بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
ইসলাম স্বভাবজাত
ধর্ম। মানুষের পরিচ্ছতা ও সৌন্দর্য এবং সুস্থতা ও কমনীয়তার নেয়ামত রক্ষায় ইসলামে
অনেক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। যার কারণে ইসলাম মানুষের শরীরের অবাঞ্ছিত লোম, নখ ইত্যাদি বিনা ওজরে চল্লিশ দিন পর কাটাকে
মাকরূহ তাহরীমি বা গোনাহর কাজ বলেছে। এ মর্মে সাহাবি আনাস (রা.) বলেন,
وُقِّتَ لَنَا فِي قَصِّ الشَّارِبِ،
وَتَقْلِيمِ الأَظْفَارِ، وَنَتْفِ الإِبِطِ، وَحَلْقِ الْعَانَةِ، أَنْ لاَ
نَتْرُكَ أَكْثَرَ مِنْ أَرْبَعِينَ يَوْماً.
অর্থাৎ:
গোঁফ ছোট রাখা , নখ কাঁটা, বগলের লোম উপড়িয়ে ফেলা এবং নাভীর নিচের
লোম চেঁছে ফেলার জন্যে আমাদেরকে সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছিল যেন, আমরা তা করতে চল্লিশ দিনের অধিক দেরি না
করি। (মুসলিম ২৫৮)।
তবে অনেক
সময় বলা হয়, এই সময়
অতিক্রম করলে ইবাদত কবুল হয় না ; এই কথা ঠিক নয়।
আর রোজা
ভঙ্গের সঙ্গে চুল, নখ ও অবাঞ্ছিত
লোম কাটার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। রোজা নষ্ট হবার সম্পর্ক হলো পানাহার ও সহবাসের সঙ্গে।
(মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক, হাদিস
: ৭৪৬৮)। আর অবাঞ্ছিত লোম কাটার পর গোসল ফরজ হয় না।
উল্লেখ্য, ব্লেড, ক্ষুর বা কাঁচি দ্বারা গোপনাঙ্গের লোম
পরিষ্কার করা পুরুষ ও নারী উভয়ের জন্য জায়েয। অনুরূপভাবে হেয়ার রিমুভার জাতীয় কেমিক্যাল
দ্বারা পরিষ্কার করাতেও শরীয়তের কোনো বাধা নেই। তবে পুরুষের জন্য চেঁছে ফেলা এবং নারীদের
জন্য উপড়িয়ে ফেলা মুস্তাহাব। (কিতাবুল ফিকহ আ’লাল মাযাহিবিল আরবাআ’ ২/৪৫)। (সংগৃহিত)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নবি সা. এর যুগে মানুষ কাপড় পরিধান করত।তখনকার সময়ে মানুষ
হাত দ্বারা পোষাক তৈরী করতো। এবং উস্তোরা তথা নখ কাটার যন্ত্র বিশেষ দ্বারা দিয়ে নখ
কাটত।যদিও সেটা এখনকার সময়ের মত ছিলনা। এবং উস্তোরা তথা কাচি জাতীয় জিনিষ দ্বারা বগলের
পশম কাটত বা উপড়াত। ঠিকতেমনিভাবে নাভীর নিচের লোমককেও পরিষ্কার করত। এভাবে বগলের পশমকেও
কাটত বা উপড়াতো।