ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ
عَبْدِ اللهِ بْنِ الْمُسَاوِرِ قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ يُخْبِرُ ابْنَ
الزُّبَيْرِ يَقُولُ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ: لَيْسَ
الْمُؤْمِنُ الَّذِي يَشْبَعُ وَجَارُهُ جَائِعٌ.
ইবনে আব্বাস (রাঃ) ইবনুয যুবাইর
(রাঃ)-কে অবহিত করে বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ যে
ব্যক্তি তার প্রতিবেশীকে অভুক্ত রেখে তৃপ্তি সহকারে আহার করে সে মুমিন নয়। আদাবুল
মুফরাদ, হাদীস নং- ১১১
অন্য এক হাদীসে এসেছে-
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ
عَنْهُ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَا آمَنَ بِي مَنْ بَاتَ شَبْعَانًا
وَجَارُهُ جَائِعٌ إِلَى جَنْبِهِ وَهُوَ يَعْلَمُ بِهِ
(আনাস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সে আমার প্রতি ঈমান আনে নি, যে ব্যক্তি পরিতৃপ্ত
হয়ে রাত্রিযাপন করে, অথচ তার পাশে তার প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত থাকে এবং এ কথা সে জানে। বাযযার,
ত্বাবারানী ৭৫০, সহীহুল জামে ৫৫০৫
উক্ত
হাদীস দ্বয়ের দ্বারা উদ্দেশ্য হলো প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত
বা অনাহারে থাকলে তখন প্রতিবেশীকে না দিয়ে খেলে গোনাহ হবে। সুতরাং এর দ্বারা এটা
উদ্দেশ্য নয় যে, ভালো মন্দ যাই খাবে তাই প্রতিবেশীকে দিয়ে খেতে হবে। প্রতিবেশী
ধনী-গরিব যাই হোক না কেন। বরং প্রতিবেশী যদি এমন গরীব হয় যে, ক্ষুধার্ত বা অনাহারে
দিন কাটাই তখন তাকে দিয়ে খাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তাই বলে সব খাবারই তাকে দিতে হবে
বিষয়টা এমন নয়।
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. না, উক্ত আপেল খাওয়ার দ্বারা
আপনার কোনো পাপ হবে না ইনশাল্লাহ।
২. কোনো খাবার যদি খুবই অল্প
থাকে যা খেলে একজন খেতে পারবে। তাহলে উক্ত খাবার চাইলে আপনি একাও খেতে পারবেন।
আবার পিতাকে দিয়েও খেতে পারবেন। এতে কোনো সমস্যা নেই।
উল্লেখ্য যে, যেহেতু ঐ চাচীকে
বেতন দেওয়া হয় তাই তাকে ঐ খাবার বা কোনো খাবার না দিলেও কোনো সমস্যা নেই।