بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://www.ifatwa.info/1330 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
তিন সময়ে ফরয-নফল তথা সকল প্রকার নামায
পড়া মাকরুহে তাহরিমী।যথা- (১)সূর্যোদয়ের সময় (২)সূর্যাস্তের সময় (৩)সূর্য ঠিক মধ্যখানে
অবস্থানের সময়। আর পাঁচ সময়ে শুধুমাত্র নফল নামায পড়া মাকরুহ।
উপরোক্ত তিন সময়। (৪)সুবহে সাদিকের পর থেকে নিয়ে সূর্যোদয় পর্যন্ত।অর্থাৎ ফজরের
নামাযের আগে ও পরে (৫)আছরের নামাযের পরে। (শেষোক্ত দুই সময়ে ফরয নামায পড়া মাকরুহ নয়)
সুতরাং এই পাঁচ সময়ে যেকোনো প্রকার নফল নামায,চায় তাহিয়্যাতুল ওজু হোক বা তাহিয়্যাতুল মসজিদ হোক,
সবই মাকরুহ।প্রথম তিন প্রকারে মাকরুহে
তাহরিমীর বিধান রয়েছে।আর শেষ দুই প্রকারে প্রকাশ্যে কোথাও পাইনি।তবে যতটুকু সম্ভব মনে
হচ্ছে, মাকরুহে তানযিহি-ই হবে।(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)
ফজর এবং আছরের নামাযের পর কাযা নামায পড়া যাবে। তবে নফল পড়া যাবে না। (ফাতাওয়ায়ে
দারুল উলূম দেওবন্দ-৪/২৪৪)
তিন ওয়াক্ত ব্যতীত ২৪ ঘন্টার যেকোনো সময়ে কাযা নামায পড়া যাবে।(কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/৪২৮)বিস্তারিত
জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/806
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন !
১. আসরের পর সূর্য হলুদ বা নিস্তেজ
হয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত কাযা নামায পড়া জায়েয। এবং ফজর নামাযের পর ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পূর্বেও কাযা নামায পড়া যাবে ।তবে নফল পড়া যাবে না বরং মাকরুহ হবে। এ সময় কাযা নামায পড়া মাকরূহ নয়। হাঁ,
এ সময় কোনো নফল নামায পড়া মাকরূহ। তবে
এ সময় মসজিদে কাযা নামায পড়বে না। কারণ এতে অন্য কেউ ভুল বুঝতে পারে। তাই আসরের পর
কাযা আদায় করতে চাইলে তা ঘরে পড়াই ভাল হবে। আর সূর্য হলুদ বা নিস্তেজ হয়ে গেলে কাযা
নামায বা যে কোনো নফল পড়া নাজায়েয। (শরহু মুখতাসারিত তহাবী ১/৫৪৩;
হালবাতুল মুজাল্লী ১/৬৫৫;
আলমুহীতুল বুরহানী ২/১০;
আলবাহরুর রায়েক ২/২৫১;
রদ্দুল মুহতার ১/৩৭৫)
২.
জ্বী আপনার আদায় কৃত নামাজ সঠিক হয়েছে যদি আপনি সেগুলি হারাম ওয়াক্তে না পড়ে
থাকেন।