ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া
বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ
عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم "
أَعْلِنُوا هَذَا النِّكَاحَ وَاجْعَلُوهُ فِي الْمَسَاجِدِ وَاضْرِبُوا عَلَيْهِ
بِالدُّفُوفِ ".
আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত।
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বিবাহের ঘোষণা
দিবে এবং তা মসজিদে সম্পন্ন করবে। আর এ উপলক্ষ্যে দফ বাজাবে। সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং- ১০৮৯
মাতাপিতার বৈধ আদেশ মানা, তাদের সাথে উত্তম
আচরণ করা শরীয়ত কর্তৃক আবশ্যক ঘোষনা করা হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَوَصَّيْنَا
الْإِنسَانَ بِوَالِدَيْهِ إِحْسَانًا ۖ حَمَلَتْهُ أُمُّهُ كُرْهًا وَوَضَعَتْهُ
كُرْهًا ۖ وَحَمْلُهُ وَفِصَالُهُ ثَلَاثُونَ شَهْرًا
আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে
সদ্ব্যবহারের আদেশ দিয়েছি। তার মা তাকে কষ্টসহকারে গর্ভে ধারণ করেছে এবং কষ্টসহকারে
প্রসব করেছে। তাকে গর্ভে ধারণ করতে ও তার স্তন্য ছাড়তে লেগেছে ত্রিশ মাস।” (সূরা আহকাফ-১৫)
সর্বদা পিতা মাতার সাথে সদ্ব্যবহার
করা ও তাদের কথা মান্য করা সন্তানের দায়িত্ব৷ আল্লাহ তায়ালা বলেন-
وَقَضَىٰ
رَبُّكَ أَلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا ۚ
إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلَاهُمَا فَلَا تَقُل
لَّهُمَا أُفٍّ وَلَا تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوْلًا كَرِيمًا
তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য
কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই
যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং
বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা। (সূরা বনী ইসরাঈল, ২৩) আরো বিস্তারিত
জানুন- https://ifatwa.info/54308/
অভিভাবক ছাড়া বিবাহ সংক্রান্ত জানুনঃ
https://ifatwa.info/4801/
নিজে নিজে বিয়ে সম্পর্কে আরো জানুন-
https://ifatwa.info/2730/
□ মাতাপিতার পরামর্শেই
বিয়েতে কল্যাণ নিহিত রয়েছে। সকলের জন্য উচিত হলো
মাতাপিতা এবং পারিবারিক ভাবে প্রশ্নে উল্লেখিত বিয়ে করা। যেকোনো মেয়েকে/ছেলেকে বিবাহের ক্ষেত্রে
পরিবারকে বুঝিয়ে রাজি করানো জরুরি। পারিবারিক ভাবে বিয়ে করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টাকে
অব্যাহত রাখা উচিত। আমরা কাউকে পালিয়ে বা গোপন বিয়ের পরামর্শ কখনো দিতে পারিনা।
★
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি আপনার স্বামীকে বিষয়টার ব্যাপারে আরো
বুঝান। আপনার সমস্যার কথাটা তাকে আরো ভালো ভাবে বলেন। প্রয়োজনে আপনি আপনার পরিবারের
কারোর মাধ্যমেও বুঝাতে পারেন এবং বেশী বেশী আল্লাহ তায়ালার কাছে দুআ করতে থাকুন। বিশেষ
করে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়েও দুআ করতে থাকুন। আশা করি আল্লাহ তায়ালা সহজ করে দিবেন ইনশাআল্লাহ।