বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ই'দাদ দ্বারা সম্ভবত আপনি কুরআনের ঐ আয়াতের দিকে ইঙ্গিত করছেন,
وَأَعِدُّواْ لَهُم مَّا اسْتَطَعْتُم مِّن قُوَّةٍ وَمِن رِّبَاطِ الْخَيْلِ تُرْهِبُونَ بِهِ عَدْوَّ اللّهِ وَعَدُوَّكُمْ وَآخَرِينَ مِن دُونِهِمْ لاَ تَعْلَمُونَهُمُ اللّهُ يَعْلَمُهُمْ وَمَا تُنفِقُواْ مِن شَيْءٍ فِي سَبِيلِ اللّهِ يُوَفَّ إِلَيْكُمْ وَأَنتُمْ لاَ تُظْلَمُونَ
আর প্রস্তুত কর তাদের সাথে যুদ্ধের জন্য যাই কিছু সংগ্রহ করতে পার নিজের শক্তি সামর্থ্যের মধ্যে থেকে এবং পালিত ঘোড়া থেকে, যেন প্রভাব পড়ে আল্লাহর শুত্রুদের উপর এবং তোমাদের শত্রুদের উপর আর তাদেরকে ছাড়া অন্যান্যদের উপর ও যাদেরকে তোমরা জান না; আল্লাহ তাদেরকে চেনেন। বস্তুতঃ যা কিছু তোমরা ব্যয় করবে আল্লাহর রাহে, তা তোমরা পরিপূর্ণভাবে ফিরে পাবে এবং তোমাদের কোন হক অপূর্ণ থাকবে না।(সূরা আনফাল-৬০)
কুরআনে কারীমের এই আয়াতের পরিপেক্ষিতে নামায এবং নিজ ফরয দায়-দায়িত্ব পালন পূর্বক যতটুকু সময়ই উক্ত কাজে ব্যয় করা হবে,সবই অপচয় মুক্ত সময় হিসেবে গণ্য হবে।
(২)
কুরআনে কারীমের উপরোক্ত আয়াতের পরিপেক্ষিতে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে চাইনিজ বা জাপানীজ মার্শাল আর্টস শেখাও প্রস্তির গ্রহণের আওতাধীন হিসেবে গণ্য হবে। এবং এর জন্য প্রস্তুতি গ্রহণের সওয়াবও পাওয়া যাবে।তবে হাদীসে চেহারায় প্রহার না করার কথা এসেছে।সে হিসেবে চেহারায় প্রহার করা যাবে না।
(৩)
ফরযে কেফায়া।
وَالْعُدَّةُ بِمَا فِي الطَّوْقِ مِنْ فُرُوضِ الْكِفَايَةِ عَلَى الْمُسْلِمِينَ، فَإِنْ تَرَكُوهَا أَثِمُوا جَمِيعًا، وَهِيَ مِنَ الأُْمُورِ الْمَنُوطَةِ بِالإِْمَامِ وَتَلْزَمُ عَلَيْهِ
ই’দাদ সামর্থ্যানুযায়ী সমস্ত মুসলমানের উপর ফরযে কেফায়া।যদি সমস্ত মুসলমান এটাকে ছেড়ে দেয়,তবে সবাই গোনাহগার হবে।জিহাদরের প্রস্তুতি গ্রহণ এটা ইমাম বা রাষ্ট্র প্রধানের উপর ন্যাস্তকৃত বিষয়।সর্বদা প্রস্তুতি নিয়ে থাকা রাষ্ট প্রধানের উপর ওয়াজিব ও অত্যাবশ্যকীয়। (আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-২৯/৩০২)