আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
242 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (24 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম। আমি যদি কোনো মেসেঞ্জার গ্রুপ খুলে মেম্বার্স অ্যাড দিই এবং মেম্বার্সরা যদি সেই গ্রুপে ইসলামে নিষিদ্ধ কোনো কাজ করে তাহলে গুনাহ কি আমার হবে নাকি যে বা যারা মেসেঞ্জার  গ্রুপ চ্যাট এ ইসলামে নিষিদ্ধ কাজ করবে গুনাহ শুধু তাদের হবে? আর আমি যদি ছেলে হয়ে এমন মেয়েদের মেসেঞ্জার  গ্রুপ চ্যাটে অ্যাড করি যাদেরকে বিয়ে করা ইসলামে জায়েজ, কিন্তু আমি সেই মেয়েদের সাথে কথাই না বলি তারপর ও কি আমার গুনাহ হবে গ্রুপে মেয়ে অ্যাড করার কারণে?

আর যদি আমি অন্য কারও মেসেঞ্জার গ্রুপ চ্যাট এ অ্যাড হই এবং গ্রুপের অ্যাডমিন না হই, আর সেই গ্রুপে যদি এমন মেয়ে থাকে যাদের বিয়ে করা ইসলামে জায়েজ আর আমি যদি এমন মেয়েদের সাথে কথা না বলি যদি অন্য ছেলেরা এমন মেয়েদের সাথে কথা বলে তাহলে কি সেই মেসেঞ্জার গ্রুপ চ্যাট এ থাকা আমার জন্য জায়েজ হবে? আর যদি অন্য কারও গ্রুপের ভিতরে আমি বাদে অন্য কেও ইসলামে নিষিদ্ধ কোনো কাজ করে এবং আমি যদি সেই গ্রুপের অ্যাডমিন না হই তাহলে কি গুনাহ টা আমার হবে নাকি যারা ইসলামে নিষিদ্ধ কাজ করবে তাদের হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


শরীয়তের বিধান হলো, অন্যায় কাজ যেমন নিজে করা জায়েজ নেই,অন্যায় কাজে অন্যকে সহযোগিতা করাও জায়েজ নেই।
,
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢] 

সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনি যদি কোনো মেসেঞ্জার গ্রুপ খুলে মেম্বার্স অ্যাড দেন, এবং মেম্বার্সরা যদি সেই গ্রুপে ইসলামে নিষিদ্ধ কোনো কাজ করে, তাহলে যারা মেসেঞ্জার  গ্রুপ চ্যাট এ ইসলামে নিষিদ্ধ কাজ করবে তাদেরও গুনাহ হবে,
এ কাজে সহযোগিতা স্বরুপ আপনারও গুনাহ হবে। 

★আপনি যদি ছেলে হয়ে এমন মেয়েদের মেসেঞ্জার  গ্রুপ চ্যাটে অ্যাড করেন, যাদেরকে বিয়ে করা ইসলামে জায়েজ, কিন্তু আপনি সেই মেয়েদের সাথে কথাই না বলেন, এক্ষেত্রে যদি মেম্বার্সরা যদি সেই গ্রুপে তাদের সাথে প্রয়োজন অতিরিক্ত কথ্ব বলে, ইসলামে নিষিদ্ধ কোনো কাজ করে,তাহলে আপনারও গুনাহ হবে।

আর যদি কেহই শরীয়াহ বিরোধী কাজ না করে,সেক্ষেত্রে আপনার গুনাহ হবেনা।

★আপনি যদি অন্য কারও মেসেঞ্জার গ্রুপ চ্যাট এ অ্যাড হোন, এবং গ্রুপের অ্যাডমিন না হোন, আর সেই গ্রুপে যদি এমন মেয়ে থাকে যাদের বিয়ে করা ইসলামে জায়েজ আর আপনি যদি এমন মেয়েদের সাথে কথা না বলেন, যদি অন্য ছেলেরা এমন মেয়েদের সাথে শরীয়াহ বিরোধী কথা বলে তাহলে সেই মেসেঞ্জার গ্রুপ চ্যাট এ থাকা আপনার জন্য জায়েজ হবেনা।
কেননা এতে উক্ত বিষয় গুলো আপনাকেও দেখতে হবে।

আর যদি শরীয়াহ বিরোধী কথা না বলে,শুধু বিশেষ প্রয়োজনীয় কথাই বলে,মেয়েদের ছবি প্রোফাইলে না আসে,সেক্ষেত্রে আপনার গুনাহ হবেনা।
তদুপরি সেই গ্রুপ থেকে বের হয়ে আসা দরকার।
কেননা ফিতনার আশংকা বিদ্যমান রয়েছে।

★যদি অন্য কারও গ্রুপের ভিতরে আপনি বাদে অন্য কেও ইসলামে নিষিদ্ধ কোনো কাজ করে এবং আপনি যদি সেই গ্রুপের অ্যাডমিন না হোন, তাহলে উক্ত কাজের গুনাহ টা আপনার হবেনা।
তবে ইসলামে নিষিদ্ধ কাজ উপভোগ করলে সেই উপভোগের গুনাহ আপনার হবে।

আর এহেন কাজ হওয়া সত্ত্বেও সেই গ্রুপ থেকে বের না হলে গুনাহ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (24 points)
আসসালামু আলাইকুম। তাহলে কিভাবে জায়েজ ভাবে মেসেঞ্জার গ্রুপ এ আড্ডা দিব?
by (565,890 points)
আপনি মেয়েদের Add দিবেননা।
ছেলেরাই আড্ডা দিবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...