আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
130 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (45 points)
১। আমি যদি কোন মানুষকে নির্দিষ্ট না করি,শুধুমাত্র একটা গোষ্টি বা গ্রুপ কে চিহ্নিত করি,সেটা গীবত হবে?যেমন আমি বললাম যে কুমিল্লার আলেমরা কম জানেন।বা ঢাকার লোকেরা কৃপণ।এগুলো গীবত হবে?

২। আমি যদি সুরা ফাতিহা পড়ার পর অন্য সুরা পরার জন্য বিসমিল্লাহ বলে ফেলি,কিন্তু পরে আমার মনে হয় যে ফাতিহার শেষ আয়াতটা সঠিকভাবে পড়া হয় নি,তাই আবার শেষ আয়াত টা পড়ে বিসমিল্লাহ পড়ে অন্য সুরা পড়লাম।এতে নামাজের কি কোন ক্ষতি হয়েছে?

৩। যদি আমার ফাতিহা শেষে বিসমিল্লাহ বলার পর মনে হয় ফাতিহার শেষ আয়াতটা ঠিক মত পড়া হয় নি, আমি কি করব?

৪। যদি আমার বিসমিল্লাহ বলার পর শুধু সন্দেহ হিয় যে আমার ফাতিহার শেষ আয়াতটা ঠিক মত পড়া হয় নি, কিন্তু আমি নিশ্চিত না,  তাহলে কি করব?

৫। যদি ফাতিহার কোন এক আয়াতের পর আমার মনে হয় যে আয়াতটির উচ্চারন মনে হয় ঠিক হল না, তাহলে কি আয়াত টা আবার পড়া যাবে? যদি সন্দেহ হয়, কিন্তু নিশ্চিত নই যে ভুল হয়েছিল, তাহলে?
৬। তাশাহুদের ক্ষেত্রে যদি একর জিনিস হয়, তাহলে কি আবার পড়া যাবে?

৭। যদি এমন হিয় যে আমি ২য় রাকাত পড়ার সময় আমার মনে হলো যে আমি ১ম রাকাতে ফাতিহার ওই জায়গায় হয়তো ভুল করেছিলাম, তাহলি করনীয় কি? ( যদি নিশ্চিত হই? যদি শুধুই সন্দেহ হয়? )
৮। যদি ইচ্ছে করে পুনরায় কোন অংশ তিলাওয়াত করি ( ফাতিহা বা অন্য সুরার )  সমস্যা হবে?

৯। অন্য সুরা মিলানোর সময় কি ভুল হবার সন্দেহ হলে আবার পড়া যাবে ওই অংশটুকু?

১০। আমি নিয়্যাত করেছিলাম যে আমি ইয়টিউবে কোন হাত, পা দেখলে সাথে সাথে চোখ সরিয়ে নিয়ে অন্য ভিডিওতে চলে যাব, কিন্তু আমি শপথ নেয়ার পর ও কোন হাত বা পা দেখে চোখ ফিরিয়ে নি নি, কিছুক্ষন ত আকিয়ে থেকে নিশ্চিত হয়েছি যে সেতা মেয়ের না ছেলের।এতে কি আমার শপথের বাইরে যাওয়ার জন্য গোনাহ হবে?

১১। এরকম শপথ করা কি প্রয়োজনীয়, নাকি আমি ইউটিউউবে কোন হাত বা পা দেখে নিশ্চিত হওয়া পর্যন্ত তাকিয়ে থাকতে পারব, এই নিয়্যাতে যে মেয়ে হলে আমি চোখ সরিয়ে নিব?

১২। আমি কি এমন ভিডিও দেখতে পারব যেখানে হালকা গানের ব্যাকগ্রাউন্ড আছে, কিন্তু আমার নিয়্যাত হচ্ছে যে ব্যাকগ্রান্ড টার প্রতি নূন্যতম মনোযোগ না দিয়ে শুধু কথা গুলোই শুনব?

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১) যদি বলে যে অমুক এলাকার লোক গুলো কৃপন,তাহলে এটি গীবত হবে।
 
হাদীস শরীফে এসেছে    
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «أَتَدْرُونَ مَا الْغِيبَةُ؟» قَالُوا: اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، قَالَ: «ذِكْرُكَ أَخَاكَ بِمَا يَكْرَهُ» قِيلَ أَفَرَأَيْتَ إِنْ كَانَ فِي أَخِي مَا أَقُولُ؟ قَالَ: «إِنْ كَانَ فِيهِ مَا تَقُولُ، فَقَدِ اغْتَبْتَهُ، وَإِنْ لَمْ يَكُنْ فِيهِ فَقَدْ بَهَتَّهُ»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লম বলেছেনঃ তোমরা কি জান, গীবত কি? তাঁরা বললেনঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। তিনি বললেনঃ গীবত হল তোমার ভাইয়ের সম্পর্কে এমন কিছু আলোচনা করা, যা সে অপছন্দ করে। প্রশ্ন করা হলঃ আমি যা বলেছি তা যদি আমার ভাইয়ের মধ্যে থেকে থাকে, তাহলে আপনি কি বলেন? তিনি বললেনঃ তুমি তার সম্পর্কে যা বলেছ তা যদি তার মধ্যে থাকে, তাহলেই তুমি তার গীবত করলে। আর যদি তা তার মধ্যে না থাকে, তাহলে তো তুমি তার প্রতি অপবাদ আরোপ করলে। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৫৮৯, ৭০, সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস নং-১১৪৫৪, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৫৭৫৮, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৬২৯৩, মুজামে ইবনে আসাকীর, হাদীস নং-১৪১৭, সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-২১১৬৩}

পরিচয় বলা ছাড়া গীবত সংক্রান্ত জানুনঃ

(০২)
সন্দেহের বশবর্তী হয়ে এমনটি করলে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।
আর যদি নিশ্চিত হোন যে উক্ত আয়াত আপনি পড়েননি,বা লাহনে জলি করেছেন,তাহলে আবার পড়তে পারেন।
এতে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবেনা।     
,
(৩.৪) আপনি ঐ আয়াত আর পড়বেননা।
অন্য সুরা মিলানো শুরু করুন।
,
(৫.৬.১০) 
নামাজে উল্লেখিত ভুল,হাত দেখা সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
,
(০৭) আপনি আর ঐ সুরা নিয়ে ভাববেননা।
ঐ সুরা আবার পড়বেননা
,
(০৮)
অন্য সুরার কোনো অংশ পুনরায় তেলাওয়াত করলে কোনো সমস্যা নেই। 
তবে সুরা ফাতেহার কোনো অংশ পুনরায় পড়লে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে। 

নামাজে সুরা ফাতেহার কোনো আয়াত আবার পড়া নিয়ে বিস্তারিত জানুনঃ
,
(০৯)
সন্দেহের বশবর্তী হয়ে আর পড়বেননা।
,           
(১১)
প্রয়োজনীয় নয়। তবে গুনাহ থেকে বাচতে আপনি যদি এহেন শপথ করে থাকেন,তাহলে অবশ্যই মানতে হবে।
,
যেহেতু সেটা মেয়ে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে,তাই বেশিক্ষন দেখবেননা।
  
(১২)ইসলামের দৃষ্টিতে বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার হারাম। যদি কেউ ভিডিওর  সঙ্গে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক হিসেবে বাদ্যযন্ত্রের বিভিন্ন সুর বসিয়ে দেয়, সেটাও গুনাহ হবে।

বিস্তারিত জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...