আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
174 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (15 points)
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ
(১) মেসেজের চ্যাটে কোন ছেলে এভাবে লিখছে আমি বিয়ে পড়াতে পারি আমি দোয়া দুরুদ বা সুরা পড়তেসি তুমি কবুল লিখে পাঠাও। মেয়েটা শুধু কবুল লিখে পাঠায় এতে কি বিয়ে হবে?
ছেলেটাকে মেয়েটা জিজ্ঞেস করছিল কোন সাক্ষী ছিল কিনা ছেলেটা বলছিল কোন সাক্ষী ছিলনা। মেয়েটার এখানেও কোন সাক্ষী ছিল না।
(২) যদি সাক্ষী থাকেও তাহলেও এভাবে  কি বিয়ে হয়?
মেয়েটা এবং ছেলেটার কথোপকথন কেও শোনে নাই। শুধু চ্যাটিং এ এমন হইছিল।। তবে মেয়েটা স্পষ্ট না সে কবুল লিখছিল কি না। তার সন্দেহ হয় তবে মাথা ঠান্ডা করে ভাবলে মনে হয় কবুল লেখে নাই। ছেলেটা সব সময় বলতো মেয়েটাকে অন্য ছেলে  দেখে বিয়ে করতে।

(৩) সামনাসামনি এমন কথোপকথন কখনো হয়নি ছেলেটার সাথে কিন্তু জানার জন্য প্রশ্ন সামনাসামনি এমন কথোপকথন কি ইজাব কবুল হিসাবে ধরা হবে?

শায়েখ একটু জরুরি প্রশ্ন একটু জলদি উত্তর পেলে খুশি হবো।

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/11771/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যেঃ-
ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-
বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।

উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 
বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- “তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর।”[মুসনাদে আহমাদ এবং সহীহ জামে গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলা হয়েছে (১০৭২)]
۔
ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।

উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।

উপরোক্ত তিনটি শর্ত  পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,    
বিবাহ সহীহ হওয়ার জন্য শর্ত হল দু’জন আযাদ প্রাপ্ত বয়স্ক বিবেকবান দুই জন মুসলিম স্বাক্ষের সামনে পাত্র/পাত্রি প্রস্তাব দিবে আর অপরপক্ষে পাত্র/পাত্রি তা কবুল করবে। আর সাক্ষিগণ উভয়ের কথা সুষ্পষ্টভাবে শুনবে। আর শরয়ী এ শর্তাবলী পরিপূর্ণভাবে মোবাইলে পাওয়া সম্ভব নয়। তাই টেলিফোন বা মোবাইলে বিবাহ করা জায়েজ নয়। {ফাতওয়ায় উসমানী-২/৩০৪,৩০৫}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,    
(০১)
এভাবে বিবাহ শুদ্ধ হয়না।

(০২)
যদি সাক্ষী থাকেও তাহলেও এভাবে বিয়ে শুদ্ধ হয়না।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বিবাহ শুদ্ধ হয়নি।

(০৩)
মোবাইলে নয়,বরং সরাসরি সামনা সামনি যদি ছেলে মেয়ে এভাবে ইজাব ও কবুল করে তথা পাত্র পাত্রীর মধ্য হতে একজন প্রস্তাব দেয়,আর অপর জন কবুল বলে,পাত্র পাত্রী যদি উভয়েই বালেগ বালেগাহ হয়,  আর সেখানে পাত্র পাত্রী ছাড়াও ২ জন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ সাক্ষী হিসেবে থাকে,তাহলে সেক্ষেত্রে বিবাহ হবে।

এসব শর্তের কোনোটি না পাওয়া গেলে বিবাহ শুদ্ধ হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...