আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
200 views
in সালাত(Prayer) by (27 points)
আসসালামু আলাইকুম
আমার আগের কিছু কাজা নামাজ আছে।সেগুলো আস্তে আস্তে পড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি বিভিন্ন নামাজের শেষে। আমি শুনলাম যে আসর আর ফজরের ফরজ নামাজের পরে নাকি অন্য আর কোনো নামাজ পড়া যাবে না।

১.আসর আর ফজরের ফরজ নামাজের পরে নাকি আর কোনো নামাজ পড়া যাবে না এটা কি ঠিক?

২.আমি অলরেডি আসরের নামাজের পরে অনেক কাজা পড়েছি কিছু দিন।আমার কি তাহলে কাজা নামাজ গুলো হয় নি???

1 Answer

0 votes
by (59,040 points)
edited by

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://www.ifatwa.info/1330 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, তিন সময়ে ফরয-নফল তথা সকল প্রকার নামায পড়া মাকরুহে তাহরিমী।যথা- (১)সূর্যোদয়ের সময় (২)সূর্যাস্তের সময় (৩)সূর্য ঠিক মধ্যখানে অবস্থানের সময়। আর পাঁচ সময়ে শুধুমাত্র নফল নামায পড়া মাকরুহ।

উপরোক্ত তিন সময়। (৪)সুবহে সাদিকের পর থেকে নিয়ে সূর্যোদয় পর্যন্ত।অর্থাৎ ফজরের নামাযের আগে ও পরে (৫)আছরের নামাযের পরে। (শেষোক্ত দুই সময়ে ফরয নামায পড়া মাকরুহ নয়)

সুতরাং এই পাঁচ সময়ে যেকোনো প্রকার নফল নামায,চায় তাহিয়্যাতুল ওজু হোক বা তাহিয়্যাতুল মসজিদ হোক, সবই মাকরুহ।প্রথম তিন প্রকারে মাকরুহে তাহরিমীর বিধান রয়েছে।আর শেষ দুই প্রকারে প্রকাশ্যে কোথাও পাইনি।তবে যতটুকু সম্ভব মনে হচ্ছে, মাকরুহে তানযিহি-ই হবে।(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

ফজর এবং আছরের নামাযের পর কাযা নামায পড়া যাবে। তবে নফল পড়া যাবে না। (ফাতাওয়ায়ে দারুল উলূম দেওবন্দ-৪/২৪৪)

তিন ওয়াক্ত ব্যতীত ২৪ ঘন্টার যেকোনো সময়ে কাযা নামায পড়া যাবে।(কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/৪২৮)বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/806

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন !

১. আসরের পর সূর্য হলুদ বা নিস্তেজ হয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত কাযা নামায পড়া জায়েয। এবং ফজর নামাযের পর ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পূর্বে কাযা নামায পড়া যাবে ।তবে নফল পড়া যাবে না বরং মাকরুহ হবে। এ সময় কাযা নামায পড়া মাকরূহ নয়। হাঁ, এ সময় কোনো নফল নামায পড়া মাকরূহ। তবে এ সময় মসজিদে কাযা নামায পড়বে না। কারণ এতে অন্য কেউ ভুল বুঝতে পারে। তাই আসরের পর কাযা আদায় করতে চাইলে তা ঘরে পড়াই ভাল হবে। আর সূর্য হলুদ বা নিস্তেজ হয়ে গেলে কাযা নামায বা যে কোনো নফল পড়া নাজায়েয। (শরহু মুখতাসারিত তহাবী ১/৫৪৩; হালবাতুল মুজাল্লী ১/৬৫৫; আলমুহীতুল বুরহানী ২/১০; আলবাহরুর রায়েক ২/২৫১; রদ্দুল মুহতার ১/৩৭৫)

২. জ্বী আপনার আদায় কৃত নামাজ সঠিক হয়েছে যদি আপনি সেগুলি হারাম ওয়াক্তে না পড়ে থাকেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...