বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/25871/?show=25871#q25871
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,
কাউকে অভিশাপ দেয়া মুমিনের জন্য
শোভা পায় না। অন্য হদীসে এসেছে,
سالم
عن ابن عمر قال : قال النبي صلى الله عليه وسلم : لا يكون المؤمنلعانا .
অনুবাদঃ রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, মুমিন কখনো অভিসম্পাদকারী হয় না। সুনানে তিরমিযি-২০৮৮ নং হাদীস।
অন্যত্র এরশাদ হয়েছে,
عن
سمرة بن جندب قال قال رسول الله صلى الله عليه و سلم لا تلاعنوا بلعنة الله ولا
بغضبه ولا بالنار
অনুবাদঃ রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা পরষ্পরে আল্লাহর
লা’নত, তার গজব ও জাহান্নামের
অভিশাপ দিবে না। সুনানে তিরমিযি-১৯৮৬
অভিশাপকারী আখেরাতেও মর্যাদা পাবে
না। এ ব্যাপারে রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, কিয়ামতের দিন
অভিশাপকারীরা সুপারিশ করতে পারবে না। এবং সাক্ষ্যপ্রদানও করতে পারবে না। সহীহ মুসলিম-২৫৯৮
নং হাদীস।
উমর ইবনুল খত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত।
তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তির নাম ছিল ‘আবদুল্লাহ, কিন্তু তাকে
‘হিমার’ (গাধা) উপাধিতে ডাকা হতো। সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে হাসাতো।
একদিন মদপানের অপরাধের জন্য নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ওপর দণ্ড প্রয়োগ
করেছিলেন। এরপর আবার একদিন তাকে নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আনা হলে
তিনি তাকে চাবুক মারার নির্দেশ করলেন। তখন এক ব্যক্তি বলে উঠল, হে আল্লাহ, এই লোকের উপর
তোমার অভিসম্পাত হোক। কতবারই না তাকে এ অপরাধে আনা হল!
তখন নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বললেন:
«لَا
تَلْعَنُوْهُ فَوَ اللهِ مَا عَلِمْتُ أَنَّه يُحِبُّ اللّٰهَ وَرَسُوْلَه»
“তাকে অভিশাপ দিও না। আল্লাহর শপথ! আমি তার সম্পর্কে জানি যে, সে আল্লাহ ও
তাঁর রসূলকে ভালোবাসে।” (বুখারী)
এ সকল হাদীস দ্বারা এ কথা সহজেই
অনুমেয় হয় যে, অন্যায়ভাবে কাউকে অভিশাপ দেয়া অত্যন্ত গর্হিত কাজ। নবীজি সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম অভিশাপ ও অভিশাপকারীকে পছন্দ করেননি।
অন্য হাদীসে এসেছে,
عن
ابن عباس أن رجلا لعن الريح عند النبي صلى الله عليه و سلم فقال لا تلعن الريح
فإنها مأمورة وإنه من لعن شيئا ليس له بأهل رجعت اللعنة عليه
অনুবাদঃ …….ইবনে আব্বাস রা. হতে
বর্ণিতঃ এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাতাসকে লানত দিল, তখন নবীজি বললেন, বাতাসকে লা’নত
দিও না, কেননা এ তো আল্লাহরপক্ষ
থেকে নির্দেশিত। কউে যদি কোন বস্তুকে লা’নত দেয়, আর সে যদি ঐ লা’নতের পাত্র না হয়, তাহলে সেই লানত
লানতকারীর দিকেই ফিরে আসে। সুনানে তিরমিযি-১৯৭৮ নং হাদীস। সুনানে আবু দাউদ-২/২৭৬
এ সকল হাদীস থেকে বুঝা গেল যে মন
থেকে লা’নত বা অভিশাপ দিবে সে যদি এই অভিশাপের উপযুক্ত না হয়, তাহলে এই অভিশাপ
তার দিকে আসে না বরং অভিশাপকারীর দিকেই প্রত্যাবর্তিত হয় এ জন্য অভিশাপ দেয়ার ক্ষেত্রে
সতর্ক হওয়া চাই। যেন অভিশাপ দেয়ার পর নিজেই পাত্র না হয়ে যায়। আল্লাহ তায়ালা আমাদের
সকল অনিষ্ট হতে হিফাযত করুন।আমীন!
আরো জানুন- https://ifatwa.info/50404/?show=50404#q50404
★প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনি বোন!
১. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি
যেহেতু হকের উপর আছেন তাই আপনার আত্মীয়রা বদ দুআ দিলে তা কবুল হবে না। কারণ, অন্যায়ভাবে বদ-দু'আকে আল্লাহ তায়ালা কখনো কবুল করেন না। তাই এই ক্ষেত্রে আপনার জন্য করণীয় হলো তাদেরকে
মাফ করে দেওয়া এবং তাদের কষ্টদায়ক কথা-বার্তায় ধৈর্যধারণ করতঃ নিরব থাকা এবং তাদের
সাথে ভালো ব্যবহার অব্যাহত রাখা। ফলে তাদের কষ্টদায়ক কথা-বার্তায় ধৈর্যধারণ করলে
আপনি অনেক অনেক সওয়াব পাবেন ইনশাআল্লাহ। আর তাদের জন্য এই দুআ করতে থাকা যে, তারা
যেনো সত্যটা বুঝে এবং আল্লাহ তায়ালা যেনো তাদেরকে দ্বীনের বুঝ দান করেন।
২. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার পরিবারের যদি অধিকাংশ ইনকাম হালাল
হয় তাহলে তা আপনি বিয়ের পরেও চাইলে গ্রহণ করতে পারবেন। তাই বিয়ের পর স্বামীকে এ বিষয়ে
কিছু বলার প্রয়োজনই নেই।
বাবার উপার্জন হারাম হলে তা থেকে ছেলের খরচ করা প্রসঙ্গে
জানুন-
https://ifatwa.info/14636/?show=14636#q14636
স্বামীর উপার্জন হারাম হলে তা থেকে স্ত্রীর খরচ করা প্রসঙ্গে
জানুন- https://ifatwa.info/14636/?show=14636#q14636