ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কলিংবেল বা ডোরবেল বা রিংটোন সাধরণত উক্ত নিষিদ্ধতার আওতাধীন হবে না।
তবে যদি তাতে মিউজিক বা শ্রুতিকঠোর আওয়াজ থাকে তবে তা নিষিদ্ধতার আওতাধীন হয়ে হারাম হবে।
এ জন্য নিষিদ্ধতার ছায়া থেকে বাছতে সতর্কতামূলক এমন আওয়াজ সম্পন্ন বেল ক্রয় করাই প্রত্যেক মুসলমানের উচিৎ ও কর্তব্য, যাতে কোনোপ্রকার মিউজিক বা শ্রুতিকঠোর আওয়াজ কিংবা কোরআনের আয়াত হবে না।
কোরআনের আয়াত থাকলে কোরআনের অসম্মান প্রশ্নে তাও হারামের আওতাধীন হবে।
বাংলা কোনো কথা বা লাগাতার নয় এমন কোনো শ্রুতিমধুর ওয়ান্স রিং সম্বলিত ডোরবেল বা এলারম ঘড়ি বা মোবাইল রিং ব্যবহার করা যাবে।তা হারাম হবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1265
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)বাচ্চাদের খেলনা চাপলে যে পে পু আওয়াজ আসে তা বাদ্যযন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত হবে না।কেননা কেউ কেউ বাচ্ছাদের জন্য অনেক জিনিষে রুখসত দিয়ে থাকেন।পুতুল, ছবি ইত্যাদিতে রুখসত দিয়ে থাকেন।
(২)ট্রাফিক পুলিশ যে শিষ বাজায় সেটাকেও বাদ্যযন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত ধরা হবে না।
(৩)ভেপুর মানে কি? কমেন্টে জানাবেন।
(৪)পশু পাখিকে কষ্ট দিলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
(৫)নামাজে একটু পিছালে বা সামনে আগালে নামাজে কোন সমস্যা হবে না।তবে কোনো প্রকার হরকত না করাই উত্তম।ইচ্ছাকৃত হরকত নাজায়েয ও হারাম।
(৬) যদি আল্লাহ, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বা কারো নামে যদি মনে মনে গালি এসে পড়ে আর ওই গালিকে তখন যদি ভালো অর্থ হিসেবে ধরে নেয়া হয়, তাহলে গুণাহ হবে না। যেমন: মনে আসল আল্লাহকে *** ।এই গালি টাকে ভালো অর্থে যেমন আল্লাহকে ***(ভালোবাসি) এই অর্থে নিলে কোন গুণাহ হবে না।