জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১) যদি বলে যে অমুক এলাকার লোক গুলো কৃপন,তাহলে এটি গীবত হবে।
হাদীস শরীফে এসেছে
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «أَتَدْرُونَ مَا الْغِيبَةُ؟» قَالُوا: اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، قَالَ: «ذِكْرُكَ أَخَاكَ بِمَا يَكْرَهُ» قِيلَ أَفَرَأَيْتَ إِنْ كَانَ فِي أَخِي مَا أَقُولُ؟ قَالَ: «إِنْ كَانَ فِيهِ مَا تَقُولُ، فَقَدِ اغْتَبْتَهُ، وَإِنْ لَمْ يَكُنْ فِيهِ فَقَدْ بَهَتَّهُ»
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লম বলেছেনঃ তোমরা কি জান, গীবত কি? তাঁরা বললেনঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। তিনি বললেনঃ গীবত হল তোমার ভাইয়ের সম্পর্কে এমন কিছু আলোচনা করা, যা সে অপছন্দ করে। প্রশ্ন করা হলঃ আমি যা বলেছি তা যদি আমার ভাইয়ের মধ্যে থেকে থাকে, তাহলে আপনি কি বলেন? তিনি বললেনঃ তুমি তার সম্পর্কে যা বলেছ তা যদি তার মধ্যে থাকে, তাহলেই তুমি তার গীবত করলে। আর যদি তা তার মধ্যে না থাকে, তাহলে তো তুমি তার প্রতি অপবাদ আরোপ করলে। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৫৮৯, ৭০, সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস নং-১১৪৫৪, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৫৭৫৮, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৬২৯৩, মুজামে ইবনে আসাকীর, হাদীস নং-১৪১৭, সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-২১১৬৩}
পরিচয় বলা ছাড়া গীবত সংক্রান্ত জানুনঃ
(০২)
সন্দেহের বশবর্তী হয়ে এমনটি করলে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।
আর যদি নিশ্চিত হোন যে উক্ত আয়াত আপনি পড়েননি,বা লাহনে জলি করেছেন,তাহলে আবার পড়তে পারেন।
এতে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবেনা।
,
(৩.৪) আপনি ঐ আয়াত আর পড়বেননা।
অন্য সুরা মিলানো শুরু করুন।
,
(৫.৬.১০)
নামাজে উল্লেখিত ভুল,হাত দেখা সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
,
(০৭) আপনি আর ঐ সুরা নিয়ে ভাববেননা।
ঐ সুরা আবার পড়বেননা
,
(০৮)
অন্য সুরার কোনো অংশ পুনরায় তেলাওয়াত করলে কোনো সমস্যা নেই।
তবে সুরা ফাতেহার কোনো অংশ পুনরায় পড়লে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।
নামাজে সুরা ফাতেহার কোনো আয়াত আবার পড়া নিয়ে বিস্তারিত জানুনঃ
,
(০৯)
সন্দেহের বশবর্তী হয়ে আর পড়বেননা।
,
(১১)
প্রয়োজনীয় নয়। তবে গুনাহ থেকে বাচতে আপনি যদি এহেন শপথ করে থাকেন,তাহলে অবশ্যই মানতে হবে।
,
যেহেতু সেটা মেয়ে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে,তাই বেশিক্ষন দেখবেননা।
(১২)ইসলামের দৃষ্টিতে বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার হারাম। যদি কেউ ভিডিওর সঙ্গে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক হিসেবে বাদ্যযন্ত্রের বিভিন্ন সুর বসিয়ে দেয়, সেটাও গুনাহ হবে।
বিস্তারিত জানুনঃ