আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
576 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (50 points)
আপনার কাছে করা আগের উত্তর https://ifatwa.info/59718/

অনেক দিন আগের কথা তাই হস্ত রেখায়  আমার বিশ্বাস্য ছিল কিনা আমার পুরপুরি মনে নেই । তবে মনে হয় ছিল তাই আমার মধ্য অস্থিরতা কাজ করছে। । কাজেই যদি এমন হয় যে আমার বিশ্বাস ছিল না তাহলে কি আপনার দেওয়া পরামর্শ তথা ইমান ও বিয়ে নবায়নে কোন সমস্যা হবে?

আমার শ্বশুর ও শ্যলক অথবা আমার বাবার  এর সামনে বিয়ে নবায়নের ক্ষেত্রে নিচের কথা বললেই কি হবে?
- আমি তোমাকে দশ হাজার টাকা দেন মহরে বিয়েটা নবায়ন করে নিলাম। তখন স্ত্রী বলবেন যে, আমি কবুল করলাম।
by (50 points)
আমি আমার প্রথম প্রশ্নের উত্তর বুঝলাম না। আমি বলতে চাইছি - যদি এমন হয় যে হস্ত রেখায়  আমার বিশ্বাস ছিল না ( কারণ অনেক দিন আগের ঘটনা ) তাহলে কি আপনার দেওয়া পরামর্শ তথা   দ্বিতীয় বার বিয়ে করলে  কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (59,970 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

কুফরী বাক্যর অর্থ জানা নেই এবং বলার ইচ্ছে নেই তবে মুখ ফসকে কোনো কুফরী বাক্য মুখ থেকে উচ্ছারণ হয়ে গেছে, এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কাফির হবে না। যেমন হযরত আবুযর রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,

عَنْ أَبِي ذَرٍّ الْغِفَارِيِّ رضي الله عنه قَالَ :قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ :(إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ وَالنِّسْيَانَ وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ)

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মত থেকে ভূল ভ্রান্তি এবং নিরুপায় মূলক কাজ কে ক্ষমা করে দিয়েছেন। (সুনানু উবনি মা'জা-২০৪৩)

 

বিবাহ সহীহ হওয়ার জন্য শর্ত হল  আযাদ প্রাপ্ত বয়স্ক বিবেকবান দু’জন মুসলিম পুরুষ অথবা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলা স্বাক্ষীর সামনে পাত্র/পাত্রি প্রস্তাব দিবে আর অপরপক্ষ পাত্র/পাত্রি তা কবুল করবে। আর সাক্ষিগণ উভয়ের কথা সুষ্পষ্টভাবে শুনবে। সুতরাং বিয়ের মজলিসে সাক্ষীর উপস্থিত ছাড়া বিয়ে সহীহ হবে না।

 

হাদিস শরিফে এসেছে,

عَنْ عَائِشَةَ ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ قَالَ لا نِكَاحَ إِلا بِوَلِيٍّ وَشَاهِدَيْ عَدْلٍ ، وَمَا كَانَ مِنْ نِكَاحٍ عَلَى غَيْرِ ذَلِكَ ، فَهُوَ بَاطِلٌ

আয়শা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্  বলেছেন, অভিবাক ও দু’জন ন্যায়পরায়ণ সাক্ষীর উপস্থিতি ব্যতিত বিয়ে শুদ্ধ হয় না। যে বিবাহ অভিবাক ও সাক্ষীর উপস্থিতি ব্যতিত হবে তা বাতিল। (সহিহ ইবন হিব্বান ৪০৭৫)

 

ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়াতে রয়েছে-

فى الدر المختار- ( و ) شرط ( حضور ) شاهدين ( حرين ) أو حر وحرتين ( مكلفين سامعين قولهما معا ) (الدر المختار ، كتاب النكاح،-3/9)

অনুবাদ-বিবাহ সহীহ হওয়ার শর্ত হল শরীয়তের মুকাল্লাফ [যাদের উপর শরীয়তের বিধান আরোপিত হয়] এমন দুইজন আযাদ পুরুষ সাক্ষি বা একজন আযাদ পুরুষ ও দুইজন মহিলা সাক্ষি হতে হবে, যারা প্রস্তাবনা ও কবুল  বলার উভয় বক্তব্য স্বকর্ণে উপস্থিত থেকে শুনতে পায়। {আদ দুররুল মুখতার-৩/৯, ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৬৮}

 

বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার জন্য শর্ত হল মৌলিকভাবে দু’টি। যথা-

১-ইজাব কবুল হওয়া।

২-দুইজন মুসলিম প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ বা একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ ও দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলা উক্ত ইজাব কবুল স্বকর্ণে শুনা।

 

ব্যস উক্ত দু’টি শর্ত পাওয়া গেলেই বিয়ে সম্পন্ন হয়ে যায়।

যার পুরোপুরি ব্যাখ্যা হলোঃ- 

স্বামী স্ত্রীকে ইজাব তথা প্রস্তাব দিবে বা কোন ব্যক্তিকে উকিল বানিয়ে স্বামীর পরিচয় ও দেনমোহর উল্লেখ করে প্রস্তাব দিবে, আর স্ত্রী সেই প্রস্তাবকে কবুল করবে। কিংবা স্ত্রী নিজে স্বামীকে প্রস্তাব দিবে আর স্বামী তা কবুল করবে, কিংবা স্ত্রীর অনুমতিক্রমে তার উকীল গিয়ে স্বামীকে প্রস্তাব দিবে আর স্বামী তা কবুল করবে। আর উক্ত প্রস্তাব এবং কবুল বলার বিষয়টি উপস্থিত থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক দুইজন মুসলিম পুরুষ বা একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ ও দুইজন মহিলা স্বকর্ণে শুনবে। তাহলেই শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যাবে।

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!

 

১. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যদি হস্তরেখায় বিশ্বাস না থাকে তাহলে আপনার ঈমানের কোনো সমস্যা হবে না ইনশাআল্লাহ।

২. জ্বী হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে এভাবে করলেও বিয়ে নবায়ন হয়ে যাবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (50 points)
আমি আমার প্রথম প্রশ্নের উত্তর বুঝলাম না। আমি বলতে চাইছি - যদি এমন হয় যে হস্ত রেখায়  আমার বিশ্বাস ছিল না ( কারণ অনেক দিন আগের ঘটনা ) তাহলে কি আপনার দেওয়া পরামর্শ তথা   দ্বিতীয় বার বিয়ে করলে  কোন সমস্যা হবে?
by (59,970 points)
না, এতে কোনো সমস্যা হবে না। বরং আরো উত্তম হবে।
by (50 points)
হুজুর, আমার আব্বা বয়স্ক ও অসুস্থ। তিনি ভালো ভাবে শুনে না। কাজেই তার পরিবর্তে যদি আমার মা ও বড় বোন এবং আমার শ্বশুর থাকে তাহলে কি বিবাহও নবায়ন শুদ্ধ হবে? 
by (59,970 points)
জী, শুদ্ধ হবে
by (50 points)
আসসালামু আলাইকুম, হুজুর 
বারবার বিরক্ত করার জন্য দুঃখিত। আশা করই  ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমার শ্বশুর সাহেব অন্য জেলায় তথা অন্যত্র থাকে বিধায় তার এই মুহূর্তে আসা সম্ভব নয়। তাই আমার বাবা, মা ও বড় বোন কে সাক্ষী রেখে  বিবাহ নবায়ন সম্ভব কি? 
by (59,970 points)
ওয়ালাইকুম আসসালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ
আপনার পিতা যদি ভালোভাবে না শুনে থাকে তাহলে বিয়ে নবায়ন হবে না এবং আপনি বলেছেন আপনার পিতা অসুস্থ। ফলে ভালোভাবে শুনেন না।
তাই আপনি চাইলে অন্য কোন ব্যক্তিকেও রাখতে পারেন।
by (50 points)

আসসালামু আলাইকুম

অনেক পেরাশানিতে পরে আপনার কাছে মেসেজ দেওয়া। কয়েক দিন ধরে কুফর বিষয়ে মাসালা পরে এখন খুব ভয় লাগে কথা বলতে। হটাত আজকে দুপুরে ভাত খেতে খেতে মনে পড়ল্ একজনের কথা তা ভাবতে ভাবতে  বিড়বিড় করে মনে হয় উচ্চারন করে ফেলেছি  – আপনি কাফে(আমি সম্পূর্ণ শব্দ বলতে পারব না প্লিজ বুঝে নিবেন)  হয়ে গেছেন । কতটুকু শব্দ হয়েছিল বুঝলাম না। মনে হয় শব্দ হয়নি।  আমি এই ধরনের কথা উচ্চারন করতে চাইনা। কিন্তু কখন যে কি হল বুঝলাম না।

এতে কি কোন সমস্যা আছে? আর লেখার কারনে কি কোন সমস্যা হবে?

 

আর একটি প্রশ্ন -

গতকাল বিবাহ নবায়ন করা হয়েছে।

আমার বাবা অসুস্থ থাকলেও তিনি আমার ও  আমার বিবির কথা কানে শুনেছে বলেছে আমাদের কাছে।

আমাদের সাক্ষি হিসেবে ছিল আমার বাবা, মা ও বড় বোন । বিবাহ কি আমাদের শুদ্ধ হয়েছে? 

by
please response my last comment
by (59,970 points)
১, আমি যেভাবে আপনাকে বলেছি আপনি যদি সেভাবে করে থাকেন তাহলে প্রশ্নোত্তর ক্ষেত্রে আপনার বিয়ে নবায়ন হয়েছে।

২, না, এতে কোনো সমস্যা হবে না।
by (50 points)
হুজুর 
এক মুসলিম ডাক্তার সম্পর্কে আমার বিবি নিম্নোক্ত কথা বলেছে। আমার বিবি সম্ভবত জানতোনা ডাক্তার কোণ ধর্মের। 
১। তিনি কি  হিন্দু? 
২। আমি মনে করেছিলাম তিনি হিন্দু। 
৩। হিন্দু কিনা ? ইত্যাদি । 
এতে কি কোনও সমস্যা হবে? 
by (59,970 points)
না, এতে কোনো সমস্যা নেই।
কারণ, তিনি কথাগুলো অনুমান করে বলেছেন। অন্যথায় জেনেশুনে কোন মুসলমানকে হিন্দু বা কাফের বলা অনেক বড় গোনাহ।
by (50 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর, 
দেশে বিদেশে অনেক সময় অনলাইনে কুপন কোড পাওয়া যায়। এই কুপন কোড ব্যবহার করলে পণ্যের দাম কিছুটা কম হয়। আমার প্রশ্ন হল  কুপন দিয়ে কিছু ক্রয় করা জায়েজ ?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...