আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
85 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (41 points)

Previous question and answer link here - https://ifatwa.info/59511/

হুজুর
আজ খুবই খারাপ লাগছে। এতো বছরের নেক আমল অজ্ঞতার  জন্য ... । কি করব বুঝতে ছিনা । অনেক দিন আগের ঘটনা তাই ভালো করে মনেও করতে পারছি না। তবে যতটুকু মনে পরে তত টুকু বর্ণনায় বলেছিলাম।
(১) ঈমান নবায়ন এর সাথে কি বিবাহও নবায়ন করতে হবে? আমি বিবাহিত।
(২) আমার মা ও আমার মেয়েকে গারো বেটি বলত এমনিতেই রসিকতা করে, এখন আমার মার কিছু করতে হবে?

related to an answer for: Question about Qufor

1 Answer

0 votes
by (63,560 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/3012/?show=3012#q3012 নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,

কুফরী বাক্যর অর্থ জানা নেই এবং বলার ইচ্ছে নেই তবে মুখ ফসকে কোনো কুফরী বাক্য মুখ থেকে উচ্ছারণ হয়ে গেছে, এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কাফির হবে না। যেমন হযরত আবুযর রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,

عَنْ أَبِي ذَرٍّ الْغِفَارِيِّ رضي الله عنه قَالَ :قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ :(إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ وَالنِّسْيَانَ وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ)

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মত থেকে ভূল ভ্রান্তি এবং নিরুপায় মূলক কাজ কে ক্ষমা করে দিয়েছেন। (সুনানু উবনি মা'জা-২০৪৩)

 

কুফরী বাক্যের অর্থ জানা রয়েছে, এবং বলার ইচ্ছাও রয়েছে,তবে কাফির হওয়ার জন্য বলেনি,বরং রং তামাশ মূলক কেউ বলল, তাহলে এমতাস্থায় সে কাফির হয়ে যাবে,

" مَنْ تَكَلَّمَ بِكَلِمَةِ الْكُفْرِ هَازِلًا أَوْ لَاعِبًا كَفَرَ عِنْدَ الْكُلِّ وَلَا اعْتِبَارَ بِاعْتِقَادِه

যে ব্যক্তি কোনো কুফুরি বাক্য রং তামাশা করে বলবে, সে কাফির হয়ে যাবে। যদিও তার এ'তেকাদ বা বিশ্বাসে কুফরি না থাকুক। (বাহরুর রায়েক-৫/১৩৪,ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-২/২৭৫-২৭৬)

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!

 

১. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি যদি কালেমায়ে শাহাদত নিজে নিজেও  পড়ে নেন তাহলেও ঈমান নবায়ন হয়ে যাবে। আশা করি আপনি পড়েও নিয়েছেন। আর এটা যেহেতু আপনার অজ্ঞতা বা দ্বীন সম্পর্কে না জানার কারণে হয়েছে তাই আশা করা যায় আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা চাইলে তিনি ক্ষমা করে দিবেন। আর আপনি যেহেতু বিবাহিত। তাই সতর্কতা মূলক বিয়েটা নবায়ন করে নিয়েন। আর এটার পদ্ধতি এভাবে হতে পারে যে, আপনি আপনার মাহরাম দুইজন বালেগ পুরুষের সামনে স্ত্রীকে বললেন যে, আমি তোমাকে দশ হাজার টাকা দেন মহরে বিয়েটা নবায়ন করে নিলাম। তখন স্ত্রী বলবেন যে, আমি কবুল করলাম। তাহলেই বিয়েটা নবায়ন হয়ে যাবে। আর এ সম্পর্কে আরো ভালো ভাবে জানতে নিকটস্ত কোনো মুফতী সাহেবের কাছ থেকে জিজ্ঞাসা করে নিবেন।

 

২. আপনি আপনার মাকে বিষয়টা বুঝিয়ে বলবেন যে, এভাবে বলা ঠিক নয়। পরবর্তীতে তিনি যেনো আর না বলেন। আর আগের জন্য আল্লাহ তায়ালার কাছে যেনো মাফ চেয়ে নেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...