আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
190 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (10 points)

আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ আমার প্রশ্নের উত্তর আমি ভালভাবে বুঝতে পারি নি৷ আর দিতিয় প্রশ্নের উত্তরটা দেয়া হয় নি৷ দিয়ে দিলে মুনাসিব হত।

আর আব্বু যদি বলে  তোমাকে যে সরন কিনে দিয়েছি তাতেই তোমার মহরানা কিন্তু কিনার সময় এরকম কোন কথাই হয় নি তো তখন আম্মুর কি করা উচিত।

 

আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ আমার আম্মু আব্বুর কাছে মহরানার টাকা চায় আর তখন আব্বু দিতে নারাজ হয় তখন কি করনীয়।
আর আব্বু যদি বলে  তোমাকে যে সরন কিনে দিয়েছি তাতেই তোমার মহরানা কিন্তু কিনার সময় এরকম কোন কথাই হয় নি তো তখন আম্মুর কি করা উচিত।

   

1 Answer

 

0votes

answered 11 hours ago by মুফতী ইমদাদুল হক (488,600 points)
edited 4 hours ago by মুফতী ইমদাদুল হক

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মহর দুই প্রকার যথা,
(১)مهرمعجل মহরে মু'আজ্জল তথা এমন মহর যা তারাতারি পরিশোধ করা হবে। এমন মহর পরিশোধের পূর্ব পর্যন্ত স্ত্রী চাইলে নিজেকে স্বামী থেকে দূরে রাখতে পারবে।
(২)مهر مؤجل মহরে মু'য়াজ্জল, তথা এমন মহর যা পরবর্তীতে পরিশোধ করা হবে। এমন মহরের বেলায় স্ত্রী নিজেকে স্বামী থেকে দূরে রাখতে পারবে না।

فِي كُلِّ مَوْضِعٍ دَخَلَ بِهَا أَوْ صَحَّتْ الْخَلْوَةُ وَتَأَكَّدَ كُلُّ الْمَهْرِ لَوْ أَرَادَتْ أَنْ تَمْنَعَ نَفْسَهَا لِاسْتِيفَاءِ الْمُعَجَّلِ لَهَا ذَلِكَ عِنْدَهُ خِلَافًا لَهُمَا-
প্রত্যেক ঐ বর কনে যাদের মধ্যকার সহবাস বা খালওয়াতে সহিহা হয়ে গেছে, যেজন্য সম্পূর্ণ মহর ওয়াজিব হয়ে গেছে,যদি এখন মহিলা মহরে মু'আজ্জল উসূলের জন্য নিজেকে স্বামী থেকে দূরে রাখতে চায়,তাহলে ইমাম আবু হানিফা রাহ এর মতে সে মহিলার জন্য অনুমোদন থাকবে।
(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩১৭)

وَإِذَا كَانَ الْمَهْرُ مُؤَجَّلًا أَجَلًا مَعْلُومًا فَحَلَّ الْأَجَلُ لَيْسَ لَهَا أَنْ تَمْنَعَ نَفْسَهَا لِتَسْتَوْفِي الْمَهْرَ عَلَى أَصْلِ أَبِي حَنِيفَةَ وَمُحَمَّدٍ - رَحِمَهُمَا اللَّهُ تَعَالَى -، كَذَا فِي الْبَدَائِعِ
তবে যদি মহরের নির্দিষ্ট কোনো সময় সীমা থাকে না,তাহলে মহিলা নিজেকে স্বামী থেকে দূরে রাখতে পারবে না,স্বামীকে বাধা দিতেও পারবে না।
(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩১৮)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/54326

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার আম্মুর মহর যদি মু'য়াজ্জল হয়, তাহলে আপনার আম্মুর জন্য এখন মহর চাওয়া উচিৎ হবে না।আর যদি মু'আজ্জল হয়, তাহলে আপনার আম্মু আপনার বাবার কাছে মহর চাইতে পারবে।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
স্বামীর উপর ওয়াজিব যে,সে তার স্ত্রীর ভরণপোষণ করবে।
الرِّجَالُ قَوَّامُونَ عَلَى النِّسَاءِ بِمَا فَضَّلَ اللَّهُ بَعْضَهُمْ عَلَى بَعْضٍ وَبِمَا أَنْفَقُوا مِنْ أَمْوَالِهِمْ
পুরুষেরা নারীদের উপর কৃর্তত্বশীল এ জন্য যে, আল্লাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে।(সূরা নিসা-৩৪)

لِيُنْفِقْ ذُو سَعَةٍ مِنْ سَعَتِهِ وَمَنْ قُدِرَ عَلَيْهِ رِزْقُهُ فَلْيُنْفِقْ مِمَّا آتَاهُ اللَّهُ لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلَّا مَا آتَاهَا
বিত্তশালী ব্যক্তি তার বিত্ত অনুযায়ী ব্যয় করবে। যে ব্যক্তি সীমিত পরিমাণে রিযিকপ্রাপ্ত, সে আল্লাহ যা দিয়েছেন, তা থেকে ব্যয় করবে।(সূরা তালাক-৭)

হাকীম ইবনু মু‘আবিয়াহ আল-কুশাইরী (রহ.) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত।
وعَنْ مُعَاوِيَةَ الْقُشَيْرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ : " قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا حَقُّ زَوْجَةِ أَحَدِنَا عَلَيْهِ ؟ قَالَ : ( أَنْ تُطْعِمَهَا إِذَا طَعِمْتَ ، وَتَكْسُوَهَا إِذَا اكْتَسَيْتَ ، وَلَا تَضْرِبْ الْوَجْهَ ، وَلَا تُقَبِّحْ ، وَلَا تَهْجُرْ إِلَّا فِي الْبَيْتِ)
তিনি বলেন, একদা আমি বলি, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের কারো উপর তার স্ত্রীর কি হক রয়েছে? তিনি বললেনঃ তুমি যখন আহার করবে তাকেও আহার করাবে। তুমি পোশাক পরিধান করলে তাকেও পোশাক দিবে। তার মুখমন্ডলে মারবে না, তাকে গালমন্দ করবে না এবং পৃথক রাখতে হলে ঘরের মধ্যেই রাখবে।(আবু দাউদ-২১৪২,ইবনে মা'জা-১৮৫০)

স্বামী তার স্ত্রীর ভরণপোষণ আদায় না করলে এবং স্ত্রীকে সঙ্গ না দিলে,স্ত্রী যদি কাযী সাহেবের নিকট বিচার দায়ের করে,তাহলে কাযী সাহেব উক্ত বিবাহকে ভঙ্গ করে দেয়ার অধিকার রাখেন।(জাদীদ ফেকহী মাসাঈল-৩/১০০)বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/5139

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
দৈনন্দিন জীবন যাপনের জন্য যে সমস্ত জিনিষের প্রয়োজন, সেগুলো স্ত্রীকে প্রদান করা স্বামীর উপর ওয়াজিব।তবে বিলাসিতার জন্য কোনো কিছু দেওয়া স্বামীর উপর ওয়াজিব নয়। সুতরাং স্ত্রীকে  যে স্বর্ণ দেয়া হয়েছে, যদি স্বামী সেটাকে মহরানা বাবৎ রাখতে চায়, তাহলে পারবে। তবে যদি স্বামী স্বর্ণ দেয়ার মুহূর্তে মহরানার নিয়ত না করে, তাহলে পরবর্তীতে মহরানার নিয়ত করা স্বামীর জন্য সঠিক হবে না।

সুতরাং,
আপনার আব্বু যদি আপনার আম্মুকে বলে যে, তোমাকে যে স্বর্ণ  দিয়েছি তাতেই তোমার মহরানা, কিন্তু কিনার সময় এরকম কোন কথাই হয়নি, সুতরাং এই স্বর্ণকে এখন মহরানা বাবৎ রাখা যাবে না।
 
আপনার আম্মুর মহর যদি মু'য়াজ্জল হয়, তাহলে এখন তিনি আপনার আব্বুর কাছে মহরানার টাকা চাইতে পারবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...