আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
139 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (15 points)
আসসালামু আলাইকুম শায়খ,


আজকে আমার প্রিন্সিপাল সার আমার পর্দাকে আমি এক নিমিষে শেষ করে দিলো। আজকে ভাবছিলাম যে এক্সামে আমি হিজাব কিছুতেই খুলবো না কিন্তু আমি পারলাম না, না খুলে
হিজাব পরে গেছি মাস্ক পরা ছিল স্যার দেখে বলতেছে সবার মাথায় হিজাব ছাড়া, সবাই হিজাব আগেই খুলে গেছে শুধু আমার হিজাব পরা ছিল বলে যে খুলতে হবে আমাকে আমি কিছু না বলে চুপ করে ছিলাম ভাবছিলাম হয়তো কিছুক্ষণ বলে আর বলবে না

কিন্তু না তিনি কিছুতেই ছাড়বে না,, আরেকটা ম্যাম বলছিলেন যে তুমি কাল থেকে এভাবে হিজাব পরে আসিও না, প্রিন্সিপাল স্যার আবার আসছেন,, বলতেছেন যে খুলতেই হবে না হলে লিখতে দিবে না

পরে আমি কান্না শুরু করে দিছি বল্লাম ম্যাম আমি পর্দা করি,  বলে না খুলতেই হবে মানে ছাড়বেই না

পরে প্রিন্সিপাল স্যার দাঁড়ায় আছেন না খুললে উনি ছাড়বেন না, পরে আমি বল্লাম আমি কান বের করতেছি ওনারা তাও মানবেন না,,, পরে কাঁদতে কাঁদতে ওয়াশরুমে পাশে গিয়ে খুলতে খুলতে জোরে কান্না করে আল্লাহ কে বল্লাম আমাকে সাহায্য করুন আল্লাহ

আমি পারলাম না আমার আজ আমার পর্দা কে ধরে রাখতে
আমার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে কেউ আমার মুখ দেখে ফেললেও আমার কি যে কষ্ট হয় এখন, সে জায়গায় মাথার চুল সহ দেখাতে হলো

শুধুমাত্র বাবার দিকে তাকিয়ে আজকে আমাকে এটা করতে হলো যদি আমি ওই মুহূর্তে এক্সাম হল থেকে চলে আসতাম এক্সাম না দিয়ে চলে আসতাম তাহলে আমার বাবা কি করত না করতো এগুলো ভেবে

আফসোস করতো আমাকে যে কি করতো তা তো ভাবতেই পারিনা,, আব্বু অন্যরকম

সবথেকে বড় কথা আমি নার্সিং ছেড়ে দিলে আমার মাকে অনেকটা কষ্ট পোহাতে হবে আরও অনেক অনেক সমস্যাএগুলো ভেবে এক্সাম দিলাম কিন্তু এখন আমি একটা ফাইনাল ডিসিশন নিতে চাই আমি যে পারবো না এভাবে কন্টিনিউ করতে

আমি কি করবো প্লিজ আপুরা আমাকে একটু পরামর্শ দিন যে এই অবস্থায় হিজাব খুলে রেখে এভাবেই এক্সাম দিব? নাকি আমি নার্সিং পড়া ছেড়ে দিব?
এখন এই মুহূর্তে আমি কি করবো আমি কিছু বুঝতে পারছিনা আমার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে আমার কি বলবো আমি পারছিনা

আল্লাহর কাছে আমি এত দোয়া করেছি আল্লাহ আমাকে যেন এক্সামে হিজাব টা খুলতে না হয় কিন্তু আমি আমাকে তাই করতে হলো

প্লিজ শায়খ আমাকে একটু বলুন আমি কি করবো এখন কাল আবাএ এক্সাম আছে


এমতাবস্থায় আমার কি নার্সিং  ছেড়ে দেয়া উচিত নাকি পরিবারের জন্য হিজাব খুলে পরিক্ষা কন্টিনিউ করা উচিত???

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান অনুযায়ী পর্দা করা ফরজ।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ   

قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَزْكَىٰ لَهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ [٢٤:٣٠]
وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا ۖ وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّ ۖ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُولِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَىٰ عَوْرَاتِ النِّسَاءِ ۖ وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِنْ زِينَتِهِنَّ ۚ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٢٤:٣١]

মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।
ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। {সূরা নূর-৩০-৩১}

আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন-

يَا نِسَاءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِنَ النِّسَاءِ إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَعْرُوفًا (32) وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى

হে নবীর স্ত্রীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও [ইহুদী খৃষ্টান)। তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় পাও তবে আকর্ষণধর্মী ভঙ্গিতে কথা বলনা, যাতে যাদের মাঝে যৌনলিপ্সা আছে তারা তোমাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। বরং তোমরা স্বাভাবিক কথা বল। এবং তোমরা অবস্থান কর স্বীয় বসবাসের গৃহে, জাহেলী যুগের মেয়েদের মত নিজেদের প্রকাশ করো না। {সূরা আহযাব-৩২}

وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ ذَلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ

অর্থ : আর তোমরা তাঁর (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর স্ত্রীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্য এবং তাঁদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ। {সূরা আহযাব-৫৩}

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
আপনি যদি ইসলাম ও মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষার্থে নার্সিং পড়া চালিয়ে যান, সেক্ষেত্রে যদি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে পরীক্ষায় হাত মুখ কান খোলা বাধ্যতামূলক নিয়ম হয়,তাহলে আপনি  পরীক্ষায় হাত মুখ কান খুলতে পারবেন।
তবে তওবা ইস্তেগফার চালিয়ে যেতে হবে।
(সর্বপরি আপনি মুখ কান হাত খোলা থেকে বিরত থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।)

ইসলাম ও মুসলমানদের স্বার্থে জাগতিক শিক্ষায় যোগদানকারী বোনদের জন্য এ রুখসত সাময়িকভাবে দেয়া যেতে পারে।হ্যা এ রুখসত জরুরত পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকবে।তবে যদি তা নিশ্চিত কোনো ফিতনার কারণ হয়ে দাড়ানোর আশংকা হয়ে দাড়ায়, তাহলে এমতাবস্থায় এ শিক্ষা বিসর্জনই কাম্য।

বিস্তারিত জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...