ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আরবরা চিহ্ন ছাড়া পড়তে পারে বলে আরবী নুসখা গুলোতে সকল ওয়াকফ চিহ্ন দেয়া হয়নি। ওয়াকফ চিহ্ন কখন হবে, কোন কোন শব্দে হবে তা নিয়ে অবশ্যই ক্বারি সাহেবদের মধ্যে মতপার্থক্য হয়েছে। এর মূল কারণ হল, আরববাসীদের জন্য ওয়াকফ চিহ্নের কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই, এমনকি যবর যের পেশ ইত্যাদিরও কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই। বরং তারা এমনিতেই পড়তে পারে।পরবর্তীতে অনারবীদের কুরআন পড়ার সুবিধার্থে হরকত দেয়া হয়।
আল্লামা তকী উসমানী দামাত বারাকাতুহুম ‘উলূমুল কুরআন’-এ বলেন,
এ সম্পর্কিত সকল বর্ণনা সামনে রাখলে প্রতীয়মান হয় যে, হরকত (যের, যবর ও পেশ) সর্বপ্রথম হযরত আবুল আসওয়াদ দুয়ালী রাহ. আবিষ্কার করেন। কিন্তু হরকতের রূপ এখন যেমন দেখা যায় তেমন ছিল না। তখন ছিল ফোঁটার মতো। যবরের জন্য উপরে এক ফোঁটা দেওয়া হত, যেরের জন্য নিচে এক ফোঁটা আর পেশের জন্য সামনে এক ফোঁটা দেওয়া হত। তানভীনের জন্য দুই ফোঁটা ব্যবহৃত হত। এরপর খলীল বিন আহমদ রাহ. হামযাহ ও তাশদীদের বর্তমান রূপটি আবিষ্কার করেন। এরপর হাজ্জাজ বিন ইউসুফ ইয়াহইয়া বিন ইয়ামার রাহ. ও নাসর বিন আসেম রাহ.-এর মাধ্যমে কুরআনে কারীমে হরফসমূহে নুকতা লাগানোর ব্যবস্থা করেন। এই সময়ই মূলত নুকতা ও হরকতের পার্থক্যের উদ্দেশ্যে হরকতের বর্তমান রূপটি অবলম্বন করা হয়। [ উলূমুল কুরআন পৃ. ১৯৫]