আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
105 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (53 points)
(১ম পয়েন্ট)আমার স্বামী একদিন আমাকে বলেছিলো "তোমারতো ওলির প্রয়োজন আমি তোমার ওলি নই" পরে তাকে এটা নিয়ে জিজ্ঞেস করি যে "এখনতো আমি তোমার ওলি নই।তোমার ওলির প্রয়োজন"একথাটা আপনি কোন উদ্দেশ্যে সেদিন  বলছেন? সে উত্তর দেয় এটাতো আমি এজন্য বলছি যে তুমি যে মাসয়ালা নিয়েছো সে অনুযায়ী তো আমি তোমার ওলি (অভিভাবক) থাকি না।তুমি যেহেতু মাসয়লা আনছো হয়ে গেছে যদি কেউ মাসয়ালা দেয় হয়ে গেছে (বিচ্ছেদ হয়েছে)তাহলে আমি কি তোমার ওলি থাকি?কিন্তু আমিসেই হুজুরের মাসয়ালা পুরোপুরি মেনে নেই নি কারন অনেক আলেক আলেম বলছে তালাক হবে না।তাও মনে ডাউট হচ্ছিলো যে কোনো সমস্যা হয়ে গেল কিনা কিন্তু সে বলছে চাচ্ছে আমি নাকি ঐ হুজুরের(একজন বলেছিলো তালাক হবে যাবে) মাসয়ালা গ্রহন করেছিলাম তা না হলে একজন মুহাক্ককিক আলেমের কাছে জিজ্ঞেস করার পর আবার উনাকে কেন জিজ্ঞেস করলাম কেন?সুতরাং আমার আনা মাসয়ালা অনুযায়ী সে আমার ওলি নাই এটা সে বুুুুঝিয়েছে।আরো বলছে এখানে আমার কি করার আছে?আমি কি তোমায় বলছি যে তুমি যে মসয়ালা আনছো তাতে তোমার ওলি প্রয়োজন(বলেছিলো এটা)।তোমার মাসয়ালা অনুযায়ী আমি তোমার ওলি থাকি  কিভাবে থাকি?আমি কি বলছি যে আমার উপর তোমার দায়িত্ব নেই বা আমার অভিভাবকত্ব থেকে চলে গেছো।তুমি যা করছো তাতেই তো আমি তোমার অভিভাবকত্ব থেকে চলে যাই।তুমি মাসয়ালা আনছো তাতে তুমি আমার ইসে থাকো না।তুমি ফতোয়া আনছো সে ভিত্তিতে আমি বলছি।তোমার ফতোয়া অনুযায়ী আমি তোমার ওলি না।সে নিজের পক্ষ থেকে এটা বুঝাইনি।

(২য় দিন)এদিন তাকে আবার কৌশলে তালাকের নিয়ত ছিলো কিনা এটা নিয়ে জিঞ্জেস করলে সে বলে তার ওরকম কোনো নিয়ত ছিলো(তোমারতো ওলির প্রয়োজন আমি তোমার ওলি নই)সে আরো বলছে তুমি এখন বলছো তোমার ভিতর এখনো ডাউট আছে এখনো ওয়াসওয়াসা আছে"আমি সেদিন বলছি তুমি খুলনা যাও আন্টিকে(আমার মাকে) ফোন করে আনছি অথবা তুমি যদি এখন থাকো আমি তোমার দায়িত্বে নেই(অথবা পরের বাক্যটা তিনি এভাবে বলেনি বলছে আমি তোমার ওলি নই)।আমি এটা বলছি তাহলে এটা আমার পক্ষ থেকে বলছি   আর এ কারনে আমার থেকে তুমি ফারেক হয়ে গেছ।"★এটা তো আমার পক্ষ থেকে বলিনি যে তুমি খুলনা যাও আমি যদি এমনিতেই বলতাম তুমি খুলনা যাও তোমার দায়িত্ব আমি আর নিবনা বা তুমি এখন থেকে আমার দায়িত্বাধীন না তাহলে তুমি বলতে পারতা যে আপনি যে কথাটা বলেছেন এটার মাধ্যমে শরীয়তমতে ফারেক হয়ে যায়/গেছে।এটা তো আমার আমার কারনে না তুমি ফতোয়া আনছো সেই ভিত্তিতে বলছি।

কিন্তু হঠাৎ আজ আমার পুরাতন ডায়রীতে উক্ত ব্যাপারে কিছু লেখা পেয়েছি যেটা সম্পর্কে মনে করতে পারছি না যে এটা উপরের ১ম পয়েন্টে আমার প্রশ্নের উত্তরে তার বলা কথাগুলোর পরের অংশ কিনা বা আমি তার কথার মাঝাখান থেকে মাঝখান থেকে বিচ্ছিন্ন ভাবে লিখে রাখছি কিনা নাকি ২য় দিনে আমার স্বামীর কথাগুলোরই অংশ ডায়রীতে লেখা কথাগুলো।লেখা যখন আছে তখন কোনো না কোনো কারনে তো লিখছি কিন্তু মনে করতে পারছিনা।তবে ডায়রীর লেখাগুলোর মাঝে ৪লাইন স্পেস তারপর ২য় দিনের ঘটনাটাও লেখা আছে কিন্তু ২য় দিন তিনি ডায়রীর এ কথাগুলো কথাগুলো আগে বললেনি ২য় দিনের ঘটনাটা যেভাবে উল্লেখ করছি ঐ ভাবেই বলছিলো

লেখাগুলো হলো-"তুমি আমার দায়িত্বে না তুমি ফারেগ হয়ে গেছো তোমার ফতোয়া অনুযায়ী আমি তোমার ওলি না।তার পক্ষ থেকে বলেনি আমার ফতোয়ার উপর ভিত্তি করে বলেছে তোমার অভিভাবকত্ব নিবো না তুমি ফারেগ হয়ে যাও তোমার ফতোয়া অনুযায়ী বলছি আমি তোমার ওলি না""

এভাবেই লেখা আছে ডায়রীতে কথা গুলো।এর পর ৪ লাইন স্পেস তারপর ২য় দিনের ঘটনাটা লেখা।যদি লেখাগুলো ২য় দিনে তার বলা কথাগুলোর আগের অংশ হয়ে থাকে তাহে তো ৪ লাইন স্পেস থাকবেনা পরের অংশ হতে পারে নাও পারে।

প্রশ্ন-

১.১ম পয়েন্টে আমার প্রশ্নের উত্তরে সে যে কথাগুলো বাক্যগুলো বলছে তাতে কি কোনো তালাক হবে??

২.ডায়রীর লেখাগুলো যেটা আমি উল্লেখ করেছি (তুমি আমার দায়িত্বে না তুমি ফারেগ হয়ে গেছো তোমার ফতোয়া অনুযায়ী আমি তোমার ওলি না।তার পক্ষ থেকে বলেনি আমার ফতোয়ার উপর ভিত্তি করে বলেছে তোমার অভিভাবকত্ব নিবো না তুমি ফারেগ হয়ে যাও তোমার ফতোয়া অনুযায়ী বলছি আমি তোমার ওলি না"") এগুলো যদি ১ম পয়েন্টের স্বামীর কথাগুলোর পরের অংশ হয়ে থাকে তাহলে কি একথাগুলো দ্বারা  কোনো তালাক হবে??

৩.২য় দিন যে কথাগুলো বলছে (তুমি বলছো তোমার ভতর এখনো ডাউট আছে এখনো ওয়াসওয়াসা আছে যে আমি সেদিন বলছি তুমি খুলনা যাও আন্টিকে(আমার মাকে) ফোন করে আনছি অথবা তুমি যদি এখন থাকো আমি তোমার দায়িত্বে নেই(অথবা পরের বাক্যটা তিনি এভাবে বলেনি বলছে আমি তোমার ওলি নই)।আমি এটা বলছি তাহলে এটা আমার পক্ষ থেকে বলছি   আর এ কারনে আমার থেকে তুমি ফারেক হয়ে গেছ।"★এটা তো আমার পক্ষ থেকে বলিনি যে তুমি খুলনা যাও আমি যদি এমনিতেই বলতাম তুমি খুলনা যাও তোমার দায়িত্ব আমি আর নিবনা বা তুমি এখন থেকে আমার দায়িত্বাধীন না তাহলে তুমি বলতে পারতা যে আপনি যে কথাটা বলেছেন এটার মাধ্যমে শরীয়তমতে ফারেক হয়ে যায়/গেছে।এটা তো আমার আমার কারনে না তুমি ফতোয়া আনছো সেই ভিত্তিতে বলছি  একথাগুলো বলাতে কোনো তালাক হবে??যদিও আমি তাকে বলিনি একথাগুলো আমার ওয়াসওয়াসা

৪.২য় দিন যে কথাগুলো বলছে (তুমি বলছো তোমার এখনো ডাউট আছে এরপর আর যা যা বলছে) তার পরের অংশ হিসেবে যদি ডাইরীর কথাগুলো(তুমি আমার দায়িত্বে না তুমি ফারেগ হয়ে গেছো তোমার ফতোয়া অনুযায়ী আমি তোমার ওলি না।তার পক্ষ থেকে বলেনি আমার ফতোয়ার উপর ভিত্তি করে বলেছে তোমার অভিভাবকত্ব নিবো না তুমি ফারেগ হয়ে যাও তোমার ফতোয়া অনুযায়ী বলছি আমি তোমার ওলি না"") বলে তাহলে কি কোনো তালাক হবে??

৫.ডায়রীতে লেখা কথাগুলো (তুমি আমার দায়িত্বে না তুমি ফারেগ হয়ে গেছো তোমার ফতোয়া অনুযায়ী আমি তোমার ওলি না।তার পক্ষ থেকে বলেনি আমার ফতোয়ার উপর ভিত্তি করে বলেছে তোমার অভিভাবকত্ব নিবো না তুমি ফারেগ হয়ে যাও তোমার ফতোয়া অনুযায়ী বলছি আমি তোমার ওলি না"") যদি অন্য কোন সময়ে সে বলে থাকে তাহলে কি কোনো তালাক হবে??বা ২য় দিন যে বলছে আমি যদি এমনিতেই বলতাম তুমি খুলনা যাও তোমার দায়িত্ব আমি আর নিবনা বা তুমি এখন থেকে আমার দায়িত্বাধীন না তাহলে তুমি বলতে পারতা যে আপনি যে কথাটা বলেছেন এটার মাধ্যমে শরীয়তমতে ফারেক হয়ে গেছে।এটা তো আমার আমার কারনে না তুমি ফতোয়া আনছো সেই ভিত্তিতে বলছি এটা কি শর্তযুক্ত তালাক হবে?

৬.তোমার হাতে শেষ পর্যন্ত/এখন(শেস পর্যন্ত/এখন দুইটার যেকোনো একটা বলছে)একটা বিষয় আছে বিচ্ছেদ হওয়া একথা বলাতে কি তালাক হবে? তালাকের অধিকার দেয়া হবে?

৭.তুমি ফারেগ হয়ে গেছো একথা বলাতে কি তালাক হয়?

1 Answer

0 votes
by (686,640 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক খুবই মারাত্মক একটি বিষয়। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 


★★শরিয়তের পরিভাষায় কেনায়া বাক্যে তালাক দেয়াটাকে বলা হয় ‘কেনায়া তালাক’ বা ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারা তালাক। আর কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে নিয়ত তথা তালাকের ইচ্ছা থাকা অত্যাবশ্যক। আর কেনায়া তালাক দ্বারা এক তালাকে বায়েন পতিত হয় ৷

সুতরাং যদি কেউ স্ত্রীকে এরূপ কথা বলে এবং তালাকের নিয়ত করে, তবে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। আর যদি তালাকের নিয়ত না করে তাহলে তালাক হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/৩৭৫)

ফাতওয়ার কিতাবে আছেঃ 

وَالضَّرْبُ الثَّانِي: الْکِنَايَاتُ، وَلاَيَقَعُ بهَا الطلاَقُ إلاَّبِنِيَةٍ، اَوْ دَلالَةٍ حَالٍ. وَهِيَ عَلَی ضَرْبَيْنِ: مَنْها ثَلاَثَةُ اَلْفَاظٍ يَقَعُ بهَا الطّلاقُ الرَّجْعِيُّ،وَلاَيَقَعُ بهَا إِلا وَاحَدَةٌ، وَهِيَ قَوْلُهُ: اعْتَدِّي، وَاسْتَبْرِئِي رَحِمَکِ، وَاَنْتِ وَاحِدَةٌ، وَبَقِيَةُ الْکِنَايَاتِ إِذا نَوَی بهَا الطلاَقَ کَانَتْ وَاحِدَةً بَائِنَةً، وَإِنْ نَوَی بِهَا ثَلاَثاً کَانَتْ ثَلاَثاً، وَإِنْ نَوَی اثْنَتَيْنِ کَانَتْ وَاحِدَةً، وَهَذَا مِثْلُ قَوْلِهِ: اَنْتِ بَائِنٌ، وَبَتَّةٌ، وَبَتْلَةٌ، وَحَرَامٌ، وَحَبْلُکِ عَلَی غَارِبِکِ، وَالْحَقی بِاَهْلِک، وَخَلِيَةٌ، وَبَرِيّةٌ، وَوَهَبْتُکِ لاهْلِکِ، وَسَرَّحْتُکِ، وَاخْتَارِيْ، وَفارَقْتُکِ، وَاَنْتِ حُرَّةٌ، وَتَقَنَّعِي، وَتَخَمَّرِي، وَاسْتَتِرِيْ، وَاغْرُبِيْ، وَابْتَغِي الاَزْوَاجَ، فَإِنْ لَمْ يَکُنْ لَهُ نِيَةٌ لَمْ يَقَعْ بِهٰذِهِ الاَلْفَاظِ طَلاَقٌ؛ إِلا اَنْ يَکُوْنَا فِيْ مُذَاکَرَةِ الطّلاَقِ؛ فَيَقَعُ بِهَا الطّلاَقُ فِيْ الْقَضَاءِ، وَلاَيَقَعُ فِيْمَابَيْنَةُ وَبَيْنَ اﷲِ تَعَالَی إِلاَّ اَنْ يَنْوِيَهُ، وَإِنْ لَمْ يَکُوْنَا فِيْ مَذَاکَرَةِ الطّلاَقِ، وَکَانافِيْ غَضَبٍ اَوْ خُصُوْمَةٍ، وَقَعَ الطّلاَقُ بِکُلِّ لَفْظٍ لاَ يُقْصَدُ بِهِ السَّبُّ وَالشَّتِيْمَةُ، وَلَمْ يَقَعْ بِمَا يُقْصَدُبِهِ السَّبُّ وَالشَّتِيْمَةُ إِلاَّ اَنْ يَنْوِيَةُ.
احمد بن محمد البغدادي المعروف بالقدوري، مختصر القدوري: 363. 364، موسسة الريان للطباعة والنشر والتوزيع، بيروت
برهان الدين علي المرغيناني، الهداية شرح البداية، 1: 241، المکتبة الاسلامية

সারমর্মঃ  
২য় প্রকার,কেনায়া বাক্য।
এর দ্বারা তালাক হবেনা,কিন্তু তালাকের নিয়ত অথবা অবস্থার ভিত্তিতে তালাক হবে। কেনায়া বাক্য দুই প্রকার। এর মধ্যে তিনটি শব্দ এমন আছে, যার দ্বারা  তালাকে রজয়ী পতিত হয়। 
সেগুলো হলোঃ- তুমি ইদ্দত পালন করো,তুমি তোমার গর্ভাশয় মুক্ত করো,তুমি এক।

আর কেনায়া তালাকের অন্যান্য শব্দ (যেক্ষেত্রে তালাকের নিয়ত করলে বায়েন তালাক হয়।)
যেমনঃ- তুমি বিচ্ছিন্ন, তুমি সম্পর্ক মুক্ত,তুমি ভিন্ন,তুমি হারাম,তুমি শুণ্য,তুমি মুক্ত,তোমার রশি তোমার কাঁধে,তুমি তোমার পরিবারবর্গের সাথে মিলিত হও,আমি তোমাকে তোমার পরিবারের জন্য হেবা-দান করলাম,আমি তোমাকে মুক্ত করে দিলাম,আমি তোমাকে বিচ্ছিন্ন করে দিলাম,তোমার বিষয় তোমার হাতে,তুমি আযাদ,তুমি ঘোমটা পড়,তুমি ওড়না দ্বারা নিজেকে আবৃত করো,তুমি আড়াল হও (পর্দা করো), তুমি বিদূরিত হও, তুমি বের হয়ে যাও,তুমি চলে যাও,তুমি দন্ডায়মান হও (দাঁড়িয়ে যাও), তুমি অন্য স্বামী খুজো।
স্বামীর যদি এখানে নিয়ত না থাকে,তাহলে এ সব বাক্য দ্বারা তালাক হবেনা। তবে মুযাকারায়ে তালাকের ক্ষেত্রে হলে তালাক হবে।
(কুদুরী ৩৬৩.৩৬৪. হেদায়া শরহুল বিদায়াহ ১/২৪১,শরহে বিকায়াহ ২/৭৭)

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
উপরোক্ত কথা গুলোতে স্বামীর তালাক প্রদানের নিয়ত থাকলে তালাক হবে। 
নতুবা তালাক হবেনা।

(০২)
স্বামীর তালাক প্রদানের নিয়ত থাকলে তালাক হবে 
নতুবা তালাক হবেনা।

(০৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এখানে স্বামীর তালাক প্রদানের নিয়ত নাই।
তাই তালাক হবেনা।

(৪.৫)
উপরোক্ত কথা গুলোতে স্বামীর তালাক প্রদানের নিয়ত থাকলে তালাক হবে 
নতুবা তালাক হবেনা।

(০৬)
একথা বলাতে তালাক হবেনা। তালাকের অধিকার দেয়া হবেনা।

(০৭)
স্বামী উক্ত বললে এক্ষেত্রে স্বামীর তালাক প্রদানের নিয়ত থাকলে তালাক হবে। 
নতুবা তালাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (53 points)
এখানকার কোনো কথায় কি উক্ত মজলিস গুলো তালাকের  তালাকের মজলিস হবে?? 
by (686,640 points)
না,তালাকের মজলিস হবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...