আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
130 views
in সাওম (Fasting) by (17 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
১/ নফল সালাত আদায় করা অবস্থায়, সালাত শেষ হওয়ার আগেই যদি হায়েজ এসে যায় তাহলে সুস্থ হওয়ার পর কি এই নফল সালাত কাযা আদায় করে দিতে হবে? যেহেতু সালাত শুরু করা হয়েছিল কিন্তু মাঝখানে হায়েজ এসে যাওয়ায় সালাত পূর্ণ শেষ করা পসিবল হয় নি।

২/ কেউ যদি নফল রোজা রাখে কিন্তু হায়েজ হয়ে যাওয়ার কারণে সে রোজা পূর্ণ করতে না পারে তাহলে সুস্থ হওয়ার পর তার জন্য এই রোজা কাযা আদায় করে নেয়া কি ওয়াজিব হবে?

1 Answer

0 votes
by (566,400 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

أَخْبَرَنَا عِمْرَانُ بْنُ يَزِيدَ، قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، - وَهُوَ ابْنُ سَمَاعَةَ - قَالَ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ عُرْوَةَ، أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ قَيْسٍ، مِنْ بَنِي أَسَدِ قُرَيْشٍ أَنَّهَا أَتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَتْ أَنَّهَا تُسْتَحَاضُ فَزَعَمَتْ أَنَّهُ قَالَ لَهَا " إِنَّمَا ذَلِكِ عِرْقٌ فَإِذَا أَقْبَلَتِ الْحَيْضَةُ فَدَعِي الصَّلاَةَ وَإِذَا أَدْبَرَتْ فَاغْتَسِلِي وَاغْسِلِي عَنْكِ الدَّمَ ثُمَّ صَلِّي " .

ইমরান ইবনু ইয়াজিদ (রহঃ) ... উরওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, কুরাইশ বংশের আসা’দ গোত্রের ফাতিমা বিন্ত কায়স (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন যে, তার ইস্তিহাযা হয়। তিনি মনে করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এ একটি শিরা (শিরার রক্ত) বিশেষ। অতএব যখন হায়য আরম্ভ হবে তখন সালাত ছেড়ে দেবে। আর যখন তা বন্ধ হবে তখন গোসল করবে এবং তোমার ঐ রক্ত ধুয়ে ফেলবে। অতঃপর সালাত আদায় করবে।

সহিহ, বুখারি হাঃ ৩০৬, মুসলিম (ইসলামিক সেন্টার) হাঃ ৬৫৯।

أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، قَالَ حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ هَاشِمٍ، قَالَ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا أَقْبَلَتِ الْحِيضَةُ فَدَعِي الصَّلاَةَ وَإِذَا أَدْبَرَتْ فَاغْتَسِلِي

হিশাম ইবনু আম্মার (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন হায়েয আসে তখন সালাত ছেড়ে দেবে, আর যখন তা বন্ধ হয়ে যায়, তখন গোসল করবে।
সহিহ, বুখারি ও মুসলিম।

★শরীয়তের বিধান হলো,নফল সালাত আদায় করা অবস্থায়, সালাত শেষ হওয়ার আগেই যদি হায়েজ এসে যায় তাহলে সুস্থ হওয়ার পর এই নফল সালাত কাযা আদায় করতে হবে।

তবে ফরজ নামাজের ক্ষেত্রে এরকমটি হলে সেটি মাফ,সেটির কাজা আদায় করতে হবেনা।

ফাতওয়ার কিতাবে আছেঃ- 

الفتاوى الهندية (1 / 38):
"لو افتتحت الصلاة في آخر الوقت، ثم حاضت لايلزمها قضاء هذه الصلاة، بخلاف التطوع، كذا في الخلاصة".
সারমর্মঃ-
যদি কেহ শেষ ওয়াক্তে নামাজ শুরু করে,অতঃপর (নামাজের মাঝেই) হায়েজ চলে আসে,তাহলে উক্ত নামাজের কাজা আবশ্যক নয়।
তবে নফল নামাজ এর ব্যাতিক্রম (সেক্ষেত্রে কাজা আবশ্যক।) 

الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (1 / 291):
"ولو شرعت تطوعًا فيهما فحاضت قضتهما خلافًا لما زعمه صدر الشريعة، بحر.
 (قوله :  ولو شرعت تطوعًا فيهما) أي في الصلاة والصوم؛ أما الفرض ففي الصوم تقضيه دون الصلاة وإن مضى من الوقت ما يمكنها أداؤها فيه؛ لأن العبرة عندنا لآخر الوقت، كما في المنبع (قوله: فحاضت) أي في أثنائهما (قوله: قضتهما) للزومهما بالشروع".
সারমর্মঃ-
যদি নফল নামাজ শুরু করে,অতঃপর হায়েজ চলে আসে,তাহলে এর কাজা আদায় করতে হবে। 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
নফল সালাত আদায় করা অবস্থায়, সালাত শেষ হওয়ার আগেই যদি হায়েজ এসে যায় তাহলে সুস্থ হওয়ার পর এই নফল সালাত কাযা আদায় করতে হবে।

(০২)
কেউ যদি নফল রোজা রাখে কিন্তু হায়েজ হয়ে যাওয়ার কারণে সে রোজা পূর্ণ করতে না পারে, তাহলে সুস্থ হওয়ার পর তার জন্য এই রোজা কাযা আদায় করে নেয়া আবশ্যক হবে।
কেননা নফল শুরু করার দ্বারা তাহা পূর্ণ করা আবশ্যক হয়ে যায়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...