আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
206 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (45 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

ফেইসবুকে একটি পোষ্ট পড়েছি, এর সত্যতা জানতে চাচ্ছিলাম।

পোস্টটি নিম্নে কপি করে দেওয়া হলো :-
••• ভরণ পোষণের ক্ষেত্রে মা’ নাকি স্ত্রী অগ্রগণ্য ? •••


*** নিঃসন্দেহে সন্তানদের জন্য মা- বাবা অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তি । পাশাপাশি স্ত্রী ও সন্তানদের প্রতিও স্বামীর দায়িত্ব অপরিসীম ।
*** খাবার/ দাবার / চিকিৎসা ও যাবতীয় খরচ প্রদানের ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম কে হক্বদার বা সর্বাধিক হক্বদার ? মা- বাবা নাকি স্ত্রী ? এ বিষয়ে ইসলাম কি বলে ?


*** মহানবী সাঃ বলেছেন “ সর্বপ্রথম নিজের জন্য ব্যয় করো । অতঃপর তোমার পরিবারের জন্য । ( অর্থাৎ স্ত্রী ) । অতঃপর তোমার আত্মীয়দের জন্য ব্যয় করো । ( অর্থাৎ মা’ । তারপর বাবা ) । এরপর যদি আরো ব্যয় করার থেকে থাকে, ডানে বামে , সামনে যাকে ইচ্ছা দিতে পারো ।”


ছহীহ মুসলিম ৯৯৭


*** এক ব্যক্তি মহানবী সাঃকে প্রশ্ন করলেন “ আমার কাছে একটি দীনার আছে ? “ মহানবী সাঃ বললেন “ এটা তোমার জন্য ব্যয় করো ।” এরপর লোকটি বললেন …


আমার কাছে আরো একটি দীনার আছে ।

…. তোমার স্ত্রীর জন্য ব্যয় করো ।


আমার কাছে আরো একটি দীনার আছে ।
… তোমার সন্তানের জন্য ব্যয় করো ।


আমার কাছে আরো একটি দীনার আছে ।

…. তোমার বুয়ার জন্য ব্যয় করো ।
আমার কাছে আরো একটি দীনার আছে ।

…. তোমার ইচ্ছা । দেখতে পারো ।
সুনানে আবু দাউদ ১৬৯১

সুনানে নাসাঈ

আল ইরওয়া ৮৯৫


শায়খ নাসিরুদ্দীন আলবানী রহঃ হাদিসটিকে ছহীহ বলেছেন ।
*** সকল আলেমদের ঐক্যবদ্ধ ফতওয়া হলো “ স্ত্রীর সর্বপ্রকার খরচ বহন করা স্বামীর উপর ওয়াজীব ।”


*** ইমাম নববী রহঃ বললেন “ মা- বাবা সহ সকলের খরচ বহন করার সামর্থ না থাকলে এমতাবস্থায় একমাত্র স্ত্রীর ব্যয়ভার বহন করতে হবে । সেই হক্বদার ।”


روضة الطالبين ٩٣/٩


*** শায়খ সালেহ উসাইমিন রহঃ বলেন “ ব্যক্তি প্রথমে খরচ করবে নিজের জন্য । অতঃপর স্ত্রীর জন্য । অতঃপর সন্তানের জন্য । অতঃপর মা- বাবা’র জন্য । অতঃপর অন্যান্য আত্মীয়- স্বজন ।”


فتح ذي الجلال و الاكرام ٥/١٩٤


শায়খ বিন বায রহঃও একই মত পোষণ করেন ।
*** স্ত্রী ও সন্তানদের ভরণ পোষণ ও যাবতীয় খরচ প্রদানের পর সম্পদ থাকলেই মা- বাবা’র জন্য খরচ করা ওয়াজীব হবে । এটাই ফতওয়া । বাকি আল্লাহই ভালো জানেন ।
উপরে উল্লেখিত পোস্টটি সম্পূর্ন ই কপি করে দেওয়া, এর সত্যতা, কতটুকু সঠিক, কুরআন সুন্নাহর আলোকে, জানতে চাচ্ছিলাম।

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
নিম্নবর্ণিত মূলনীতির আলোকে নাফক্বাহ ওয়াজিব হবে।
أ - أَنْ يَكُونَ الأَْصْل فَقِيرًا أَوْ عَاجِزًا عَنِ الْكَسْبِ، فَلاَ يَجِبُ عَلَى الْفَرْعِ نَفَقَةُ أَصْلِهِ إِنْ كَانَ أَصْلُهُ غَنِيًّا أَوْ قَادِرًا عَلَى الْكَسْبِ، لأَِنَّهَا تَجِبُ عَلَى سَبِيل الْمُوَاسَاةِ وَالْبِرِّ، وَالْقَادِرُ عَلَى الْكَسْبِ كَالْمُوسِرِ مُسْتَغْنٍ عَنِ الْمُوَاسَاةِ
(ক)পিতা-মাতা সহ সমস্ত উসূল বা মূল জ্বড়(বাপ-দাদা তার এবং উপরের জন) গরিব, উপার্জনে অক্ষম হওয়া শর্ত।সুতরাং উসূল ধনী বা উপার্জনে সক্ষম অবস্থায় ফুরু' বা সন্তানাদির উপর নাফক্বাহ দেওয়া ওয়াজিব হবে না।তখন নেকী অর্জন ও আত্মীয়তার বন্ধনকে দৃঢ়তর করতে নাফক্বাহকে ওয়াজিব করা হবে।(যাকে মুস্তাহাব বলা যাবে)
ب - أَنْ يَكُونَ الْفَرْعُ مُوسِرًا وَهَذَا بِاتِّفَاقِ الْفُقَهَاءِ، أَوْ قَادِرًا عَلَى التَّكَسُّبِ وَهُوَ مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ الْحَنَابِلَةُ وَهُوَ الأَْصَحُّ عِنْدَ الشَّافِعِيَّةِ، وَالرِّوَايَةُ الَّتِي جَزَمَ بِهَا صَاحِبُ الْهِدَايَةِ عِنْدَ الْحَنَفِيَّةِ (٣) ، وَأَنْ يَكُونَ فِي مَالِهِ أَوْ كَسْبِهِ فَضْل عَنْ نَفَقَةِ نَفْسِهِ وَوَلَدِهِ وَامْرَأَتِهِ، فَإِنْ لَمْ يَفْضُل مِنْهُ شَيْءٌ لاَ تَجِبُ عَلَيْهِ النَّفَقَةُ
(খ) ফারা' বা সন্তানাদি ধণী হওয়া। এটা সমস্ত উলামায়ে কেরামদের অভিমত।(আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায়-৪১/৭৫)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/3712

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্ত্রীর খোরপোষ স্বামীর উপর সর্বদাই ওয়াজিব।চায় স্ত্রীর সম্পদ থাকুক বা নাই থাকুক। আর মাতাপিতার নিজস্ব কোনো সম্পদ না থাকলে, মাতাপিতার ভরণপোষণ এবং খোরপোষও সন্তানের উপর ওয়াজিব।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (715,680 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...