জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আল্লাহ তা'আলা বলছেন
إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاء وَالْمَسَاكِينِ وَالْعَامِلِينَ عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ وَفِي الرِّقَابِ وَالْغَارِمِينَ وَفِي سَبِيلِ اللّهِ وَابْنِ السَّبِيلِ فَرِيضَةً مِّنَ اللّهِ وَاللّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ
যাকাত হল কেবল (১)ফকির, (২)মিসকীন, (৩)যাকাত উসূলকারী ও (৪)যাদের চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদের হক (৫)এবং তা দাস-মুক্তির জন্যে ও (৬)ঋণগ্রস্তদের জন্য, (৭)আল্লাহর পথে জেহাদকারীদের জন্যে এবং(৮) মুসাফিরদের জন্যে, এই হল আল্লাহর নির্ধারিত বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।(সূরা আত-তাওবাহ-৬০)
ফকির-মিসকিন শব্দের ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা বর্ণিত থাকলেও আমরা একটুকু বলতে পারি যে,যার নেসাব পরিমাণ মাল নেই তাকে যাকাত দেওয়া যাবে।
এটা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, ঐ অসুস্থ ব্যক্তি যে অর্থোপার্জনে অক্ষম,এবং যার নিকট এ পরিমাণ সম্পদও নেই যে,যা সে চিকিৎসা হিসেবে ব্যয় করবে।সে ব্যক্তি অবশ্যই যাকাতের হক্বদার।
এমনকি সে যাকাতের অন্যান্য হক্বদারের চেয়েও বেশী হক্বদার হবে।কেননা সে প্রথমত গরীব,দ্বিতীয়ত অক্ষম,এবং তৃতীয়ত বর্তমানে সে জীবনযুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে।
যাকাত মূলত গরীবকেই প্রদাণ করা হয়ে থাকে।যার নেসাব পরিমাণ মাল (চায় নামী হোক বা গায়রে নামী)নেই।অতঃপর সে ঐ টাকা-কে তার প্রয়োজনে ব্যবহার করবে। চিকিৎসা বা অন্যান্য প্রয়োজনে সে ব্যয় করবে।
মোটকথাঃ শুধুমাত্র অসুস্থতার জন্য কাউকে যাকাত দেয়া যাবে না।অসুস্থতা যতবড়ই হোক না কেন? তবে যদি অসুস্থ ব্যক্তি যাকাতের হকদ্বার হয়,তাহলে এক্ষেত্রে তাকে যাকাত দেয়া যাবে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্ন উল্লেখিত নার্স-এর যেহেতু এখন আর চিকিৎসা করানোর টাকা নেই,সুতরাং তিনি যাকাত গ্রহনের হকদার।
তাই তার চিকিৎসা করানোর জন্য যাকাতের টাকা দেওয়া যাবে। দিলে সেটা যাকাত হিসেবে কাউন্ট হবে।