জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ مِنْ أَكْبَرِ الْكَبَائِرِ أَنْ يَلْعَنَ الرَّجُلُ وَالِدَيْهِ ". قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَكَيْفَ يَلْعَنُ الرَّجُلُ وَالِدَيْهِ قَالَ " يَسُبُّ الرَّجُلُ أَبَا الرَّجُلِ، فَيَسُبُّ أَبَاهُ، وَيَسُبُّ أَمَّهُ ".
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কবীরা গুনাহসমূহের মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো নিজের পিতা-মাতাকে লা’নত করা। জিজ্ঞেস করা হলোঃ হে আল্লাহর রাসূল! আপন পিতা-মাতাকে কোন লোক কীভাবে লা’নত করতে পারে? তিনি বললেনঃ সে অন্যের পিতাকে গালি দেয়, তখন সে তার পিতাকে গালি দেয় এবং সে অন্যের মাকে গালি দেয়, তখন সে তার মাকে গালি দেয়। [বুখারী ৫৯৭৩.মুসলিম ১/৩৮, হাঃ ৯০, আহমাদ ৬৫৪০] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৪০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৩৫)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
কেউ যদি আপনার আব্বু আম্মুকে গালি দেয় তাহলে তার প্রতি আপনার করণীয় হলো তাকে গালি না দিয়ে ভালোভাবে বুঝানো বা স্থান ত্যাগ করা।
আপনি যদি তাকে ধমক দেন,সেটিও জায়েজ,তবে গালি দেয়া যাবেনা।
কেননা হাদীস শরীফে এসেছেঃ
রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, মুসলমানকে গালি দেওয়া ফাসেকি। আর তার সঙ্গে লড়াই, ঝগড়া করা কুফুরি। (বুখারি, হাদিস : ৬০৪৫)
অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, মুমিন কখনো দোষারোপকারী, অভিশাপদাতা, অশ্লীলভাষী ও গালাগালকারী হয় না। (তিরমিজি, হাদিস : ২০৪৩)
(০২)
আল্লাহর রাস্তায় শাহাদত বরণকারীগন বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবে।
সুতরাং তাদের জন্য হিসাব নিকাশ হবেনা।
তবে তাদের কবর হবে, হাশরেও তারাও
উপস্থিত হবে,পুলছিরাতে তারাও পার হবে।
(০৩)
শক্তি থাকলে হাত দিয়ে প্রতিহত করা।
এমন শক্তি না থাকলে যবান দ্বারা প্রতিবাদ করা।
এমন শক্তি না থাকলে অন্তরে ঘৃণা করা।
(০৪)
আপনি মুফতী যুবায়ের আহমদ সাহেব দাঃবাঃ এর লিখিত "হিন্দু ভাইদের দাওয়াত দেয়ার পথ ও পদ্ধতি" নামক গ্রন্থটি পড়ে দাওয়াত দেয়ার পদ্ধতি জেনে আপনার বাবা মাকে দাওয়াত দিতে পারেন।
প্রয়োজনে "হিন্দু থেকে মুসলমান" সিরিজের বইগুলো তাদের হাদিয়া দিতে পারেন।
(০৫)
পূর্ণ শরীয়ত মেনে চলতে হবে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর নীতি আদর্শ মেনে চলতে হবে, গুনাহ মুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে।
ফরজ ইবাদতের পাশাপাশি নফল নামাজ,নফল রোযা ইত্যাদি আদায় করতে হবে।
অপর মুমিনের সাথে পরস্পর ভালোবাসা ও অন্তরঙ্গতার সম্পর্ক তৈরি করতে হবে।
নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘মুমিন সবার আপন হয়, অন্তরঙ্গ হয়। যে অন্তরঙ্গ হয় না এবং যার সঙ্গে অন্তরঙ্গ হওয়া যায় না, তার মাঝে কোনো কল্যাণ নেই।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৯১৯৮)
সকল মানুষের সাথে উত্তম আখলাক দেখাতে হবে।
(০৬)
তার প্রতিবেশী থেকে তার বিষয়ে জেনে নিতে পারেন,
সে যেই প্রতিষ্ঠানে পড়ে,তাদের থেকেও সহায়তা নিতে পারেন।
তার পরিবারে দ্বীনদারিত্ব আছে কিনা,সেটিও লক্ষ্য করতে পারেন।
পূর্ণ ভাবে ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায়,রোযা আদায়,হাত মোজা পা মোজা সহ পূর্ণ পর্দা করে কিনা,সেই বিষয় জেনে নিবেন,কথা বলা ও দেখা সাক্ষাৎ এর ক্ষেত্রে গায়রে মাহরাম মেইনটেইন করে কিনা,সেটিও জেনে নিবেন।