আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
165 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (13 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।
প্রশ্ন টা আমি আগেও করেছিলাম। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে কিছু বিষয় অস্পষ্ট ছিল তাই আবার স্পষ্ট করে লিখছি।
আমি আমার স্ত্রীকে বলেছি, যদি বিয়ের আগে তোমার সম্পর্ক থেকে থাকে তাহলে আমাদের ডিভোর্স হয়ে যাবে।
এখানে ডিভোর্স হয়ে যাবে বলতে আমি বুঝাতে চেয়েছি ভবিষ্যতে ডিভোর্স হয়ে যাবে। আমি দেবো বা দিচ্ছি এরকম না। বরং যেকোন কারনে যেকোন দিন হয়ে যাবে। যেহেতু তার অতীত সম্পর্কে আমি অজ্ঞ, যদি তার সত্যিই সম্পর্ক থেকে থাকে থাহলে সেই পাপের শাস্তি হিসেবে ভবিষ্যতে কোন না কোন ডিভোর্স হয়ে যাবে। যেমন একজন আরেকজন কে বলে, তুমি যদি আমার আমার ক্ষতি করে থাকো তবে তোমারও ক্ষতি হয়ে যাবে।
এখানে বিয়ের আগে তার সম্পর্ক থাকার পরিনাম বা শাস্তি হিসাবে যেকোন ভাবে আমাদের বিচ্ছেদ হবে,এরকম বুঝাতে চেয়েছি।
বিয়ের আগে সম্পর্ক থেকে থাকলে তাতক্ষনিক ভাবে ডিভোর্স হয়ে যাবে এমন টা বুঝাতে চাইনি।

এই বিষয় নিয়ে খুলনার দারুল উলুম মাদ্রাসার ইফতা বিভাগে মুফতি ফরিদুল হুজুরকে  সশরীরে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলে উনি বলেন এতে কোন সমস্যা নাই।
আমার মনে হচ্ছিল আমার লেখার মধ্যে অস্পষ্টতা ছিল এজন্য আপনাকে গতবার ঠিকমত বুঝাতে পারি নাই।
আমার হাতে ১ তালাক বাকি আছে।
আপনি আরেকটু ভেবে চিনতে ফায়সালা দিলে খুব উপকৃত হতাম হুজুর।
বিরক্ত করার জন্য দুঃখিত।

1 Answer

0 votes
by (574,470 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


তালাক এটি খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

★শরীয়তের বিধান হলো, যদি কেহ অতিতকালীন বাক্য ব্যবহার করে স্ত্রীকে তালাক দেয়,তাহলে সেই (অতিতকালীন) সময়ে স্ত্রী যদি তার মালিকানায় থাকে,তাহলে স্ত্রীর উপর তালাক পতিত হবে। 
নতুবা তালাক পতিত হবেনা। 

فتاوی شامی :
’’(وإن قالت شئت إن كان الأمر قد مضى) أراد بالماضي المحقق وجوده كإن كان أبي في الدار وهو فيها، أو إن كان هذا ليلا وهي فيه مثلا (طلقت) لأنه تنجيز(وإن قالت شئت إن كان الأمر قد مضى) أراد بالماضي المحقق وجوده كإن كان أبي في الدار وهو فيها، أو إن كان هذا ليلا وهي فيه مثلا (طلقت) لأنه تنجيز۔‘‘
(فصل فی المشیئۃ، ج۔ ۳،ص۔ ۳۳۵،ط۔سعید)
সারমর্মঃ-
যদি কেহ বলে যে আমি তালাকের ইচ্ছা করলাম (তালাক গ্রহন করলাম) যদি অতিতকালে উক্ত কাজ হয়ে থাকে,তাহলে তৎক্ষনাৎ তালাক পতিত হবে। 

 وإن أضاف الطلاق إلے الزمان الماضي وکانت المرأة في مکلہ یقع الطلاق للحال (البدائع، ج۴ ص۲۹۱)
সারমর্মঃ-
যদি কেহ অতিতকালীন বাক্যের সাথে তালাকের নিসবত করে স্ত্রীকে তালাক দেয়,তাহলে সেই (অতিতকালীন) সময়ে স্ত্রী যদি তার মালিকানায় থাকে,তাহলে স্ত্রীর উপর তৎক্ষনাৎ তালাক পতিত হবে। 

بدائع الصنائع في ترتيب الشرائع"133,132/3:
وفیہ:"فإن أضافه إلى الزمان الماضي ينظر: إن لم تكن المرأة في ملكه في ذلك الوقت لا يقع الطلاق، وإن كانت في ملكه يقع الطلاق للحال وتلغو الإضافة........ ولو قال لها: أنت طالق أمس فإن كان تزوجها اليوم لا يقع لما قلنا وإن كان تزوجها أول من أمس يقع الساعة؛ لأنه حينئذ تعذر تصحيحه بطريق الإخبار لانعدام المخبر به فيكون كذبا فيصحح بطريق الإنشاء، ثم تعذر تصحيحه إنشاء الإضافة؛ لأن إسناد الطلاق الموجود للحال إلى الزمان الماضي محال فبطلت الإضافة واقتصر الإنشاء على الحال فيقع الطلاق للحال."
সারমর্মঃ-
যদি কেহ অতিতকালীন বাক্যের সাথে তালাকের নিসবত করে স্ত্রীকে তালাক দেয়,তাহলে দেখতে হবে যে সেই (অতিতকালীন) সময়ে স্ত্রী যদি তার মালিকানায় ছিলো কিনা?
যদি সেই সময়ে স্ত্রী তার মালিকানায় না থাকে,তাহলে তালাক হবেনা।
আর যদি সেই সময়ে স্ত্রী তার মালিকানায় থাকে,তাহলে স্ত্রীর উপর তৎক্ষনাৎ তালাক পতিত হবে। 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক পতিত হবেনা।
আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্ক আগের মতোই বহাল রয়েছে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...