আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
81 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম

উস্তাদ আমি বাসায় গিয়ে শিক্ষার্থী পড়ায়। এই বিষয়ে আমার কিছু প্রশ্ন

১.পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত কোনো মেয়েকে বাসায় গিয়ে একাকী পড়ালে আমার উপার্জন হালাল হবে?

২. কেউ যদি ব্যাংক জব করে তাইলে তার বাসায় গিয়ে তার সন্তানকে পড়ালে কি আমার উপার্জন হালাল হবে??
৩.২ নং প্রশ্নের ক্ষেত্রে যদি অভিভাবক ইসলামী ব্যাংকে চাকরি করে তাইলে কি আমার উপার্জন হালাল হবে??

1 Answer

0 votes
by (716,120 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
জবাবঃ-
(১)
পর্দার ক্ষেত্রে ক্লাস বিবেচ্য নয়। বরং এক্ষেত্রে বিবেচ্য হল ফিতনার আশংকা না থাকা। যেহেতু সাধারণ প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের মধ্যেই ফিতনা সংগঠিত হয়ে থাকে।তাই শরীয়ত বালিগ ও বালিগা পুরুষ-নারীর জন্য পর্দার বিধান আরোপ করা হয়েছে।যেহেতু ফিতনাই মূল বিবেচ্য বিষয়,তাই মুরাহিক/মুরাহিকা তথা এমন বালক/বালিকা যে,এখনও বালিগ হয়নি,তার সামনেও পর্দা করা ফরয হয়ে যায়।

যেহেতু শিক্ষা শরীয়তের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। চায় দ্বীনী শিক্ষা হোক বা জেনারেল শিক্ষা হোক, তাই শিক্ষার জন্য শরীয়ত অপরাগতায় অনেক কঠিন বিধানে কিছুটা শীতিলতা নিয়ে আসে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি ঐ ছাত্রীকে পড়াতে পারবেন,যদি সে নাবালক হয়,এবং ফিতনার আশংকা না থাকে।তবে এক্ষেত্রে সতর্কতা এবং উত্তম হচ্ছে,ঐ ছাত্রীকে যতক্ষণ পড়াবেন পাশে অন্য কাউকে বসিয়ে রাখবেন।বা এরকম কয়েকজন কে একসাথে পড়াবেন।তাদেরকে হিজাব পড়ার নির্দেশ দিবেন।

যদি ছাত্রী বালিগ হয়,এবং সে কোনে মহিলা শিক্ষক খুজে না পায়,এবং আপনিও কোনো ছেলে ছাত্র খুজে না পান।তাহলে তখন ছাত্রীর জন্য পূর্ণ হিজাব পরিধান,এবং ঐ ছাত্রীর মাহরাম কোনো পুরুষ বা ঘরের কোনো বালিগ মহিলা, পাশে থাকার অত্যাবশ্যক। কেননা হাদীস শরীফে এসেছে,

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,
আজনবী পুরুষ-মহিলার মাহরাম ব্যতীত পরস্পর  খালওয়াত তথা নির্জনে সাক্ষাৎ করবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/2542

(২)
কেউ যদি ব্যাংক জব করে তাইলে তার বাসায় গিয়ে তার সন্তানকে পড়ালে আপনার উপার্জন হারাম হবে না।কেননা আপনি তো বিনিময় নিচ্ছেন।সে তার সুদের জবাব দিবে, এখানে আপনার কিছুই করতে হবে।

(৩)২ নং প্রশ্নের ক্ষেত্রে যদি অভিভাবক ইসলামী ব্যাংকে চাকরি করে তাইলেও আপনার উপার্জন হারাম হবে না।সদাসর্বদা আপনার ইনকাম হালালই থাকবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (716,120 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...