জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
পুরুষের জন্য মাহরাম হচ্ছে ঐসব মহিলা যাদের সাথে উক্ত পুরুষের বৈবাহিক সম্পর্ক চিরতরে হারাম; সেটা ঘনিষ্ট আত্মীয়তার কারণে।
যেমন মাতা, যত উপরের স্তরে হোক না কেন। সন্তান, যত নীচের স্তরের হোক না কেন। খালাগণ। ফুফুগণ। বোন। ভাই এর মেয়ে। বোনের মেয়ে।
কিংবা দুধ পানের কারণে। যেমন- নারীর দুধ বোন। দুধ-মা ।
কিংবা বৈবাহিক সম্পর্কের কারণে। যেমন- বাবার এর স্ত্রী। স্ত্রীর মাতা, যত উপরের স্তরের হোক না কেন। স্ত্রীর সন্তান, যত নীচের স্তরের হোক না কেন।
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
......حرمت عليكم أمهاتكم وبناتكم واخواتكم وعماتكم
তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতা, তোমাদের কন্যা, তোমাদের বোন, তোমাদের ফুফু, তোমাদের খালা, ভ্রাতৃকণ্যা; ভগিনীকণ্যা তোমাদের সে মাতা, যারা তোমাদেরকে স্তন্যপান করিয়েছে, তোমাদের দুধ-বোন, তোমাদের স্ত্রীদের মাতা, তোমরা যাদের সাথে সহবাস করেছ সে স্ত্রীদের কন্যা যারা তোমাদের লালন-পালনে আছে। যদি তাদের সাথে সহবাস না করে থাক, তবে এ বিবাহে তোমাদের কোন গোনাহ নেই। তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রী এবং দুই বোনকে একত্রে বিবাহ করা; কিন্তু যা অতীত হয়ে গেছে। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাকরী, দয়ালু। এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়-এটা তোমাদের জন্য আল্লাহর হুকুম। এদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্যে সব নারী হালাল করা হয়েছে, শর্ত এই যে, তোমরা তাদেরকে স্বীয় অর্থের বিনিময়ে তলব করবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য-ব্যভিচারের জন্য নয়। অনন্তর তাদের মধ্যে যাকে তোমরা ভোগ করবে, তাকে তার নির্ধারিত হক দান কর। তোমাদের কোন গোনাহ হবে না যদি নির্ধারণের পর তোমরা পরস্পরে সম্মত হও। নিশ্চয় আল্লাহ সুবিজ্ঞ, রহস্যবিদ। (সূরা নিসা: ২৩-২৪)
আরো জানুনঃ
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত মায়ের চাচি মামি আপনার মাহরাম নয়।
তাদের সামনে পর্দা মেনে চলতে হবে।
(০২)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে অনিচ্ছায় একবার তাকালে সেটা নাজায়েজ নয়।
তবে ইচ্ছা করে তাকানো বা অনিচ্ছায় একবার নজর পরে যাওয়ার পর সেই নজর না হটানো,বা পরবর্তীতে আবার নজত দেওয়া সবই নাজায়েজ।
কুরআনে কারীমে ইরশাদ হয়েছে,
إِنَّ السَّمْعَ وَالبَصَرَ وَالفُؤَادَ كُلُّ أُولَئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُولًا.
...নিশ্চয় কান, চোখ, হৃদয় এর প্রতিটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। সূরা বনী ইসরাঈল (১৭) : ৩৬
আলী রা.-কে নবীজী বলেছেন,
يَا عَلِيُّ لَا تُتْبِعِ النَّظْرَةَ النَّظْرَةَ، فَإِنَّ لَكَ الأُولَى وَلَيْسَتْ لَكَ الآخِرَةُ.
হে আলী! (হঠাৎ) দৃষ্টি পড়ে যাওয়ার পর আবার দ্বিতীয়বার তাকিয়ো না। কারণ, (হঠাৎ অনিচ্ছাকৃত পড়ে যাওয়া) প্রথম দৃষ্টি তোমাকে ক্ষমা করা হবে, কিন্তু দ্বিতীয় দৃষ্টি ক্ষমা করা হবে না। জামে তিরমিযী, হাদীস ২৭৭৭