বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
মিথ্যা কথা বলা শরীয়ত অনুমোদিত নয়।
নিঃসন্দেহে মিথ্যা বলা হারাম।
শরিয়তে সত্যকে সর্বত্রই উৎসাহিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সত্য মুক্তি দেয়, মিথ্যা ধ্বংস আনে।
যে কোনো পরিস্থিতিতে সত্য বলাই শরিয়তের মৌল দর্শনের দাবি।
পবিত্র কুরআন শরিফে এসেছে
لَّعْنَتَ اللَّهِ عَلَى الْكَاذِبِينَ [٣:٦١
তাদের প্রতি আল্লাহর অভিসম্পাত করি যারা মিথ্যাবাদী। {সূর আলেইমরান-৬১}
হাদিস শরিফে এসেছে,
সাফওয়ান ইবন সুলাইম বলেন,
قِيلَ لِرَسُولِ اللَّهِ ﷺ : أَيَكُونُ الْمُؤْمِنُ جَبَانًا ؟ فَقَالَ: ( نَعَمْ ) ، فَقِيلَ لَهُ: أَيَكُونُ الْمُؤْمِنُ بَخِيلًا؟ فَقَالَ: ( نَعَمْ ) ، فَقِيلَ لَهُ: أَيَكُونُ الْمُؤْمِنُ كَذَّابًا ؟ فَقَالَ: ( لَا )
রসুলুল্লাহ ﷺ -কে জিজ্ঞেস করা হয়েছে, মুমিন কি কাপুরুষ হতে পারে? তিনি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ। জিজ্ঞেস করা হয়েছে, মুমিন কি কৃপণ হতে পারে। তিনি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ। জিজ্ঞেস করা হয়েছে, মুমিন কি মিথ্যাবাদী হতে পারে? তিনি উত্তর দিলেন, না। (মুয়াত্তা মালিক ২/৯৯০)
আরো জানুনঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেটা মিথ্যা হবে।
এর জন্য আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে।
(০২)
সব রকমের মিথ্যা বান্দার হক নষ্টের শামিল নয়।
বান্দার হকের সাথে জড়িত নয়।
তাই এক্ষেত্রে আল্লাহর কাছে তওবা যথেষ্ট হবে।
তবে মিথ্যা বলতে গিয়ে যদি বান্দার হক নষ্ট হয়,যেমন কাহারো ব্যপারে মিথ্যা সাক্ষী দেয়ার দরুন তার শাস্তি হলো,এক্ষেত্রে বান্দার হক নষ্ট হবে।
সেক্ষেত্রে আল্লাহর কাছে তওবার পাশাপাশি সেই বান্দার কাছে গিয়েও মাফ চেয়ে নিতে হবে।