনা জায়েজ। 
কোনো সমস্যা নেই।


(০২)
এসব বিষয় সাউন্ড এনালিস্ট নির্ধারন করবে যে আসলেই এগুলো মিউজিক, বাদ্য-বাজনার অন্তর্ভুক্ত হয় কিনা?

যদি সাউন্ড এনালিস্ট দের মতে এগুলো মিউজিক, বাদ্য-বাজনার অন্তর্ভুক্ত হয়,তাহলে এসব নাশিদ শোনা জায়েজ হবেনা।
আর যদি সাউন্ড এনালিস্ট দের মতে এগুলো মিউজিক, বাদ্য-বাজনার অন্তর্ভুক্ত না হয়,তাহলে এসব নাশিদ শোনা জায়েজ হবে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...