জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শরীয়তের বিধান হলো বালেগ হওয়ার আগ পর্যন্ত ছেলে সন্তানের ভরনপোষণ পিতার উপর ওয়াজিব।
সুতরাং এর পর থেকেই তাকে সাবলম্বি হওয়ার কথা বলা হয়েছে।
,
(তবে আমাদের সমাজে যে সন্তানকে সারাজীবন বাবা ভরনপোষণ দেয়,এটা বাবার অনুগ্রহ।
এটা সন্তানের কোনো হক বা অধিকার নয়।
পিতা দিতে না চাইলে সে কোনো ভাবেই এটার হকদার হতে পারবেনা।)
আর মেয়ে সন্তানকে বিবাহ দেওয়ার আগ পর্যন্ত তার ভরনপোষণ পিতার উপর ওয়াজিব।
কিন্তু ছেলে সন্তান বালেগ হওয়ার পরেও যদি কেহ অসুস্থতা,পাগল, ইলমে দ্বীন শিক্ষায় লিপ্ত থাকা ইত্যাদি কারনে যদি সম্পদ উপার্জন না করতে পারে,তাহলেও তার ভরনপোষণ দেওয়াও পিতার উপর ওয়াজিব বা জরুরি।
বিস্তারিত জানুনঃ
,
(০২)
উল্লেখিত ছুরতে বালেগ হওয়ার পরেই অন্য কোনো ভাবে নিজের ভরনপোষণ চালানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
বাবা যদি সুদী কোম্পানিতে চাকুরী করে,তাহলে সন্তান তার বাবা থেকে ভরনপোষন নিয়ে বিস্তারিত জানুনঃ
(০৩)
গোসল খানা বাথরুম যুক্ত,শুধু বাথরুম বা টয়লেট এগুলো সবই নাপাক ও নোংরা স্থান।
তাই এখানে অবস্থান করা অবস্থায় মহান আল্লাহর প্রতি সম্মানের বিষয়টি স্মরণ রাখতে হবে। সুতরাং সেখানে মুখে উচ্চারণ করে আল্লাহর জিকির, দোয়া, তাসবিহ, তিলাওয়াত ইত্যাদি সমীচীন নয়। এমনটি করা মহান আল্লাহর শান ও মর্যাদার পরিপন্থী। তাই
টয়লেট যুক্ত গোসলখানায় আযানের জওয়াব আদায় দেওয়া বৈধ নয়।
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, আবু সাঈদ খুদরি (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘পৃথিবীর সর্বত্র সালাত আদায় করা যাবে—গোরস্তান ও বাথরুম ছাড়া।’ [ ইকতিযাউস সিরাতুল মুস্তাকিম, পৃষ্ঠা ৩৩২ ]
টয়লেটের ভিতরে কোনো দোয়া ইত্যাদি পড়া যাবেনা।
মনে মনে পড়া যাবে।
(আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল ২/১৮৪)
,
প্রখ্যাত তাবেঈ ইকরিমা (রহ.) বলেন, টয়লেটে থাকা অবস্থায় মুখে উচ্চারণ করে জিকির করবে না, তবে মনে মনে করতে পারে।’ (আল আওসাত : ১/৩৪১)
টয়লেটে প্রবেশ করার পর মুখে জিকির পাঠ করবে না, বরং প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে জিকির পাঠ করা বাদ দিয়ে নীরবতা অবলম্বন করবে। (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা : ৫/৯৩)