বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا عَبْدُ
اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي ابْنُ الْهَادِ، عَنْ عَبْدِ
اللَّهِ بْنِ خَبَّابٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ
النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِذَا رَأَى أَحَدُكُمْ رُؤْيَا
يُحِبُّهَا فَإِنَّمَا هِيَ مِنَ اللَّهِ، فَلْيَحْمَدِ اللَّهَ عَلَيْهَا،
وَلْيُحَدِّثْ بِهَا، وَإِذَا رَأَى غَيْرَ ذَلِكَ مِمَّا يَكْرَهُ، فَإِنَّمَا
هِيَ مِنَ الشَّيْطَانِ، فَلْيَسْتَعِذْ مِنْ شَرِّهَا، وَلاَ يَذْكُرْهَا
لأَحَدٍ، فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّهُ
".
আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেন, যখন তোমাদের
কেউ এমন স্বপ্ন দেখে, যা সে পছন্দ
করে, তাহলে তা
আল্লাহর পক্ষ থেকে। তাই সে যেন এর উপর আল্লাহর প্রশংসা করে এবং অন্যের কাছে তা
বর্ণনা করে। আর যদি এর বিপরীত অপছন্দনীয় কিছু দেখে, তাহলে তা
শয়তানের পক্ষ থেকে। তাই সে যেন এর অনিষ্টতা থেকে আল্লাহর আশ্রয় চায়। আর কারো কাছে
যেন তা বর্ণনা না করে। তাহলে এ স্বপ্ন তার কোন ক্ষতি সাধন করবে না।
(বুখারী শরীফ ৬৫১৪)
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ
بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ
أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله
عليه وسلم قَالَ " رُؤْيَا الْمُؤْمِنِ جُزْءٌ مِنْ سِتَّةٍ وَأَرْبَعِينَ
جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ
".
মুহাম্মদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ... উবাদা ইবনু সামিত (রাঃ) সূত্রে রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ মু’মিনের স্বপ্ন
নবুয়তের ছেচল্লিশ ভাগের এক ভাগ। সাবিত, হুমাইদ, ইসহাক ইবনু আবদুল্লাহ ও শুআইব (রহঃ) আনাস
(রাঃ) সূত্রে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
(বুখারী ৬৫১৬)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
১. শয়তান অনেক সময় অতীতের কথা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্যও স্বপ্নে দেখায়। তাই আপনি
এমন স্বপ্নকে কোনো পাত্তা দিবেন না। সুতরাং তার কথা আপনি আর চিন্তা করনে না।
চিন্তা করলে অতীতের গোনাহের কথা স্মরণ হবে। ফলে আরো কষ্ট অনুভব হবে।
২. আর অতীতের গোনাহের জন্য (তার সাথে কথা বলা, ছবি আদান প্রদান করা ইত্যাদি।
এগুলো স্পষ্ট হারাম) আল্লাহ তায়ালার কাছে মাফ চেয়ে নিবেন এবং খাঁটি দিলে তওবা
করবেন।
তওবার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত
জানুন- https://ifatwa.info/5905/
৩. প্রিয় বোন, অনেক ছেলে এভাবে প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অনেক
মেয়ের জীবন নষ্ট করে দিয়েছে। তাই এগুলো থেকে সাবধান। এগুলো হারাম। আর তাকে যদি
আপনার একান্ত পছন্দই হয় তাহলে একা একা নয় বরং পারিবারিক ভাবে সবার অনুমতি ও সবার
সাথে পরামর্শ করে বিয়ের জন্য আগাতে পারেন। তবে তখনও অবশ্যই ইস্তিখারা করে নিবেন।