আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
162 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (7 points)
কুরিয়ারের কন্ডিশন সার্ভিসটি হলোঃ- আমি যে ব্যক্তির কাছে পণ্য বিক্রি করছি বা পাঠাচ্ছি তার থেকে আমি যে পরিমাণ টাকা পাওনা আছি সে পরিমাণ টাকার কথা আমি কুরিয়ারকে বলে দিতে হবে। এরপর কুরিয়ার এই পণ্যটি ঐ ব্যক্তির কাছে পাঠাবে কিন্তু যে পরিমাণ টাকা আমি পাওনা আছি তা কুরিয়ারকে না দেয়া পর্যন্ত সে ব্যক্তি কুরিয়ার থেকে পণ্যটি নিতে পারবে না। যে পরিমাণ টাকা আমি পাওনা আছি, সে পরিমাণ টাকা কুরিয়ারকে দিয়ে তারপর সে ব্যক্তি পণ্যটি নিতে পারবে। এরপর কুরিয়ার তার থেকে টাকাটি নিয়ে তাকে পণ্যটি দিবে। তারপর কুরিয়ার আমার সেই পাওনা টাকা আমাকে দিবে।

কুরিয়ারে কোনো পণ্য ডেলিভারির ক্ষেত্রে চার্জ করা হয় ১৩০ টাকা ( যদি চট্টগ্রামের বাইরের কোনো বিভাগে পণ্য পাঠানো হয় )। কিন্তু কুরিয়ারের কন্ডিশন সার্ভিসে কোনো পণ্য পাঠালে, সে ক্ষেত্রে ১৩০ টাকা ডেলিভারি চার্জের সাথে যে টাকা আমার পাওনা আছে (ঐ ব্যক্তির কাছ থেকে যে আমার পণ্যটি নিবে বা যার নিকট আমি পণ্যটি পাঠাচ্ছি ) সে টাকার প্রতি ১০০ টাকায় কুরিয়ারকে ১ টাকা দিতে হয়। অর্থাৎ, যদি আমি কোনো পণ্য কুরিয়ারের কন্ডিশন সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠাই এবং আমি যদি ঐ ব্যক্তির থেকে ২০০ টাকা পাওনা থাকি ( যে আমার পণ্যটি নিবে বা যার নিকট আমি পণ্যটি পাঠাচ্ছি ) তাহলে কুরিয়ারকে আমি মোট ১৩০+২ (২০০ এর ১%) = ১৩২ টাকা দিতে হবে। এই টাকার ১৩০ টাকা পণ্য পাঠানোর সময় দিতে হবে এবং কুরিয়ার যখন আমাকে আমার সেই পাওনা ২০০ টাকা দিবে (ঐ ব্যক্তি কুরিয়ারকে আমার পাওনা ২০০ টাকা দিয়ে পণ্য গ্রহণের পর) তখন আমাকে সেই ২০০ টাকা কুরিয়ার থেকে গ্রহণের সময় কুরিয়ারকে বাকি ২ টাকা দিতে হবে।

এখন আমার প্রশ্ন হলোঃ- এই ২ টাকা কুরিয়ারকে দেয়াটি কি হালাল হবে? নাকি এটি হারাম? আর এই ২ টাকা দেয়ার কারণে কি আমার ঐ পাওনা ২০০ টাকাটিও হারাম হয়ে যাবে?
এক্ষেত্রে আরেকটি প্রশ্ন হলো যেঃ- যদি ঐ ব্যক্তি কোনো কারণে পণ্যটি না নেয় তখন কুরিয়ার আমাকে আমার পণ্য ফেরত দিয়ে দিবে, কিন্তু তখনও আমাকে সেই ২ টাকা দিতে হবে। এই ২ টাকা দেয়া কি তখন হারাম হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইমাম বোখারী রাহ বলেনঃ
" ﺑَﺎﺏ ﺃَﺟْﺮِ ﺍﻟﺴَّﻤْﺴَﺮَﺓِ . ﻭَﻟَﻢْ ﻳَﺮَ ﺍﺑْﻦُ ﺳِﻴﺮِﻳﻦَ ﻭَﻋَﻄَﺎﺀٌ ﻭَﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢُ ﻭَﺍﻟْﺤَﺴَﻦُ ﺑِﺄَﺟْﺮِ ﺍﻟﺴِّﻤْﺴَﺎﺭِ ﺑَﺄْﺳًﺎ .ﻭَﻗَﺎﻝَ ﺍﺑْﻦُ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ : ﻻ ﺑَﺄْﺱَ ﺃَﻥْ ﻳَﻘُﻮﻝَ : ﺑِﻊْ ﻫَﺬَﺍ ﺍﻟﺜَّﻮْﺏَ ﻓَﻤَﺎ ﺯَﺍﺩَ ﻋَﻠَﻰ ﻛَﺬَﺍ ﻭَﻛَﺬَﺍ ﻓَﻬُﻮَ ﻟَﻚَ .
ﻭَﻗَﺎﻝَ ﺍﺑْﻦُ ﺳِﻴﺮِﻳﻦَ : ﺇِﺫَﺍ ﻗَﺎﻝَ ﺑِﻌْﻪُ ﺑِﻜَﺬَﺍ ﻓَﻤَﺎ ﻛَﺎﻥَ ﻣِﻦْ ﺭِﺑْﺢٍ ﻓَﻬُﻮَ ﻟَﻚَ ، ﺃَﻭْ ﺑَﻴْﻨِﻲ ﻭَﺑَﻴْﻨَﻚَ ﻓَﻠَﺎ ﺑَﺄْﺱَ ﺑِﻪِ .ﻭَﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ( ﺍﻟْﻤُﺴْﻠِﻤُﻮﻥَ ﻋِﻨْﺪَ ﺷُﺮُﻭﻃِﻬِﻢ)
ইবনে সিরীন, আত্বা,ইবরাহিম,হাসান, রাহ এর মত যুগশ্রেষ্ট ইমামগণ দালালী ব্যবসায় শরয়ী কোনো সমস্যা মনে করেন না। ইবনে আব্বাস রাহ,বলেনঃকোনো অসুবিধা নেই এরকম কোনো চুক্তিতে যে, কেউ কাউকে বলল,তুমি এই মাল এত টাকায় বিক্রি কর,এর(পুর্ব নির্ধারিত মূল্যর) চেয়ে বেশী যা লাভ হবে তা তোমার।
ইবনে সিরীন রাহ বলেনঃযখন কেউ কাউকে বললঃ তুমি এই মাল এত টাকায় বিক্রি কর, যা লাভ হবে অথবা এর চেয়ে বেশী যা লাভ হবে, তা তোমার অথবা তা আমার এবং তোমার মধ্যে বন্টিত হবেএরকম চুক্তিতে কোনো সমস্যা নেই। নবী কারীম সাঃ বলেনঃ- মুসলমানগন তাদের  কৃতচুক্তির আওতাধীন।অর্থাৎ শরীয়ত বিরোধী চুক্তি না হলে তা অবশ্যই পূরণীয় এবং পূরণ করতে হবে,এবং দালালীও একটি চুক্তি বিধায় তা বৈধ ও পূরণীয় ।(সহীহ বোখারী-৩/৯২, হাদীস নং ২২৭৪ এর শিরোনাম) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/44

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার বর্ণনাকৃত কন্ডিশনে কুরিয়ার সার্ভিস সুবিধা গ্রহণ করা জায়েয। এবং এই সুবিধা গ্রহণ করে যে সার্ভিস ফ্রি কুরিয়ার কম্পানিকে দেয়া হবে, সেটাও জায়েয হিসেবে বিবেচিত হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...