আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
172 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (40 points)
প্রায় বছরখানেক ধরে আমার মানসিক অশান্তির একটা কারণ হচ্ছে কোন একটা কিছু হালাল হলো, না হারাম হলো, নাজায়েজ হবে কিনা ইত্যাদি নিয়ে অনবরত পেরেশানি। আর এই সমস্যার মূল হলো কোন পাপের কাজ করে ফেললে তার রেশ পরবর্তী কর্মকাণ্ডের উপরও পড়বে বলে চিন্তা করা এবং পূর্ববর্তী পাপের সাথে যেকোনোভাবে সংশ্লিষ্ট (সামান্য লিংক থাকলেও) পরবর্তী জায়েজ কাজকেও পাপের অন্তর্ভুক্ত মনে করা।
এবং এইধরনের একটা বড় মানসিক সমস্যা যেটা আমাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খায়, সেটা হলো কোন গুনাহের কাজ থেকে লাভ করা বাস্তব অভিজ্ঞতা।
আমার কাছে মনে হয় যেহেতু এই অভিজ্ঞতাটা বা সচেতনতাটুকু বা জ্ঞানটুকু কোন গুনাহের কাজ বা হক্ব নষ্ট বা কোন কিছুর খিয়ানৎ বা এধরনের অন্য যেকোন ধরনের পাপ থেকে আমি লাভ করেছি সেহেতু এই জ্ঞান অভিজ্ঞতা সচেতনতা ইত্যাদি যদি অন্য কাজে( কাজটি হালাল হলেও) প্রয়োগ করে কাজটি সম্পাদন করি তাহলে এই কাজটিও নাজায়েজ, হারাম বা কলুষিত হয়ে যাবে।
মানুষ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে পাপ মুক্ত নয়।জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত যে কোন ধরনের পাপকর্ম সম্পাদনের মাধ্যমে সুস্থ স্বাভাবিক অবস্থায় কিছু না কিছু বাস্তবিক অভিজ্ঞতা, জ্ঞান বা সচেতনতা ইত্যাদি অর্জিত হয়-ই। এ ধরনের চিন্তার কারণে আমার জীবন দিন দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

আল্লাহর ওয়াস্তে একটু কাউন্সিলিং করবেন প্লিজ। যাতে আমার দৃষ্টিভঙ্গি শরীয়ত মোতাবেক হয়। আল্লাহ রহম করুন।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ «إِنَّمَا الْأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ وَإِنَّمَا لِامْرِئٍ مَا نَوٰى فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهٗ إِلَى اللهِ وَرَسُوْلِه فَهِجْرَتُهٗ إِلَى اللهِ وَرَسُولِه وَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهٗ اِلٰى دُنْيَا يُصِيبُهَا أَوِ امْرَأَةٍ يَتَزَوَّجُهَا فَهِجْرَتُهٗ إِلٰى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ 
‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিয়্যাতের উপরই কাজের ফলাফল নির্ভরশীল। মানুষ তার নিয়্যাত অনুযায়ী ফল পাবে। অতএব যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সন্তুষ্টির জন্য হিজরত করবে, তার হিজরত আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সন্তুষ্টির জন্যই গণ্য হবে। আর যে ব্যক্তি দুনিয়ার স্বার্থপ্রাপ্তির জন্য অথবা কোন মহিলাকে বিবাহের জন্য হিজরত করবে সে হিজরত তার নিয়্যাত অনুসারেই হবে যে নিয়্যাতে সে হিজরত করেছে।
বুখারী ১, মুসলিম ১৯০৭, তিরমিযী ১৬৩৭, নাসায়ী ৭৫, আবূ দাঊদ ২২০১, ইবনু মাজাহ্ ৪২২৭, আহমাদ ১৬৯, ৩০২।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যদিও আপনি অভিজ্ঞতাটি বা সচেতনতাটুকু বা জ্ঞানটুকু কোন গুনাহের কাজ বা হক্ব নষ্ট বা কোন কিছুর খিয়ানৎ বা এধরনের অন্য যেকোন ধরনের পাপ থেকে লাভ করেছন,
সেহেতু এই জ্ঞান অভিজ্ঞতা সচেতনতা ইত্যাদি যদি অন্য কাজে( কাজটি হালাল হলেও) প্রয়োগ করে কাজটি সম্পাদন করেন,তাহলে এই কাজটি নাজায়েজ, হারাম বা কলুষিত হয়ে যাবেনা।

কেননা আপনার কাজ যেহেতু এক্ষেত্রে হালাল,আর নিয়তও সহীহ,তাই আপনি অভিজ্ঞতাটি বা সচেতনতাটুকু বা জ্ঞানটুকু ভালো কাজে লাগাতে পারবেন।
এতে  গুনাহ মূলক কোনো কাজের আশ্রয় না নেয়া হলে কোনো সমস্যা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...