১.জেনে শুনে হারাম কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা কুফরি এমনটা শুনেছি, জানতে চাই যে। কি ধরনের হারাম কাজে কিভাবে বিসমিল্লাহ/ইনশাআল্লাহ ইত্যাদি বললে কুফর হবে?
২.হারাম আয় করে এমন আত্নীয়ের বাসায় খাওয়ার আগে বিসমিল্লাহ বলা, পরিপূর্ণ পর্দা না করে বাইরে বের হওয়ার সময় বিসমিল্লাহ বলা,মেলায় জামাই এর সাথে যাওয়ার সম্ভাব্য বুঝাতে ইনশাআল্লাহ বলা এসব ক্ষেত্রেও কি কুফর হবে?
৩. সন্দেহপূর্ণ জিনিস খাবার আগে কি বিসমিল্লাহ বলবো?
(ভয়ে অনেক কাজে বিসমিল্লাহ বলা বাদ পরে যাচ্ছে আমার, একটু দিক নির্দেশনা দিবেন দয়া করে)
৪. কেও যদি ভাবে যে এইরকম পরিস্থিতি আসলে বিদেশে সহজে যাওয়ার জন্য কুফরী করে ফেলবে ও পরে তওবা করে নিবে, কিন্তু পরক্ষণেই তার এই ভাবনার জন্য অনুতপ্ত হলো। এভাবে কুফরি করার নিয়ত করলে কি সে কাফের হয়ে যাবে?
৫. আমার আম্মু, সেদিক কাকে যেনো ফোনে বলছেন তুমিতো অনেক দিন বেড়াতে আসো না, তখন সে বললে আল্লাহর হুকুম হলে, আসবো। তখন তিনি বললেন যে" আল্লাহর হুকুম তো তোমার হাতে" এটা বলে কি বলেছেন পুরোপুরি মনে নাই, সম্ভবত বলেছিলেন তুমি আসার ইচ্ছে করো না এরকম কিছু। ফোন রাখার পর তাকে বলি এই কথা কেনো বলেছেন, বেখেয়ালি বলেছেন কি না। এভাবে বলা ঠিক হয় নি, তিনি কিছুাি বললেন না,খাওয়া খাচ্ছিলেন, আর বললেন যে"এইতো ভাত খাচ্ছি আমি এটাও আল্লাহর হুকুম"। সম্ভবত উনি বুঝাতে চেয়েছেন যে আমরা ইচ্ছা করলে যা করি তাই আল্লাহর হুকুমের বহিঃপ্রকাশ। বা এরকম কিছু, উনার আল্লাহকে ছোট করার ইচ্ছে থাকার কথা না,উনি এসব ভয় করেন, হয়তো কথায় কথায় বলেদিয়েছেন, বুঝেন নি কথাটা গুরুতর, উনি কি কাফের হয়েগেছেন? উনাদের বিবাহে সমস্যা হবে?
৬.আল্লাহ মানুষকে দুঃখ-কষ্ট দেন এভাবে বলা কি আল্লাহকে নেগেটিভ কাজে দায়ী করা হয়?এভাবে কি বলা যায় সরাসরি?
৭. কেও একজন ভেবেছিলো যে আল্লাহ মানুষকে দুঃখ কষ্ট দিয়ে পরীক্ষা করেন এটা কোরআনে আছে, ওরে সরাসরি এভাবে হুবুহু পেলো না, তার এই ভাবনার ফলে কি
কুফর হবে?
৮. জামাই/বউ একে অপরকে রেখে দূরে কোথায় যাওয়র সময় বা একটা জাগায় রেখে অতিক্রম করার সময় যদি বলে তোমাকে ছেড়ে যাচ্ছি/রেখে যাচ্ছি/ফেলে যাচ্ছি। অপরজন যদি জবাব দেয়, হ্যা ঠিকইতো। তবে কি তাদের তালা* হবে?
৯.কেও যদি অপর মুসলিমকে মজা করে বলে " তোমার ভগবান যা বলে তা করো" এটা কি কুফরি হবে? আমার আম্মা এই কথা মজা করে অনেককে বলে, উনি হয়তো জানেন না এই কথা ভালো না খারাপ উনিকি কুফর হবেন এজন্য?
১০. একজন একটা পোস্টে লেখলো হাস-মুরগির ডিম আর সাপের ডিম খাওয়ার মধ্যে তফাত নাই(হয়তো স্বাদ বা পুষ্টি উদ্দেশ্য)। এই লেখা শেয়ার করে আমার বউ লিখেছে " ডিমের যে দাম! এবার সাপের ডিম খুঁজতে হবে".... তার এই কাজ কি কুফরী হয়েছে? তাকে এই বিষয়ে জিগ্যেসাবাদ করা কি জরুরী? (সাপের ডিম হালাল /হারাম নিশ্চিত তা জানা নাই আমারো,তাই তাকে কিছু বলিনি,তবে আদতে নাজায়েজ ই মনে হচ্ছে ,)
১১. বাইবেলের কোনো ঘটনা বর্ননায় কেও যাদি ইসা(আাঃ) কে যীশু বলে তবে কি কুফর হবে?