بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://www.ifatwa.info/1233 নং ফাতাওয়ায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, শরীয়তের বিধান অনুযায়ী নবজাতক বাচ্চার ডান কানে
আজান ও বাম কানে ইকামত দেয়া সুন্নত। (ছেলে মেয়ে উভয়ের জন্যই আজান দেবার বিধান সমান।) এটা হাদীস দ্বারা প্রমানীত।
হযরত হাসান রাঃ এর জন্মের সময় স্বয়ং রাসুলুল্লাহ সাঃ তার কানে আযান দিয়েছিলেন। (কিতাবুন নাওয়াজেল ১৪/৬৮৪)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا
يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، قَالَ: حَدَّثَنِي عَاصِمُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ
عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: رَأَيْتُ رَسُولَ
اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَذَّنَ فِي أُذُنِ الْحَسَنِ بْنِ
عَلِيٍّ حِينَ وَلَدَتْهُ فَاطِمَةُ بِالصَّلَاةِ حسن
উবাইদুল্লাহ ইবনু
আবূ রাফি (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফাতিমাহ (রাঃ) যখন আলী (রাঃ)-এর পুত্র হাসান (রাঃ)-কে
প্রসব করলেন, তখন
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কানে সালাতের আযান ন্যায় আযান দিয়েছিলেন।
(তিরমিযী ১৫১৪,
আবূ দাঊদ ৫১০৫,
ইরওয়া ১১৭৩,
মুসনাদে আহমাদ ২৩৮৬৯,
শু‘আবুল ঈমান ৮৬১৭)
قال الملا علي القاري: ہٰذا یدل علی
سنیۃ الأذان في أذن المولود۔ (مرقاۃ المفاتیح ۸؍۸۱
تحت رقم: ۴۱۵۷ دار الکتب العلمیۃ بیروت)
সারমর্মঃ মোল্লা কারী রহঃ বলেন উক্ত
হাদীস প্রমান বহন করে যে নবজাতক বাচ্চার কানে আযান দেওয়া সুন্নাত।
عن الحسین رضي اللّٰہ عنہ مرفوعًا:
من ولد لہ ولد فأذن في أذنہ الیمنی وأقام في أذن الیسریٰ لم تضرہ أم الصبیان۔
(کنز العمال ۱۶؍۱۹۰، کذا في المرقاۃ المفاتیح، کتاب
الصید والذبائح / باب العقیقۃ ۸؍۸۱
تحت رقم: ۴۱۵۷ دار الکتب العلمیۃ بیروت)
হযরত হাসান বিন আলী রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
যার সন্তান হয়,
তারপর লোকটি সন্তানের ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামত দেয়,
তাহলে তাকে উম্মুস সিবয়ান ক্ষতিগ্রস্থ
করতে পারবে না।
عن حسين قال : قال رسول الله – صلى
الله عليه و سلم – : من ولد له فأذن في أذنه اليمنى وأقام في أذنه اليسرى
হযরত হুসাইন রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন যে,যার সন্তান হয়,সে যেন তার ডান কানে আজান এবং বাম কানে ইকামত দেয়। {শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৮৬১৯, মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদীস নং-৬৭৮০, মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক,হাদীস নং-৭৯৮৫}
عَنِ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ،
قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” مَنْ وُلِدَ
لَهُ مَوْلُودٌ فَأَذَّنَ فِي أُذُنِهِ الْيُمْنَى، وَأَقَامَ فِي أُذُنِهِ
الْيُسْرَى رُفِعَتْ عَنْهُ أُمُّ الصَّبِيَّاتِ
হযরত হাসান বিন আলী রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
যার সন্তান হয়,
তারপর লোকটি সন্তানের ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামত দেয়,
তাহলে তাকে উম্মুস সিবয়ান ক্ষতিগ্রস্থ
করতে পারবে না। [শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৮২৫৪, আলআযকার লিননাবাবী, হাদীস নং-৮৩৮]
★যদি কোন পুরুষ না থাকে, তাহলে মা যদি নেফাসগ্রস্থ না হয়,
তাহলে তিনিও আজান দিতে পারবেন। [ফাতাওয়া
মাহমূদিয়া-৯/১৬০]
ছেলে মেয়ে উভয়ের জন্যই আজান দেওয়ার বিধান সমান। নবজাতক বাচ্চার ডান কানে আজান ও
বাম কানে ইকামত দেওয়া সুন্নত। যদি পুরুষ না থাকে-
‘তাহলে মা (কিংবা অন্য নারী) যদি নেফাসগ্রস্থ
না হয়, তাহলে
তিনিও আজান দিতে পারবেন।’
এমনকি যদি কারো আজান ও ইকামতের শব্দগুলো মুখস্ত না থাকে তবে সন্তানের ডান কানে
আজান ও বাম কানে ইকামতের শব্দগুলো দেখে দেখে হলেও বলা যাবে। আর তাতেও আজান-ইকামত দেওয়ার
বিষয়টি আদায় হয়ে যাবে।
সম্মানিত
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন !
১. যদি আজান
দেওয়ার মত কোন পুরুষ না থাকে, তাহলে মহিলারাও আজান
দিতে পারবেন।
২. আইদাহ
আমাতুল্লাহ নাম রাখা যাবে। আমাতুল্লাহ অর্থ: আল্লাহর বান্দি ।
আইদাহ অর্থ: সাক্ষাৎকারিনী,
অসুস্থকে দেখতে গিয়েছে যে,
ফিরিয়ে আনা ।