জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী নামাজের ভিতর প্রতি রাকাতে সুরা ফাতেহা পড়া ওয়াজিব।
যদি কেহ প্রতি রাকাতে সুরা ফাতেহা না পড়ে,তাহলে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।
যদ সেজদায়ে সাহু আদায় না করে,তাহলে তার নামাজ আবার পড়তে হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا ابْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، حَدَّثَنَا جَعْفَرٌ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: أَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلي الله عليه وسلم أَنْ أُنَادِيَ:أَنَّهُ لَا صَلَاةَ إِلَّا بِقِرَاءَةِ فَاتِحَةِ الْكِتَابِ فَمَا زَادَ -
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে আদেশ করেন যে, আমি যেন ঘোষণা করি, সূরাহ ফাতিহা এবং তার সাথে অন্য (সূরাহ বা আয়াত) না মিলালে সলাতই হবে না।
(আবু দাউদ ৮২০.আহমাদ (২/২৪২৮), হাকিম (১/২৩৯) ইয়াহইয়া সূত্রে।
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
(الدرالمختار مع الرد)
"ولها واجبات وهي قرائة فاتحة الکتاب ... (و) في جمیع رکعات النفل؛ لأن کلّ شفع منه صلاة، وکل الوتر". (ج :1،ص :459،ط:سعید کراچی)
নামাজের ওয়াজিব গুলোর মধ্য হতে অন্যতম একটি ওয়াজিব হলো সুরা ফাতেহা পড়া।,,
(اللباب في شرح الکتاب)
"والسهو يلزم إذا زاد في صلاته فعلاً من جنسها ليس منها، أو ترك فعلاً مسنوناً أو ترك قراءة فاتحة الكتاب، أو القنوت، أو التشهد، أو تكبيرات العيدين، أو جهر الإمام فيما يخافت أو خافت فيما يجهر. (جلد :1،ص:47،الناشر : دار الكتاب العربي)
যার সারমর্ম হলো সুরা ফাতেহা,দোয়ায়ে কুনুত,তাশাহুদ,,,,ইত্যাদি না ভূলক্রমে না পড়লে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।