আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
89 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম।
"যদি কোন স্ত্রী তার স্বামীকে বলে বাচ্চা না হলে আমাকে (তা...)দিতে বলবে না। তখন যদি স্বামী চুপ থেকে এ বেপ্যারে কোন কথা না বলে পরের দিন স্ত্রীকে ডেকে যদি অন্যের দিকে যদি ইঙ্গিত করে বলে কোন বেক্তি তার ইস্ত্রি কে এ ধরনের কথা বললে হয় কিন্তু স্ত্রী বললে হয় না তবে স্ত্রীকে অধিকার  দিলে তখন যদি স্ত্রী বলে তাহলে হয়। এ কথা বলার পর ★ ঐ বেক্তি যদি তার  স্ত্রীকে বলে তবুও এ ধরনের কথা বললে রাগ হয়,বিরক্ত লাগে"

★  ঐ বেক্তি যদি তার  স্ত্রীকে বলে তবুও এ ধরনের কথা বললে রাগ হয়,বিরক্ত লাগে   ("এটা বলতে বোঝাতে চেয়েছে ঐ বেক্তির নিজের মুখে (তা...) সম্পর্কিত কথাবার্তা বলতে বিরক্ত লাগে"।)

★এখানে ঐ বেক্তি যদি (তা..) শব্দ উচ্চারন না করে শুধু যদি ঐ শব্দের দিকে ইঙ্গিতে  কথাবার্তা  বলে।

প্রশ্ন (১) ঐ বেক্তি যদি তার স্ত্রীকে বলে তবুও এ ধরনের কথা বললে রাগ হয়,বিরক্ত লাগে" এ কথায় কি তার স্ত্রীর উপর কোন কিছু পতিত হয়েছে   কি?

যদি কোন কিছু পতিত   না হয়  তাহলে তার কারনটা দয়া করে জানাবেন।
যদি  কোন বেক্তির মনে অনিচ্ছাকৃতভাবে আল্লাহ কে  নিয়ে যদি গালিগালাজ শব্দ বার বার মনে আসে এবং পরবর্তী সময়ে সেই সমস্ত গালিগালাজ শব্দ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে মনে করে  তাহলে কি  আল্লাহ কে ইচ্ছাকৃতভাবে গালি দেওয়া হবে কি?

আপনি উওর দিয়েছেন যে, এক্ষেত্রে এটি যেহেতু মনে মনেই হয়েছে,সুতরাং আল্লাহ কে ইচ্ছাকৃতভাবে গালি দেওয়া হবেনা।

তবুও তওবা আবশ্যক হবে।

প্রশ্ন (২) আল্লাহ কে ইচ্ছাকৃতভাবে ★ মনে মনে গালি দেওয়া হবে কি?
★মনে মনে ইচ্ছাকৃতভাবে গালি দেওয়া হবে কিনা আপনি তার উওর দেন নাই। মনে মনে গালি দেওয়া হবে  কি?
প্রশ্ন (৩)যদি কোন বেক্তি তার ইস্ত্রির কোন অংগের সাথে তার মায়ের কোন অংগের মোতো মনে মনে যদি বলে তাহলে কি  যিহার হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
ঐ ব্যাক্তি যদি তার স্ত্রীকে বলে "তবুও এ ধরনের কথা বললে রাগ হয়,বিরক্ত লাগে" এ কথায় তার স্ত্রীর উপর কোন কিছু পতিত হয়নি।

কেননা স্বামী এখানে স্ত্রীকে স্পষ্ট বাক্যেও তালাক দেয়নি,অস্পষ্ট বাক্যেও তালাক দেয়নি।

(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।
[বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)

অন্য এক হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মনে মনে গালি দেয়া হবে।

তবে মুখে আল্লাহকে গালি যেমন ব্যাক্তি মুরতাদ হয়ে যায়,এক্ষেত্রে মনে মনে গালি দিলে ব্যাক্তি মুরতাদ হয়ে যায়না।
তবে মহান আল্লাহ তায়ালাকে নিয়ে এহেন বিষয় মনে মনে ভাবার কারনে তওবা করতে হবে।

(০৩)
এক্ষেত্রে যিহার হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...