আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
294 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (27 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ,

আমি তালাক নিয়ে খুব বাজে ভাবে ওয়াসওয়াসার স্বীকার। দিন দিন বাড়ছে।  সবকিছুতেই তালাক হয়ে গেল ভেবে সন্দেহ হয়। সবসময় তালাক শব্দটি মাথায় ঘুরপাক খায়। তালাক মুখ দিয়ে উচ্চারণ হয়ে যাচ্ছে কিনা এটা নিয়ে সারাদিন ভাবতে থাকি। শান্তি পায় না।

(১) ওয়াইফ এর সাথে রাগ করে কথা বলার সময় ওয়াইফ তালাক চাচ্ছে সন্দেহ করে আমি বললাম -
-তুমি কি বলতে চাচ্ছো???
আমার এই কথার দ্বারা কি তালাক জনিত কোন সমস্যা হবে ?

(২) গত দুইদিন ধরে মনের ভিতর আসছে যে, "আল্লাহ তোমায় সাক্ষি রেখে আমি আমার ওয়াইফকে তালাক দিয়ে দিলাম"। গত কয়েক মাস ধরে মনে আসতো "তালাক দিয়ে দিলাম" । কিন্ত গত দুইদিন ধরে "আল্লাহকে সাক্ষি রেখে তালাক দিলাম" এমন কথা মনে চলে আসছে। আমি মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্ত। এতে কি তালাক পতিত হবে শায়েখ???

(৩) কথা কাটাকাটির এক পর্যায় আমি বলেছি যে, "তুমি মানুষের বাচ্চা হলে আমার এতসব কিছুই করতে হতো না "।

এই কথায় কি তালাক জনিত কোন সমস্যা হবে শায়েখ?

(৪) যে সালাম দেই, তাকে দেখে মাঝে মাঝে মনে হয় যেন সালাম না দেই,এজন্য তাকে দেখেও না দেখার ভান করি মাঝে মাঝে। আজ ফোন ধরে মনে হচ্ছে যেন সালাম না দেই, কিন্তু সে সালাম দিল। আমার মনে হচ্ছিল উওর দেব না। তারপরেও তাকে না শুনিয়ে আস্তে সালামের জবাব দিলাম। এমন সমস্যা আমি মাঝে মাঝে ফেস করি। সবসময় না। এজন্য কি আমার ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে শায়েখ ???

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
আপনার এই কথার দ্বারা তালাক জনিত কোন সমস্যা হবেনা।

(০২)
শরীয়তের বিধান হলো, মুখে উচ্চারণ না করে শুধু মনে মনে তালাক দিলে বা মনে মনে শর্ত যুক্ত তালাক দিলে তাহা পতিত হবেনা।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ
قَالَ قَتَادَةُ إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।

ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুইতালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)

অন্য এক হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এতে তালাক হবেনা। 

(০৩)
"তুমি মানুষের বাচ্চা হলে আমার এতসব কিছুই করতে হতো না "।

এই কথায় তালাক জনিত কোন সমস্যা হবেনা।

(০৪)
এজন্য আপনার ঈমান নষ্ট হয়ে যাবেনা।
তবে এটি অহংকারের পর্যায়ে চলে যাচ্ছে।

তাই এহেন মনোভাব দূর করতে হবে।
বেশি বেশি সালামের প্রচার প্রসার করা সুন্নাত।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...