ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
সেজদাহ নামাযের একটি অন্যতম রুকন। তাই এর মধ্যে সেসব শর্তই প্রযোজ্য যা নামাযের জন্য জরুরী। যেহেতু নামাযের জন্য পবিত্রতা আবশ্যক। সেই হিসেবে হায়েজ অবস্থায় সেজদাহ দেয়া নিষেধ।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تُقْبَلُ صَلَاةُ بِغَيْرِ طُهُورٍ وَلَا صَدَقَةٌ مِنْ غُلُولٍ
ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পাক-পবিত্রতা ছাড়া সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) এবং হারাম ধন-সম্পদের দান-খয়রাত কবূল হয় না।
(মুসলিম ২২৪,মিশকাত ৩০১।)
ফাতওয়ার কিতাবে আছেঃ-
إنَّ الْحَيْضَ يَتَعَلَّقُ بِهِ أَحْكَامٌ:….. يُحَرِّمُ سُجُودَ التِّلَاوَةِ وَالشُّكْرِ وَيَمْنَعُ صِحَّتَهُ (البحر الرائق، كتاب الطهارة، باب الحيض، ما يمنعه الحيض-1/203-204)
সারমর্মঃ-
হায়েজার উপর সেজদায়ে তিলাওয়াত,সেজদায়ে শোকর হারাম।
قَالَ أَصْحَابُنَا وَفِي مَعْنَى الصَّلَاةِ سُجُودُ التِّلَاوَةِ وَالشُّكْرِ فَيَحْرُمَانِ عَلَى الْحَائِضِ والنفساء كما تحرم صلاة الجنازة لان الطَّهَارَةَ شَرْطٌ (المجموع شرح المهذب، كتاب الحيض-2/353)
সারমর্মঃ-
সেজদায়ে তিলাওয়াত,সেজদায়ে শোকর এর মধ্যে নামাজের অর্থ বিদ্যমান, বিধায় তাহা হায়েজ নেফাস গ্রস্থ মহিলার উপর হারাম।
যেমন জানাযা নামাজ হারাম। কেননা পবিত্রতা শর্ত।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
হায়েজ অবস্থায় এভাবে সেজদায় গিয়ে দোয়া করা জায়েজ হবেনা।
এতে গুনাহ হবে।
এমতাবস্থায় আপনি এমনিতেই দোয়া করবেন।
(উল্লেখ্য যে কিছু কিছু ইসলামী ব্যাংক মতে এভাবে সেজদাহ৷ আদায় করা যায়,সুতরাং শুধুমাত্র তাদের মতানুসারীগন তথা সেই মাযহাব অনুসারীগন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন।)