আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
99 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (38 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
প্রশ্ন (১) কোন স্ত্রী লোক যদি টাকার জন্য বিয়ে করে এবং তার সামীকে যদি এই কথা বলে তাহলে ঐ স্ত্রীর উপর কোন কিছু পতিত হবে  কি এবং তার বিবাহ শুদ্ধ  হবে কি?

প্রশ্ন (১এর) যদি স্ত্রী লোকটি তার সামীর কাছে মিথ্যা বলে তাহলে কোন কিছু কি হবে?
প্রশ্ন (২) কোন বেক্তি যদি তার স্ত্রীকে হাসি তামাশা করে যদি বলে আমরা বিয়ে করি নাই তাহলে তার স্ত্রীর উপর কোন কিছু পতিত হবে  কি?

প্রশ্ন (৩)কোন বেক্তি তার স্ত্রীকে কোন কারনে যদি পুনরায় বিবাহ করে এবং প্রথমবার যেই দুইজন সাক্ষী রেখেছিল সেই  দুইজনই যদি আবারও  সাক্ষী হয় তাহলে তার বিবাহ শুদ্ধ হবে কি? পুনরায় বিবাহ করার সময় ইজাব বলার সময় "পুনরায় বিবাহ" কিংবা "বিবাহ নবায়ন" এই ধরনের বাক্য বলা জরুরি  কি?

প্রশ্ন (৪)কোন বেক্তি যদি মহোরানার টাকার কিছু টাকা নগদ দেয় আর বাকী টাকা তার স্ত্রীর কাছে যদি ক্ষমা চায় আর তার স্ত্রী যদি ক্ষমা করে দেয় তাহলে বিবাহের কোন সমস্যা হবে  কি?

★ হুজুর অনুরোধ করছি প্রশ্নের ক্রম অনুযায়ী  উত্তর দিবেন এবং ১নং ও ২নং প্রশ্নের উত্তরে যদি কোন কিছু পতিত  না হয় তাহলে তার কারনটা জানাবেন দয়া করে। আল্লাহ আপনাকে শান্তিতে রাখুক।

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
কোন স্ত্রী লোক যদি টাকার জন্য বিয়ে করে এবং তার স্বামীকে যদি এই কথা বলে তাহলে ঐ স্ত্রীর উপর কোন কিছু পতিত হবেনা।এবং তার বিবাহ শুদ্ধ হবে।

কারন এখানে তো তার স্বামী তাকে তালাক দেয়নি।
আর টাকার কারনে বিবাহ করা,এটি বিবাহ শুদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধক নয়।

(১)
যদি স্ত্রী লোকটি তার স্বামীর কাছে মিথ্যা বলে তাহলে তালাক সংক্রান্ত কোন কিছু হবেনা।

(০২)
তালাক খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

কেনায়া তালাকের বাক্য হলো,
হেদায়া গ্রন্থে আছেঃ 

وَالضَّرْبُ الثَّانِي: الْکِنَايَاتُ، وَلاَيَقَعُ بهَا الطلاَقُ إلاَّبِنِيَةٍ، اَوْ دَلالَةٍ حَالٍ. وَهِيَ عَلَی ضَرْبَيْنِ: مَنْها ثَلاَثَةُ اَلْفَاظٍ يَقَعُ بهَا الطّلاقُ الرَّجْعِيُّ،وَلاَيَقَعُ بهَا إِلا وَاحَدَةٌ، وَهِيَ قَوْلُهُ: اعْتَدِّي، وَاسْتَبْرِئِي رَحِمَکِ، وَاَنْتِ وَاحِدَةٌ، وَبَقِيَةُ الْکِنَايَاتِ إِذا نَوَی بهَا الطلاَقَ کَانَتْ وَاحِدَةً بَائِنَةً، وَإِنْ نَوَی بِهَا ثَلاَثاً کَانَتْ ثَلاَثاً، وَإِنْ نَوَی اثْنَتَيْنِ کَانَتْ وَاحِدَةً، وَهَذَا مِثْلُ قَوْلِهِ: اَنْتِ بَائِنٌ، وَبَتَّةٌ، وَبَتْلَةٌ، وَحَرَامٌ، وَحَبْلُکِ عَلَی غَارِبِکِ، وَالْحَقی بِاَهْلِک، وَخَلِيَةٌ، وَبَرِيّةٌ، وَوَهَبْتُکِ لاهْلِکِ، وَسَرَّحْتُکِ، وَاخْتَارِيْ، وَفارَقْتُکِ، وَاَنْتِ حُرَّةٌ، وَتَقَنَّعِي، وَتَخَمَّرِي، وَاسْتَتِرِيْ، وَاغْرُبِيْ، وَابْتَغِي الاَزْوَاجَ، فَإِنْ لَمْ يَکُنْ لَهُ نِيَةٌ لَمْ يَقَعْ بِهٰذِهِ الاَلْفَاظِ طَلاَقٌ؛ إِلا اَنْ يَکُوْنَا فِيْ مُذَاکَرَةِ الطّلاَقِ؛ فَيَقَعُ بِهَا الطّلاَقُ فِيْ الْقَضَاءِ، وَلاَيَقَعُ فِيْمَابَيْنَةُ وَبَيْنَ اﷲِ تَعَالَی إِلاَّ اَنْ يَنْوِيَهُ، وَإِنْ لَمْ يَکُوْنَا فِيْ مَذَاکَرَةِ الطّلاَقِ، وَکَانافِيْ غَضَبٍ اَوْ خُصُوْمَةٍ، وَقَعَ الطّلاَقُ بِکُلِّ لَفْظٍ لاَ يُقْصَدُ بِهِ السَّبُّ وَالشَّتِيْمَةُ، وَلَمْ يَقَعْ بِمَا يُقْصَدُبِهِ السَّبُّ وَالشَّتِيْمَةُ إِلاَّ اَنْ يَنْوِيَةُ.
احمد بن محمد البغدادي المعروف بالقدوري، مختصر القدوري: 363. 364، موسسة الريان للطباعة والنشر والتوزيع، بيروت
برهان الدين علي المرغيناني، الهداية شرح البداية، 1: 241، المکتبة الاسلامية

সারমর্মঃ  
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে যে তোমাকে আমি ছেড়ে  দিলাম, যা খুশি তাই করো,তুমি মুক্ত, তুমি স্বাধীন, তুমি স্বামী খুজো,বা স্বামী তালাশ করো,তাহলে এটিও কেনায়া তালাক।
কেনায়া তালাক হলো ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারা যেটা হয়।
কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে নিয়ত তথা তালাকের ইচ্ছা থাকা অত্যাবশ্যক। আর কেনায়া তালাক দ্বারা এক তালাকে বায়েন পতিত হয়।
(হেদায়া ১/২৪১)

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কোন ব্যাক্তি যদি তার স্ত্রীকে হাসি তামাশা করে বলে আমরা বিয়ে করি নাই তাহলে তার স্ত্রীর উপর তালাক পতিত হবেনা।

কেননা এটি কেনায়া তালাকের বাক্য নয়,তাই কোনো সমস্যা নেই।

এতে শুধু মিথ্যা বলার গুনাহ হবে।

(০৩)
তার বিবাহ শুদ্ধ হবে।
পুনরায় বিবাহ করার সময় ইজাব বলার সময় "পুনরায় বিবাহ" কিংবা "বিবাহ নবায়ন" এই ধরনের বাক্য বলা জরুরি নয়।

(০৪)
তাহলে বিবাহের কোন সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (38 points)
edited by
জাজাকাল্লাহ। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...