ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া
বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
□ প্রভূ বা ইলাহর সংক্ষিপ্ত পরিচয় সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন-
قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ. اللَّهُ الصَّمَدُ.
لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ. وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ
বলুন, তিনি
আল্লাহ, এক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী,
তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি এবং তার সমতুল্য কেউ
নেই। সূরা ইখলাছ
□ আল্লাহ তায়ালা বলেন-
وَإِلَـٰهُنَا وَإِلَـٰهُكُمْ وَاحِدٌ
وَنَحْنُ لَهُ مُسْلِمُونَ
আমাদের উপাস্য ও তোমাদের উপাস্য একই এবং আমরা তাঁরই আজ্ঞাবহ। সূরা আনকাবুত,
আয়াত নং-৪৬
□ আল্লাহ তায়ালা বলেন-
تَاللَّهِ إِن كُنَّا لَفِي ضَلَالٍ
مُّبِينٍ. إِذْ نُسَوِّيكُم بِرَبِّ الْعَالَمِينَ. وَمَا أَضَلَّنَا إِلَّا الْمُجْرِمُونَ.
আল্লাহর কসম, আমরা
প্রকাশ্য বিভ্রান্তিতে লিপ্ত ছিলাম। যখন আমরা তোমাদেরকে বিশ্ব-পালনকর্তার সমতুল্য
গন্য করতাম। আমাদেরকে দুষ্টকর্মীরাই গোমরাহ করেছিল। সূরা শুআরা, আয়াত নং-৯৭-৯৯
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. ইলাহ শব্দের অর্থ
হলো প্রভূ। আর তিনি হলেন একমাত্র আল্লাহ তায়ালা। তাকে ছাড়া অন্য কাউকে ইলাহ হিসেবে
স্বীকার করা বা মান্য করা যাবে না।
২. আপনার কথার দ্বারা
যতটুকু বুঝতে পারছি তা হলো যাদেরকে প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে অনুসরণ করা হয় তারা হলো রাজনীতিক
নেতা অথবা অন্য কোনো মাতব্বর ব্যক্তিবর্গ। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যদি তারা কুরআন-হাদীস
বিরোধী কোনো আদেশ দিয়ে থাকে এবং তাদের অনুসারীরা তা মান্যও করে থাকে তাহলে ঊভয় শ্রেণীর
লোকই গোমরাহ ও গোনাহগার এবং ঈমান হারা হয়ে জাহান্নামে যাবে যা সূরা
শুআরার আয়াত দ্বারা আমরা বুঝতে পারছি।