আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
293 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (45 points)
১। একজন ছেলে বা মেয়ের বয়ঃপ্রাপ্ত হওয়ার পর আনুমানিক কত বছর বয়স থেকে সাবলম্বি হওয়া উচিত ( নিজ ইনকামের মাধ্যমে ) ?
২। বাবা মার ইনকাম যদি হারাম সোর্স থেকে হয়ে থাকে, তবে কত বছর বয়স অব্দি তার উপর চলা জায়েয?

৩। গোসলখানায় ( টয়লেট ও গোসলখানা সংযুক্ত ) আজান শুনলে উত্তর দেয়া যাবে?

1 Answer

0 votes
by (567,240 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
শরীয়তের বিধান হলো বালেগ হওয়ার আগ পর্যন্ত ছেলে সন্তানের ভরনপোষণ পিতার উপর ওয়াজিব।
সুতরাং এর পর থেকেই তাকে সাবলম্বি হওয়ার কথা বলা হয়েছে।
,
(তবে আমাদের সমাজে যে সন্তানকে সারাজীবন বাবা ভরনপোষণ দেয়,এটা বাবার অনুগ্রহ। 
এটা সন্তানের কোনো হক বা অধিকার নয়।
পিতা দিতে না চাইলে সে কোনো ভাবেই এটার হকদার হতে পারবেনা।)
   
আর মেয়ে সন্তানকে বিবাহ দেওয়ার আগ পর্যন্ত তার ভরনপোষণ পিতার উপর ওয়াজিব। 

কিন্তু ছেলে সন্তান বালেগ হওয়ার পরেও যদি কেহ অসুস্থতা,পাগল, ইলমে দ্বীন শিক্ষায় লিপ্ত থাকা ইত্যাদি কারনে যদি সম্পদ উপার্জন না করতে পারে,তাহলেও তার ভরনপোষণ দেওয়াও পিতার উপর ওয়াজিব বা জরুরি। 

বিস্তারিত জানুনঃ
,
(০২)
উল্লেখিত ছুরতে বালেগ হওয়ার পরেই অন্য কোনো ভাবে নিজের ভরনপোষণ চালানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
  
বাবা যদি সুদী কোম্পানিতে চাকুরী করে,তাহলে সন্তান তার বাবা থেকে ভরনপোষন নিয়ে বিস্তারিত জানুনঃ

(০৩)
গোসল খানা বাথরুম যুক্ত,শুধু বাথরুম বা টয়লেট এগুলো সবই নাপাক ও নোংরা স্থান। 

তাই এখানে অবস্থান করা অবস্থায় মহান আল্লাহর প্রতি সম্মানের বিষয়টি স্মরণ রাখতে হবে। সুতরাং সেখানে মুখে উচ্চারণ করে আল্লাহর জিকির, দোয়া, তাসবিহ, তিলাওয়াত ইত্যাদি সমীচীন নয়। এমনটি করা মহান আল্লাহর শান ও মর্যাদার পরিপন্থী। তাই
 টয়লেট যুক্ত গোসলখানায় আযানের জওয়াব আদায় দেওয়া বৈধ নয়।

হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, আবু সাঈদ খুদরি (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘পৃথিবীর সর্বত্র সালাত আদায় করা যাবে—গোরস্তান ও বাথরুম ছাড়া।’ [ ইকতিযাউস সিরাতুল মুস্তাকিম, পৃষ্ঠা ৩৩২ ]

টয়লেটের ভিতরে কোনো দোয়া ইত্যাদি পড়া যাবেনা।
মনে মনে পড়া যাবে।
(আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল ২/১৮৪)      
,
প্রখ্যাত তাবেঈ ইকরিমা (রহ.) বলেন, টয়লেটে থাকা অবস্থায় মুখে উচ্চারণ করে জিকির করবে না, তবে মনে মনে করতে পারে।’ (আল আওসাত : ১/৩৪১)

টয়লেটে প্রবেশ করার পর মুখে জিকির পাঠ করবে না, বরং প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে জিকির পাঠ করা বাদ দিয়ে নীরবতা অবলম্বন করবে। (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা : ৫/৯৩)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...